ঢাকা, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২

১৩৫ দিনে কুরআন হেফজ করে নজির গড়ল ১০ বছরের শিশু ফজলে রাব্বুল

সারাদেশ ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ২৮ ১৪:০৭:৫৩
১৩৫ দিনে কুরআন হেফজ করে নজির গড়ল ১০ বছরের শিশু ফজলে রাব্বুল

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে উচ্ছ্বাস ও গর্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাত্র ১৩৫ দিনে (চার মাস ১৫ দিনে) পবিত্র কুরআন সম্পূর্ণ মুখস্থ করে নজির গড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১০ বছর বয়সী শিশু মোহাম্মদ ফজলে রাব্বুল। বিস্ময়কর এই সাফল্যে স্থানীয় এলাকাজুড়ে বইছে আনন্দ ও গর্বের বন্যা। কৃতিত্ব উদ্‌যাপন করতে আয়োজিত হয় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের শ্রীঘর চকবাজারে অবস্থিত হযরত শাহজালাল (রহ.) দারুল সুন্নাহ হাফিজিয়া হিফজুল কোরআন মডেল মাদ্রাসা ও হযরত ফাতেমাতুজ জাহেরা (রহ.) সুন্নীয়া মহিলা মাদ্রাসা যৌথভাবে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম (শিরু)। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আলেম মাওলানা মুফতি কাজি আলাউদ্দিন আহমেদ, যিনি মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন।

শিশু ফজলে রাব্বুল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামের বাসিন্দা। পিতা মোহাম্মদ ফরিদ মিয়া ও মাতা পারভীন বেগম–এর একমাত্র স্বপ্ন ছিল ছেলেকে হাফেজ হিসেবে গড়ে তোলা। সন্তান সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে মাত্র ১০ বছর বয়সেই।

ফজলে রাব্বুল জানায়,

“আমার শিক্ষকরা আমাকে খুব সাহায্য করেছেন। তাদের ভালোবাসা ও দিকনির্দেশনা, আর নিজের মনোযোগই আমাকে এত দ্রুত হেফজ সম্পন্ন করতে সাহায্য করেছে। আমি বড় হয়ে একজন বড় আলেম হতে চাই।”

মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ ক্বারী জাকারিয়া আহমদ জাকির বলেন,

“রাব্বুল অত্যন্ত মনোযোগী, ধারাবাহিক এবং পরিশ্রমী ছাত্র। এত অল্প সময়ে হিফজ শেষ করাটা অত্যন্ত দুর্লভ। আমরা বিশ্বাস করি, সে ভবিষ্যতে একজন যুগসেরা আলেম হিসেবে সমাজে ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ।”

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আবু বক্কর সিদ্দিক। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন প্রধান শিক্ষক হাফেজ জাকারিয়া আহমদ জাকির।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন:

মাওলানা মুফতি জাবেদুর রহমান সিদ্দিকী, আরবি প্রভাষক, নারায়ণপুর ডিএস কামিল মাদ্রাসা

মো. আমিনুল ইসলাম আমিন, সহ-সভাপতি, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি

শেখ কাউসার আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক

জসিম উদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক

এই সাফল্যে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা আনন্দ প্রকাশ করেন। ফজলে রাব্বুলের জন্য দোয়া চেয়েছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও তার পরিবার।

জামিরুল ইসলাম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ