ঢাকা, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২

বাংলাদেশ বনাম তুর্কমেনিস্তান: ২৫ মিনিটে ৬ গোল, চলছে গোল উৎসব

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ০৫ ১৮:৫৫:৫৪
বাংলাদেশ বনাম তুর্কমেনিস্তান: ২৫ মিনিটে ৬ গোল, চলছে গোল উৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক: এ যেন গোলের বৃষ্টি নয়, ঝড়! নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকে যেন মাঠে নামতেই দেয়নি বাংলাদেশ। প্রথমার্ধেই ৭-০ গোলের লিড—যেখানে এক মুহূর্তও মনে হয়নি ম্যাচটি শুধুই নিয়মরক্ষার।

ইয়াঙ্গুনের সবুজ গালিচায় শুক্রবার শুরু থেকেই আগুন ঝরাতে থাকে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ম্যাচের বাঁশি বাজার মাত্র তিন মিনিট পরেই স্বপ্না রানীর পা থেকে গোল, যেন আগাম ইঙ্গিত—আজ রেহাই নেই! এরপর শুরু হয় একের পর এক গোলের মহড়ার।

৬ ও ১৩ মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়রের জোড়া গোলে যেন তুর্কমেনিস্তানের ডিফেন্স পুরোপুরি এলোমেলো। এরপর ১৬ থেকে ২০ মিনিটের মাঝে তিন মিনিটে তিন গোল—মনিকা, ঋতুপর্ণা ও তহুরার পা থেকে। একেকটা গোল যেন প্রতিপক্ষ রক্ষণের গায়ে বাজ পড়ার মতো।

প্রথমার্ধ যখন শেষের দিকে, তখনও থেমে থাকেননি ঋতুপর্ণা। ৪২ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের সপ্তম গোলটি করে ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে আরও একবার কাঁপিয়ে দেন তুর্কমেন রক্ষণকে।

এই ম্যাচে জয় নয়, বরং কৌশল ধরে রাখা, ছন্দে থাকা আর আত্মবিশ্বাস মজবুত করাই ছিল বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য। কারণ আগের ম্যাচেই শক্তিশালী স্বাগতিক মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারিয়ে মূল পর্ব নিশ্চিত করেছে তারা। তবে যেভাবে আজ মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ, তাতে বুঝিয়ে দিয়েছে—‘নিয়মরক্ষা’ তাদের অভিধানে নেই।

প্রথম ম্যাচে বাহরাইনকে ৭-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে প্রথমার্ধেই এসেছিল ৫ গোল। আজ সেই রেকর্ডও ভেঙে দিল পিটার বাটলারের দল। তুর্কমেনিস্তান তাদের প্রথম ম্যাচে মিয়ানমারের কাছে হজম করেছিল ৮ গোল, আজকের ম্যাচেও ছিটেফোঁটা প্রতিরোধও দেখাতে পারেনি তারা।

সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো, তিনটি ম্যাচেই একই একাদশ খেলিয়ে দারুণ ছন্দ তৈরি করেছেন কোচ বাটলার। মাঠে ফুটবলারদের মধ্যে বোঝাপড়া, পজিশনিং ও আগ্রাসী মানসিকতা—সবই যেন একটি সুসংগঠিত মহড়ার মতো।

বাংলাদেশ নারী দলের বাছাই পর্বের পারফরম্যান্স ছিল যেন সাহস, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নের মিশেল। তিন ম্যাচে ১৬ গোল, মাত্র ১টি হজম। এশিয়া কাপের মূল পর্বে লড়াই এখন তাদের সামনে। তবে ইয়াঙ্গুনের আকাশে আজ বাংলাদেশের মেয়েরা নিজেদের পায়ে গড়া গল্প দিয়ে বুঝিয়ে দিল—স্বপ্ন দেখতে জানলে, জিততেও সময় লাগে না।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ