ঢাকা, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

ডিএসইতে ৮ কোম্পানির শেয়ার ৫২ সপ্তাহের সর্বোচ্চ দামে লেনদেন

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ১১ ২৩:১১:১৭
ডিএসইতে ৮ কোম্পানির শেয়ার ৫২ সপ্তাহের সর্বোচ্চ দামে লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামগ্রিক সূচকগত দুর্বলতার মধ্যেও কিছু কোম্পানি শেয়ারবাজারে শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে। গত এক বছরে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদাম কমলেও ৮টি প্রতিষ্ঠান ৫২ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে লেনদেন হয়েছে।

২০২৪ সালের ২ জুলাই ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৫,৫৯৬ পয়েন্ট। এক বছর পর, ২০২৫ সালের একই সময়ে, সূচক দাঁড়িয়েছে ৫,০৬৮ পয়েন্টে; অর্থাৎ সূচক কমেছে ৫২৮ পয়েন্ট। এর মধ্যে বাজারে অনেক কোম্পানির শেয়ারদাম পতনের দিকে গেলেও কিছু কোম্পানি বাজারে উল্টো প্রবণতা দেখিয়েছে।

স্টকনাও সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, যে ৮টি কোম্পানি ৫২ সপ্তাহের মধ্যে তাদের সর্বোচ্চ দামে পৌঁছেছে, সেগুলোর তালিকা ও শেয়ারদামের বিবরণ নিচে তুলে ধরা হলো:

১. ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড

সর্বনিম্ন দাম: ৩৬.১০ টাকা

সর্বশেষ লেনদেন: ৫৯.৩০ টাকা (সর্বোচ্চ)

ক্লোজিং মূল্য: ৫৩.৮০ টাকা

২. সিএপিএমবিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড

সর্বনিম্ন ইউনিটপ্রতি মূল্য: ৫.৪০ টাকা

সর্বশেষ লেনদেন: ১০.২০ টাকা (সর্বোচ্চ)

ক্লোজিং মূল্য: ১০.১০ টাকা

৩. দেশ গার্মেন্টস

সর্বনিম্ন দাম: ৫৬.৬০ টাকা

সর্বশেষ লেনদেন: ১২৩.৬০ টাকা (সর্বোচ্চ)

৪. ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড

সর্বনিম্ন দাম: ২০.৭০ টাকা

সর্বশেষ লেনদেন: ২৫.০০ টাকা (সর্বোচ্চ)

ক্লোজিং মূল্য: ২৪.৮০ টাকা

৫. জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ

সর্বনিম্ন দাম: ১১২.০০ টাকা

সর্বশেষ লেনদেন: ১৯৯.৫০ টাকা (সর্বোচ্চ)

ক্লোজিং মূল্য: ১৯৬.০০ টাকা

৬. প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড

সর্বনিম্ন দাম: ২০.৩০ টাকা

সর্বশেষ লেনদেন: ২৫.৫০ টাকা (সর্বোচ্চ)

বি.দ্র.: ক্লোজিং হিসেবে ১২৫.৪০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে, যা প্রকাশিত তথ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং এটি যাচাইসাপেক্ষ।

৭. সমতা লেদার

সর্বনিম্ন দাম: ৩৫.০০ টাকা

সর্বশেষ লেনদেন: ৫৯.৫০ টাকা (সর্বোচ্চ)

ক্লোজিং মূল্য: ৫৯.০০ টাকা

৮. স্টাইলক্রাফট লিমিটেড

সর্বনিম্ন দাম: ৩৫.০০ টাকা

সর্বশেষ লেনদেন: ৬৯.১০ টাকা (সর্বোচ্চ)

ক্লোজিং মূল্য: ৬৮.৪০ টাকা

বাজার বিশ্লেষণ

ডিএসইর বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদামে ইতিবাচক পরিবর্তন বাজারে তাদের অবস্থানকে তুলে ধরছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা, ভালো মুনাফা, স্বচ্ছ আর্থিক প্রতিবেদন বা ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার কারণে এসব কোম্পানি বাজারের নিচের দিক থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।

তবে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রতিষ্ঠানগুলোর মৌলিক বিশ্লেষণ, সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও সামগ্রিক বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

জামিরুল ইসলাম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ