ঢাকা, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২

চেলসি বনাম পালমেইরাস কোয়ার্টার ফাইনাল: শেষ হলো ৯০ মিনিটের খেলা

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ০৫ ০৮:৪০:৫৭
চেলসি বনাম পালমেইরাস কোয়ার্টার ফাইনাল: শেষ হলো ৯০ মিনিটের খেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রিত পারফরম্যান্সে দারুণ জয় তুলে নিয়েছে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসি। ২০২৫ সালের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তারা ব্রাজিলিয়ান জায়ান্ট পালমেইরাসকে ২-১ গোলে হারিয়ে জায়গা করে নিয়েছে প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে। যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার লিঙ্কন ফিন্যান্সিয়াল ফিল্ডে অনুষ্ঠিত হয় এই বহুল প্রতীক্ষিত ম্যাচটি।

চেলসি শুরু থেকেই বল দখল এবং গেমের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয়। ম্যাচের মাত্র ১৬তম মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তরুণ মিডফিল্ডার কোল পামার। ম্যাচে চেলসির আধিপত্য বোঝাতে পরিসংখ্যানই যথেষ্ট — তারা পুরো ম্যাচজুড়ে ৬৩ শতাংশ বল দখলে রেখেছিল এবং ১৭টি শট নিয়েছিল, যার মধ্যে চারটি ছিল অন টার্গেট।

তবে প্রথমার্ধে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়া পালমেইরাস দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। তাদের প্রতিভাবান উইঙ্গার এস্তেভাও ৫৩ মিনিটে চমৎকার একটি গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। গোলটি আসে পালমেইরাসের পরিকল্পিত আক্রমণ থেকে, যেখানে চেলসির রক্ষণ কিছুটা বিভ্রান্ত ছিল।

কিন্তু ভাগ্য আর দৃঢ়তা চেলসির পক্ষে কাজ করে ম্যাচের শেষ ভাগে। ৮৩তম মিনিটে পালমেইরাসের ডিফেন্ডার আগুস্তিন গিয়াই নিজের জালেই বল পাঠিয়ে বসেন, যা আত্মঘাতী গোল হিসেবে ধরা পড়ে এবং চেলসিকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেয়। এই গোলই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়।

ম্যাচের গোল স্কোরাররা:

চেলসি: কোল পামার (১৬’), আগুস্তিন গিয়াই (৮৩’ আত্মঘাতী)

পালমেইরাস: এস্তেভাও (৫৩’)

ম্যাচ পরিসংখ্যান:

শট সংখ্যা: চেলসি ১৭, পালমেইরাস ৭

অন টার্গেট শট: চেলসি ৪, পালমেইরাস ২

বল দখল: চেলসি ৬৩%, পালমেইরাস ৩৭%

পাস সংখ্যা: চেলসি ৪৮৫, পালমেইরাস ২৮০

পাসের সফলতা: চেলসি ৮৭%, পালমেইরাস ৮১%

ফাউল: চেলসি ১৫, পালমেইরাস ১৩

হলুদ কার্ড: চেলসি ৩, পালমেইরাস ১

লাল কার্ড: নেই

অফসাইড: পালমেইরাস ৩, চেলসি ০

কর্নার: চেলসি ৮, পালমেইরাস ৩

ম্যাচ ভেন্যু: লিঙ্কন ফিন্যান্সিয়াল ফিল্ড, ফিলাডেলফিয়া, যুক্তরাষ্ট্র

চেলসির এই জয় শুধু ক্লাব বিশ্বকাপে তাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়াবে না, বরং নতুন কোচের অধীনে দলের গঠন ও কৌশলগত উন্নতিরও প্রমাণ দেয়। ম্যাচে দলের রক্ষণভাগ দৃঢ় ছিল, মাঝমাঠে ছিল সৃষ্টিশীলতা এবং আক্রমণে ছিল গতিময়তা। বিশেষ করে কোল পামারের পারফরম্যান্স প্রশংসার দাবি রাখে।

অন্যদিকে, পালমেইরাসের জন্য এটি হতাশাজনক হার হলেও তারা প্রতিযোগিতায় নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মানসিকতা দেখিয়েছে। বিশেষ করে এস্তেভাওয়ের গোল এবং দ্বিতীয়ার্ধের আক্রমণাত্মক রূপ ফুটবলপ্রেমীদের মুগ্ধ করেছে।

চেলসি এবার সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে সম্ভাব্য কোনো ইউরোপিয়ান অথবা লাতিন আমেরিকান প্রতিপক্ষের সঙ্গে। আগ্রহ এখন তাদের পরবর্তী ম্যাচে, যেখানে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে চাইবে ব্লুজরা।

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের এই ম্যাচটি আরও একবার প্রমাণ করল— ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর দক্ষতা এবং গেম ম্যানেজমেন্ট এখনো বিশ্বসেরা। ফুটবলবিশ্বের চোখ এখন চেলসির দিকে—তারা কি পারবে তাদের দ্বিতীয় ক্লাব বিশ্বকাপ ট্রফি জিততে?

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ