বড় মন্দার মাঝেও ঊর্ধ্বমুখী ৫ দুর্বল শেয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের শেয়ারবাজারে পতনের প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ধারাবাহিক দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক আরও বাড়ছে। ২৭ মে, মঙ্গলবার সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসেও বড় ধস দেখা গেছে। দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪১.২৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪,৬৭৮ পয়েন্টে—যা এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন।
আরও পড়ুন:
শেয়ারবাজারে চাঙ্গাভাব ফেরাতে বড় উদ্যোগ অর্থ মন্ত্রণালয়ের
পুঁজিবাজারে বড় সাত সিদ্ধান্ত: ডেরিভেটিভ লেনদেনের যুগে প্রবেশ, কমল বিও হিসাব ফি
এই বাজার পরিস্থিতির মধ্যেও কিছু দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ারে অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধি হয়েছে। ডিএসইর লেনদেন তালিকা বিশ্লেষণে দেখা যায়, দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০টির মধ্যে ৫টিই ছিল ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানি। এই ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলো সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে লোকসানে রয়েছে বা নিয়মিত লভ্যাংশ দেয় না। তারপরও এসব কোম্পানির শেয়ার আজ দিনের সর্বোচ্চ দামে লেনদেন হয়েছে এবং বিক্রেতার সংকট দেখা গেছে।
আজকের দরবৃদ্ধির শীর্ষ পাঁচ দুর্বল শেয়ার:
ইউনিয়ন ব্যাংক: শেয়ারের দর ৩০ পয়সা বা ১০% বেড়ে হয়েছে ৩.৩০ টাকা।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক: শেয়ারের দর ৩০ পয়সা বা ৯.৬৮% বেড়ে হয়েছে ৩.৪০ টাকা।
ন্যাশনাল ব্যাংক: শেয়ারের দর ৩০ পয়সা বা ৮.৫৭% বেড়ে হয়েছে ৩.৮০ টাকা।
রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোং: দর বেড়েছে ৩৩ টাকা বা ৫.৩০%, বর্তমান দর ৬৫৫ টাকা।
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক: দর ১০ পয়সা বা ৩.৫৭% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৯০ টাকা।
বাজার বিশ্লেষকদের মূল্যায়ন
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানিতে হঠাৎ দরবৃদ্ধি অস্বাভাবিক এবং এটি নিয়ে বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন আছে। এসব কোম্পানির ব্যবসায়িক ভিত্তিতে সাম্প্রতিক কোনো ইতিবাচক পরিবর্তনের তথ্য নেই, যা দরবৃদ্ধির কারণ হতে পারে। অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, এই ধরনের শেয়ারে কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করে দর বাড়ানোর প্রবণতা রয়েছে।
তবে বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে এই দরবৃদ্ধি কিছু বিনিয়োগকারীর মধ্যে সাময়িকভাবে লেনদেনে সক্রিয়তা বাড়াতে পারে। তারপরও বিনিয়োগের আগে প্রতিটি কোম্পানির আর্থিক বিবরণী, আয়-ব্যয়ের হিসাব ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম যাচাই করা জরুরি।
সার্বিক পরিস্থিতি
ডিএসইতে আজ মোট ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ৮৩টির দর বেড়েছে, ২৬১টির কমেছে এবং ৪৮টির দর অপরিবর্তিত ছিল। বাজারে লেনদেনের গতি ধীর এবং বিনিয়োগকারীদের মনোভাব এখনো নেতিবাচক। এই প্রেক্ষাপটে মৌলভিত্তিহীন শেয়ারে দরবৃদ্ধিকে স্বাভাবিক বাজার প্রতিক্রিয়া বলা যাচ্ছে না।
বিনিয়োগকারীদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে—বাজারে দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকতে হলে শুধুমাত্র দরবৃদ্ধি নয়, বরং কোম্পানির মৌলভিত্তি, স্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির সক্ষমতা বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
আল-আমিন ইসলাম/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- শেষ হলো মেলবোর্ন স্টার্স বনাম বাংলাদেশের মধ্যকার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড জায়গা পেলেন যারা
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় আইসিবির বিশেষ তহবিল থাকবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- ৮ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণা, ছয় কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা খেলো ধাক্কা
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- ‘ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’—ড. ইউনূস
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বাঁচা মরার ম্যাচ
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি