চাপে ইউনূস সরকার, খবর রয়টার্সের

অধ্যাদেশে বরখাস্ত ক্ষমতা নিয়ে বিরোধ, নির্বাচন নিয়ে চাপ
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের রাজনীতির আকাশে অন্ধকার মেঘ কুড়িয়ে চলছে। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার একের পর এক প্রতিকূলতার মুখোমুখি। যেখানে রাজনৈতিক উত্তেজনা, সরকারি কর্মচারীর বিক্ষোভ ও সামরিক জোটের চাপ একযোগে ছুড়ে দিয়েছে কঠিন চ্যালেঞ্জ।
গত আগস্টে ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন প্রাণঘাতী বিক্ষোভে দেশের ক্ষমতার শীর্ষ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দায়িত্ব আসে অধ্যাপক ইউনূসের কাঁধে, যিনি স্বপ্ন দেখেন একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার। কিন্তু পথ সহজ হয়নি। দেশের অন্তর থেকে বিদ্যমান অবস্থা একজোড়া বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরকারি কর্মচারীদের নিয়ন্ত্রণে কঠোর এক অধ্যাদেশ আনা হয়, যেখানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরখাস্তের ক্ষমতা পায় দীর্ঘ প্রক্রিয়া ছাড়াই। এই সিদ্ধান্তকে ‘নির্বিচার ও দমনমূলক’ আখ্যায়িত করে বিক্ষোভে নামেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বিক্ষোভের আগুন জ্বলে তিন দিনের জন্য, যেখানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতিতে গেছেন।
রাজস্ব বোর্ড পুনর্গঠনের বিরোধিতায় কর্মীদের ধর্মঘটকে শেষ করতে বাধ্য হয় সরকার, কিন্তু রাজনৈতিক অশান্তি থেমে থাকেনি। ছাত্রনেতার মুখে এক ঘোষণায় ভেসে আসে সম্ভাব্য অবসরের আশঙ্কা, “রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য না হলে অধ্যাপক ইউনূস পদত্যাগ করতে পারেন।”
কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, “আমাদের যাত্রা এখানেই শেষ নয়।”
অধ্যাপক ইউনূস স্বীকার করেছেন, পথ কঠিন, বাঁধা প্রতিটি পদে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন ও দেশকে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসছেন না তিনি। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে, যেখানে বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী পক্ষের দাবী ডিসেম্বরে ভোট নেওয়ার। সেনাপ্রধানও এই দাবিকে সমর্থন করেছেন।
সঙ্কট বাড়ছে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নিবন্ধন স্থগিত হওয়ায়, যা দলটিকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত করেছে। দেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে নতুন অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।
এবং এখন, অধ্যাপক ইউনূস একটি যুদ্ধক্ষেত্রের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি। রাজনৈতিক দল, সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক ও সামরিক বাহিনী—সবাই যেন একসঙ্গে চাপ দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের ভবিষ্যৎ কী হবে? রাজনীতির এই ঝড় থামবে কীভাবে?
এই প্রশ্নের উত্তরে একটাই বার্তা — পরিবর্তন আসবেই, তবে কতটা মসৃণ হবে সেই পথ, তা এখনো অনিশ্চিত।
FAQ:
প্রশ্ন: অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারীরা কেন বিক্ষোভ করছেন?
উত্তর: সম্প্রতি এক অধ্যাদেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সরকারি কর্মচারীদের বরখাস্তের ক্ষমতা দেয়া হয়, যা অনেকেই দমনমূলক মনে করছেন, এজন্য বিক্ষোভ করছেন তারা।
প্রশ্ন: অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কি পদত্যাগ করবেন?
উত্তর: রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না হলে পদত্যাগের সম্ভাবনা থাকলেও, তিনি এবং তার উপদেষ্টা পরিষদ জানিয়েছেন তারা কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত পদত্যাগ করবেন না।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের নির্বাচন কখন হতে পারে?
উত্তর: ইউনূস সরকার ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন চায়, তবে বিরোধী পক্ষ ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দাবি করছে।
প্রশ্ন: বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণ কী?
উত্তর: সরকারি কর্মচারী বিক্ষোভ, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যমতের অভাব, এবং আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নিবন্ধন স্থগিত থাকা প্রধান কারণ।
মো: রাজিব আলী/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- মাত্র ২০০ টাকায় স্টারলিংক! কীভাবে সম্ভব হলো জানলে চমকে যাবেন
- আজ এক ভরি ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ১,১১,৮১৬ টাকা!
- শেয়ারবাজারে চাঙ্গাভাব ফেরাতে বড় উদ্যোগ অর্থ মন্ত্রণালয়ের
- ভিন্সের উইকেট নেওয়ার পরও সাকিবকে বোলিংয়ে না আনায় ক্ষোভে সমর্থকরা
- পুঁজিবাজারে বড় সাত সিদ্ধান্ত: ডেরিভেটিভ লেনদেনের যুগে প্রবেশ, কমল বিও হিসাব ফি
- ছক্কার বদলে এক রান, আম্পায়ারকে একহাত নিলেন প্রীতি
- আইপিএল শেষে দুঃসংবাদ দিলেন মুস্তাফিজ
- রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন ড. ইউনূস
- আইপিএলে সাকিবকে ছাড়িয়ে শীর্ষে মুস্তাফিজ, স্টার্কও পিছনে
- মহার্ঘ ভাতার পাশাপাশি চাকরিজীবীদের দু:সংবাদ দিল অর্থ উপদেষ্টা
- ডিএসই সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজের নিবন্ধন বাতিল করল বিএসইসি
- শাহীনের আগুনে ভস্ম ইসলামাবাদ, ফাইনালে লাহোর
- ম্যাচ হেরে আইপিএল থেকে বিদায়, ফাফ ডু প্লেসিসের কড়া মন্তব্য
- সৌদি আরব ও বাংলাদেশে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ১৪টি কোম্পানি লাইসেন্স বাতিলেরউদ্যোগ