ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

Archita Phukan: ভাইরাল ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলটি ভুয়া, গ্রেপ্তার প্রেমিক

বিনোদন ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ১৬ ১৯:৩০:২২
Archita Phukan: ভাইরাল ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলটি ভুয়া, গ্রেপ্তার প্রেমিক

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে ‘Archita Phukan’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তুমুল আলোড়ন। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিক বোল্ড ছবি ও রিল প্রকাশিত হয়, যার মধ্যে একটি ছবিতে এক নারীকে মার্কিন প্রাপ্তবয়স্ক তারকা কেন্দ্রা লাস্ট-এর সঙ্গে দেখা যায়। মুহূর্তেই ভাইরাল হয় পোস্টগুলো, এবং শুরু হয় প্রশ্ন—আসলে কে এই আর্চিতা ফুকন?

তবে তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এই ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলটি আর্চিতা ফুকনের নিজস্ব ছিল না, বরং এটি তৈরি করেছিলেন তার প্রাক্তন প্রেমিক প্রতিম বরা। বর্তমানে অ্যাকাউন্টটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে @ishtaraamira।

গ্রেপ্তার প্রতিম, আইনের মুখোমুখি

অসমের ডিব্রুগড় পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিম বরা-র বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে—

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন

ডিজিটাল হেনস্তা

মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রচার

পুলিশ বলছে, এটি ছিল এক পরিকল্পিত প্রতিহিংসা যেখানে প্রেম ভেঙে যাওয়ার পর নারীর সম্মানহানির উদ্দেশ্যে ভুয়া পরিচয়ে ছবি ও কনটেন্ট প্রকাশ করা হয়।

কে এই আর্চিতা ফুকন?

অনলাইন সূত্র 'Tech To Facts'-এর তথ্যমতে, আর্চিতা ফুকন একজন বাস্তব ব্যক্তি। তিনি ১৯৯৫ সালে গুৱাহাটী, অসমে জন্মগ্রহণ করেন। পড়াশোনা করেছেন হাটিগাঁওয়ের লিটল ফ্লাওয়ার হাই স্কুলে এবং স্নাতক সম্পন্ন করেন Delhi College of Technology and Management, Ganaur থেকে।

ক্যারিয়ার শুরু করেন মডেলিং দিয়ে। বন্ধুদের সহযোগিতায় তিনি মুম্বাই যান এবং সেখানে তাকে Playboy Lingerie মডেল হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়েছে ওই সূত্রে।

পুলিশের বক্তব্য: “সে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্টে জড়িত নয়”

আসাম পুলিশ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে জানিয়েছে, আর্চিতা ফুকন কোনোভাবেই পর্ন ইন্ডাস্ট্রি বা প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্টের সঙ্গে যুক্ত নন। পুলিশ বলেছে—

“আর্চিতা বর্তমানে ভারতে রয়েছেন এবং কোনো আপত্তিকর কনটেন্টের সঙ্গে জড়িত নন। এটি ছিল তার চরিত্র হননের উদ্দেশ্যে সাজানো একটি ষড়যন্ত্র।”

ডিজিটাল নিরাপত্তায় নতুন উদ্বেগ

এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও সামনে এলো ডিজিটাল প্রতারণা, ভুয়া পরিচয় এবং প্রতিশোধমূলক কনটেন্ট ছড়িয়ে দেওয়ার বিপজ্জনক দিক। একটি সম্পর্ক ভাঙার জেরে কীভাবে একজন নারীকে সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা হতে পারে, তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এই মামলায়।

সংবাদের দায়মুক্তি: প্রতিবেদনটি বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি। তথ্য যাচাই করে গ্রহণের অনুরোধ রইল।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ