ঢাকা, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২

MD Zamirul Islam

Senior Reporter

লিগস কাপ ফাইনাল:

ইন্টার মায়ামি বনাম সিয়াটল সাউন্ডার্স ম্যাচ রির্পোট: ৩ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচ শেষ

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০১ ০৮:১৬:০৯
ইন্টার মায়ামি বনাম সিয়াটল সাউন্ডার্স ম্যাচ রির্পোট: ৩ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচ শেষ

লিগস কাপ: মায়ামিকে উড়িয়ে সিয়াটল সাউন্ডার্সের দাপুটে জয় ৩-০

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ লিগস কাপের রোমাঞ্চকর ম্যাচে সিয়াটল সাউন্ডার্স তাদের ঘরের মাঠে ইন্টার মায়ামিকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে এক দারুণ জয় তুলে নিয়েছে। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সিয়াটলের খেলোয়াড়রা মাঠে যে দাপট দেখিয়েছেন, তাতে মায়ামির তারকাবহুল দলটি পুরোপুরি কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। সিয়াটলের হয়ে ওসাজে ডি রোজারিও, অ্যালেক্স রোল্ডান এবং পল রথরক একটি করে গোল করেন।

ম্যাচের প্রথমার্ধ: সিয়াটলের আক্রমণাত্মক শুরু এবং ডি রোজারিও-র গোল

ম্যাচের শুরু থেকেই সিয়াটল সাউন্ডার্স আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। নিজেদের মাঠে দর্শকদের সামনে তারা শুরুতেই চাপ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। ম্যাচের ২৬ মিনিটের মাথায় সিয়াটলের ফরোয়ার্ড ওসাজে ডি রোজারিও এক দারুণ গোল করে দলকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। এই গোলের পর ইন্টার মায়ামি ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করলেও সিয়াটলের রক্ষণভাগ ছিল অটুট। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হওয়ায় সিয়াটল ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায়। এই অর্ধে মায়ামি বল পজিশনে এগিয়ে থাকলেও কার্যকরী আক্রমণে তারা ব্যর্থ হয়।

দ্বিতীয় ভাগ: রোল্ডান ও রথরকের গোলে জয়ের ব্যবধান বৃদ্ধি

দ্বিতীয় অর্ধে ইন্টার মায়ামি ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালালেও সিয়াটলের সুসংগঠিত ডিফেন্স এবং মিডফিল্ড তাদের কোনো সুযোগ দেয়নি। উল্টো, ম্যাচের শেষ দিকে সিয়াটল আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে সিয়াটল একটি পেনাল্টি পায়। দলের নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় অ্যালেক্স রোল্ডান পেনাল্টি থেকে গোল করতে কোনো ভুল করেননি এবং ব্যবধান ২-০ করেন। এই গোলের পর মায়ামির জয়ের আশা প্রায় শেষ হয়ে যায়। এরপর ম্যাচের ৮৯ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় পল রথরক এক দুর্দান্ত গোল করে সিয়াটলের ৩-০ গোলের জয় নিশ্চিত করেন। শেষ বাঁশি বাজার আগ পর্যন্ত সিয়াটল তাদের দাপট বজায় রাখে।

পরিসংখ্যানের আয়নায় ম্যাচের চিত্র: মায়ামির বল পজেশন, সিয়াটলের কার্যকারিতা

ম্যাচের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ইন্টার মায়ামি পুরো ম্যাচে ৬৮% বল পজিশন নিজেদের দখলে রেখেছিল এবং ৫৯০টি সফল পাস খেলেছিল, যা সিয়াটলের (৩২% পজিশন, ২৬৯ পাস) তুলনায় অনেক বেশি। কিন্তু ফুটবলে কেবল বল পজেশনই সব নয়, কার্যকরী আক্রমণ এবং গোল করাটাই আসল। সিয়াটল সাউন্ডার্স মোট ১১টি শট নেয়, যার মধ্যে ৬টি ছিল গোলমুখে এবং এর মধ্যে ৩টি গোলে পরিণত হয়। অন্যদিকে, ইন্টার মায়ামি ১০টি শট নিলেও তাদের একটিও গোলমুখে ছিল না, যা তাদের আক্রমণভাগের ব্যর্থতা প্রমাণ করে। মায়ামি ৮টি কর্নার পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি, যেখানে সিয়াটল ৪টি কর্নার পেয়েছিল। মায়ামির খেলোয়াড়রা ২টি হলুদ কার্ড দেখলেও সিয়াটলের কোনো খেলোয়াড় কার্ড দেখেননি।

ভবিষ্যৎ প্রভাব:

এই জয় সিয়াটল সাউন্ডার্সকে লিগস কাপে এক শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে গেল। অন্যদিকে, ইন্টার মায়ামির জন্য এই হার একটি বড় ধাক্কা, যা তাদের টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে। সিয়াটলের দলগত পারফরম্যান্স এবং কার্যকরী ফিনিশিং এই ম্যাচে তাদের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি ছিল।

জামিরুল ইসলাম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ