৬৬ কোম্পানির বিরুদ্ধে বিএসইসি’র কঠোর অবস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় একধাপ এগিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সময়মতো ডিভিডেন্ড না দেওয়া ও শেয়ার ধারণে গাফিলতির দায়ে একযোগে ৬৬টি কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বিএসইসির ভাষ্য, “বাজারে স্বচ্ছতা, ন্যায়নীতি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতেই এবার আপসহীন নীতি।”
ডিভিডেন্ড দিতে ভুলে যাওয়া ২২ কোম্পানি
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘোষণা দিয়েও সময়মতো ডিভিডেন্ড বিতরণ করেনি এমন ২২টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীদের নিয়ে সম্প্রতি বসে বিএসইসি। আলোচনায় উঠে আসে একের পর এক অজুহাত, কিন্তু কমিশন জানিয়ে দেয়—এই ব্যর্থতা গ্রহণযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন:
ডিএসই-ডিবিএ বৈঠকে পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে যুগান্তকারী প্রস্তাবনা
ওষুধ খাতের ১৫ কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে
ওষুধ খাতের ১৫ কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে
বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জানিয়ে দেওয়া হয়, বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার বেলায় গাফিলি মানেই আইন লঙ্ঘন। তাই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সিকিউরিটিজ আইনের আওতায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
৩০% শেয়ার ধারণ না করায় ৪৪ কোম্পানিকে চিঠি
এখানেই শেষ নয়। উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা মিলে কোম্পানির ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করবেন—এই নিয়ম বহু পুরনো হলেও এখনো মানছে না ৪৪টি কোম্পানি। বিষয়টি নজরে আসার পর সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে কড়া বার্তা সম্বলিত চিঠি।
কমিশন জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এ নিয়ম মানতে হবে, নতুবা সিকিউরিটিজ আইনের ধারা অনুযায়ী কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছে।
বিএসইসি’র হুঁশিয়ারি: আইনের বাইরে কেউ নয়
বিএসইসি স্পষ্ট করে দিয়েছে—বাজারে অনিয়মকারীদের আর প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। কমিশনের ভাষায়, “আইনের চোখে সবাই সমান। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির সংস্কৃতি গড়তে এখন প্রয়োজন দৃঢ়তা।”
বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে এ ধরনের কঠোর বার্তা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে তাঁদের মতে, শুধু ঘোষণা নয়, বাস্তবায়নে ধারাবাহিকতা ও কঠোরতা থাকলেই তবেই বাজারে ফিরবে প্রকৃত স্থিতিশীলতা।
শেয়ারবাজার কোনো গোষ্ঠীর খেলার মাঠ নয়। এটি লাখো বিনিয়োগকারীর আশা-ভরসার জায়গা। তাই বিএসইসির এই কঠোর অবস্থান শুধু সময়োপযোগী নয়, বরং ভবিষ্যৎ বাজার ব্যবস্থার জন্য এক প্রয়োজনীয় মোড়।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- নকল অ্যাপ, ভুয়া ব্রোকারেজ: শেয়ারবাজারের বড় প্রতারণা উন্মোচন
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কবার্তা: ৩,০০০ সদস্যের প্রতারক চক্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬৪% ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- শেয়ারবাজারে আলোড়ন: ৯ স্টকে বাই সিগন্যাল, নতুন সুযোগ?
- সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর: নতুন পে-স্কেল, কার কত বেতন বাড়বে
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করলো ৮ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে নতুন মোড়: ফিরছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা!
- বিনিয়োগকারীদের চিন্তা দুর করলো ৯ কোম্পানির শেয়ার
- ২,৩০০ কোটি টাকার বন্ডে শেয়ারবাজারে আলোড়ন: বিএসইসি'র অনুমোদন
- আজ বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ: কখন, কোথায় ও কিভাবে লাইভ দেখবেন
- পে-স্কেল নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুখবর দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
- উদ্যোক্তা পরিচালকের ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ার বিক্রি: বিনিয়োগকারীদের আস্থা কি ঝুঁকিতে?
- ইন্টার মায়ামি বনাম শিকাগো ফায়ার: শেষ ৮ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচ
- আগামীকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে ৪ পরিবর্তন
- রেকর্ড চাহিদা: বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ২৪ কোম্পানির শেয়ার