চীনে ইংরেজি শেখার প্রয়োজন কেন নেই? জেনে নিন কারণগুলো

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বজুড়ে যখন ইংরেজি ভাষা আন্তর্জাতিক যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত, তখন চীন যেন হাঁটছে ঠিক উল্টো পথে। দেশটির প্রায় ৯৯.৫ শতাংশ নাগরিক ইংরেজিতে অনভিজ্ঞ—এই পরিসংখ্যান শুনে অনেকেই অবাক হতে পারেন। তবে এর পেছনে রয়েছে চীনের সুস্পষ্ট কৌশল ও জাতীয় দর্শন।
অর্থনীতি, প্রযুক্তি, প্রশাসন ও শিক্ষা—সবখানেই চীন তৈরি করেছে নিজস্ব ভাষা নির্ভর একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা। মান্দারিন ভাষা তাদের জাতীয় ও প্রশাসনিক ভাষা হওয়ায় ইংরেজির প্রয়োজন সেখানে খুবই সীমিত। ফলে ভাষাটি শেখার প্রতি জনগণের আগ্রহও অনেক কম।
চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজিভিত্তিক কোর্স খুবই কম। চিকিৎসা, প্রকৌশল বা তথ্যপ্রযুক্তির মতো বিষয়ের শিক্ষার্থীদেরও মান্দারিন ভাষা জানতেই হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘HSK’ নামের একটি চাইনিজ ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভাষা শিক্ষার এই সীমিত নীতির পেছনে রয়েছে চীনের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষা এবং পশ্চিমা আধিপত্য থেকে নিজেদের দূরে রাখার প্রয়াস। চীন চায় বিশ্বকে দেখাতে—তারা ইংরেজির ওপর নির্ভর না করেও শক্তিশালীভাবে টিকে থাকতে পারে।
চীন নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবস্থার মাধ্যমে তৈরি করেছে উইচ্যাট, উইবো, বাইদু’র মতো জনপ্রিয় অ্যাপ ও সার্চ ইঞ্জিন। পশ্চিমা বিশ্বের গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ সেখানে কার্যত নিষ্ক্রিয়। এর ফলে তারা তৈরি করেছে এক ধরনের ‘ডিজিটাল চীন’—যেখানে বাইরের ভাষা বা প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজন পড়ে না।
বিশাল জনসংখ্যার কারণে চীনের রয়েছে একটি বৃহৎ অভ্যন্তরীণ বাজার। এই বাজারেই ঘুরে বেড়ায় তাদের উৎপাদন, সংস্কৃতি ও প্রযুক্তি। তাই আন্তর্জাতিক ভাষা ব্যবহার না করেও চীন বিশ্ব অর্থনীতিতে শক্ত প্রতিযোগী হয়ে উঠেছে।
বিশ্বায়নের যুগে যেখানে মনে করা হয় ইংরেজি ছাড়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনে টিকে থাকা সম্ভব নয়, সেখানে চীনের উদাহরণ বলছে—ভাষা নয়, আসল শক্তি হলো প্রভাব। এই বার্তাই যেন জোর গলায় বলে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
FAQ:
প্রশ্ন: চীনে এত কম মানুষ ইংরেজি জানে কেন?
উত্তর: চীনের অভ্যন্তরীণ জীবনব্যবস্থা ও প্রযুক্তি পুরোটাই মান্দারিনভিত্তিক হওয়ায় ইংরেজির ব্যবহার সেখানে অপ্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত।
প্রশ্ন: চীনে বিদেশিদের জন্য মান্দারিন শেখা কি বাধ্যতামূলক?
উত্তর: হ্যাঁ, চীনে উচ্চশিক্ষা নিতে হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ‘HSK’ নামে একটি মান্দারিন ভাষার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।
প্রশ্ন: চীন কি ইচ্ছাকৃতভাবে ইংরেজিকে এড়িয়ে চলছে?
উত্তর: অনেক বিশ্লেষকের মতে, চীন জাতীয় পরিচয় ও সাংস্কৃতিক স্বকীয়তা রক্ষার জন্য সচেতনভাবেই ইংরেজি শেখাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
প্রশ্ন: গুগল-ফেসবুক চীনে নিষিদ্ধ কেন?
উত্তর: চীন নিজের প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম যেমন উইচ্যাট, বাইদু, উইবো ব্যবহার করে থাকে এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভরতা কমানোর নীতিতে চলে।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- মার্জিন বিধিমালা ২০২৫ খসড়া প্রকাশ, বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় ঘোষণা
- আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের বড় ঘোষণা, শেয়ারে হঠাৎ চাহিদার ঝড়
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিএসইর বিশেষ সতর্কবার্তা
- বাংলাদেশ বনাম নেপাল: লস টাইমে গোল, শেষ হলো ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ৯ কোম্পানির শেয়ার
- বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কবার্তা: বিমা খাত এখন ঝুঁকির মধ্যে
- আট ব্রোকারেজ হাউজের বিরুদ্ধে বিএসইসির পদক্ষেপ, তালিকায় সাকিবের প্রতিষ্ঠান
- মার্জিন রুলস নিয়ে বিএসইসির নতুন সিদ্ধান্ত
- আজকের শেয়ারবাজার: বিক্রেতা সংকটে ৯ কোম্পানি হল্টেড
- বিনিয়োগকারীরা সাবধান: ডিএসইর গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা
- বাংলাদেশ বনাম নেপাল: ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- আপনার মতামতেই চূড়ান্ত হবে শেয়ারবাজারের মার্জিন রুলস
- বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ৫ কোম্পানির শেয়ার
- ঢাকায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিল ঠেকালো পুলিশ-জনতা
- বিক্রেতা সংকটে হল্টেড ৫ কোম্পানির শেয়ার