ঢাকা, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

বিশ্বকাপ ও অলিম্পিক খেলার সুযোগ বাংলাদেশের, কঠিন পথে সহজ সমীকরণ

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ০৪ ২৩:১৮:০০
বিশ্বকাপ ও অলিম্পিক খেলার সুযোগ বাংলাদেশের, কঠিন পথে সহজ সমীকরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন দেখে না, স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখার সাহস করে। আর সেটা এবার নারী ফুটবলে। প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলার বাঘিনীরা। এই অর্জনের হাত ধরেই বাংলাদেশের সামনে খুলেছে ২০২৭ নারী বিশ্বকাপ ও ২০২৮ অলিম্পিক গেমসে খেলার সম্ভাবনার দরজা।

মাত্র তিন ম্যাচ দূরে বিশ্বকাপ!

অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য, বাংলাদেশ এখন বিশ্বকাপের খুব কাছাকাছি। ফুটবল বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে হলে বাংলাদেশের মেয়েদের এখন জিততে হবে মাত্র তিনটি ম্যাচ। অর্থাৎ, এশিয়ান কাপে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ।

এশিয়ান কাপ থেকেই নির্ধারিত হবে বিশ্বকাপ ও অলিম্পিকের টিকিট

আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় বসছে নারী এশিয়ান কাপের মূল আসর। এতে অংশ নেবে মোট ১২টি দল। এর মধ্যে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চীন, রানার্সআপ দক্ষিণ কোরিয়া ও তৃতীয় স্থানাধিকারী জাপান—এই চারটি দল আগে থেকেই মূলপর্বে রয়েছে।

বাংলাদেশ নিজেদের গ্রুপ থেকে সবার আগে মূলপর্ব নিশ্চিত করেছে। বাকিদের মধ্যে বাছাইপর্বে এগিয়ে রয়েছে উত্তর কোরিয়া, ভারত, নেপাল, উজবেকিস্তান, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, ইরান, ভিয়েতনাম, জর্ডান ও চাইনিজ তাইপে।

মূলপর্বে ১২টি দল অংশ নিলেও কেবল শীর্ষ ৮টি দল পাবে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ। শীর্ষ ৬ দল যাবে সরাসরি বিশ্বকাপে। সপ্তম ও অষ্টম দলকে লড়তে হবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফে। তবে এই ৮ দলের সবাই পাবে ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে খেলার সুযোগও।

স্বপ্নের পথে বাংলাদেশের বাধা কোথায়?

সমীকরণ যতটা সহজ, বাস্তবতা ততটাই কঠিন। কেননা র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান বাকি দলগুলোর তুলনায় অনেকটাই নিচে। অধিকাংশ প্রতিপক্ষই আন্তর্জাতিক ফুটবলে বহু অভিজ্ঞ ও শক্তিশালী।

তবে নারী ফুটবলে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার গল্প নতুন কিছু নয়। জাতীয় দলের পাশাপাশি বয়সভিত্তিক পর্যায়েও আন্তর্জাতিক সাফল্য বাংলাদেশকে দিয়েছে আত্মবিশ্বাস। আফ্রিদাদের পারফরম্যান্সে এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা—তারা কতটা লড়াই করতে পারে বড় মঞ্চে।

অলিম্পিকেও ঋতুপর্ণার সম্ভাবনা

বিশ্বকাপের পাশাপাশি অলিম্পিকে খেলার দিকেও নজর রয়েছে বাংলাদেশের। ঋতুপর্ণা দাসের মতো ফুটবলাররা অলিম্পিক মঞ্চে প্রতিনিধিত্বের সম্ভাবনায় আলো জ্বালাচ্ছেন। অলিম্পিক গেমসে কোনো দলীয় খেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এখন পর্যন্ত হয়নি। সেই ইতিহাস বদলে দেওয়ার হাতছানি দিচ্ছে নারী ফুটবল।

২০২৫ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে বসবে চূড়ান্ত লড়াইয়ের আসর। ১ থেকে ২১ মার্চ চলবে এশিয়ান কাপের মূলপর্ব। আর সেখানেই নির্ধারিত হবে বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্জনগুলো—বিশ্বকাপ ও অলিম্পিকের টিকিট।

স্বপ্নটা এবার আর ধোঁয়াটে নয়, স্পষ্ট ও বাস্তবের খুব কাছাকাছি। এখন শুধু সময় বাংলাদেশের মেয়েদের সাহস, যোগ্যতা আর লড়াকু মনোভাবের প্রমাণ দেওয়ার।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

তিন কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

তিন কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত তিনটি কোম্পানি সম্প্রতি ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র গ্রামীণফোন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন ১১০ শতাংশ... বিস্তারিত