ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২

Alamin Islam

Senior Reporter

৭টি খাবার ফ্রিজে রাখলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি!

লাইফ স্টাইল ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৯ ১২:০১:৫৮
৭টি খাবার ফ্রিজে রাখলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি!

ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণ আধুনিক জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও, কিছু খাবার ২৪ ঘণ্টার বেশি ফ্রিজে রাখলে তা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব খাবারে দ্রুত ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জন্মায়, যা খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটিয়ে শরীরের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে সক্ষম। নিচে এমন ৭টি সাধারণ খাবারের তালিকা দেওয়া হলো, যা ফ্রিজে রাখা থেকে বিরত থাকা উচিত।

১. পেঁয়াজ: অর্ধেক কাটা পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখলে দ্রুত ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটে। এর ফলে পেটের গুরুতর সমস্যা এমনকি ফুড পয়জনিংও হতে পারে। গোটা পেঁয়াজ ঠাণ্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করাই বেশি নিরাপদ।

২. আদা: আদা ফ্রিজে রাখলে তাতে ছত্রাক জন্ম নিতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে লিভার ও কিডনির ক্ষতির কারণ হতে পারে। আদা এমন জায়গায় রাখা উচিত যেখানে বাতাস চলাচল ভালো।

৩. ভাত: রান্না করা ভাত ফ্রিজে রাখার প্রবণতা অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। তবে, এতে দ্রুত ছত্রাক ও ব্যাসিলাস সিরাস নামক ব্যাকটেরিয়া বংশবিস্তার করে, যা ডায়রিয়া এবং তীব্র খাদ্যে বিষক্রিয়ার অন্যতম কারণ।

৪. আলু: ফ্রিজের ঠান্ডা পরিবেশে আলু রাখলে এর কার্বোহাইড্রেট ভেঙে যায় এবং স্বাদের পরিবর্তন ঘটে। এমনকি রান্না করা আলুর টেক্সচারও নরম ও অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে, যা রান্নার মান কমিয়ে দেয়।

৫. মধু: মধু ফ্রিজে রাখলে এর প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ ও অনন্য স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। বরং, এটি একটি শুষ্ক এবং অন্ধকার স্থানে রাখলে এর গুণাগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে।

৬. রসুন: ছাড়ানো বা বাটা রসুন ফ্রিজে রাখলে তাতে ছত্রাক জন্ম নিতে পারে, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন। সবচেয়ে ভালো উপায় হলো গোটা রসুন কেনা এবং রান্নার ঠিক আগে এটি ছাড়িয়ে ব্যবহার করা।

৭. কলা: ফ্রিজে রাখলে কলার খোসা দ্রুত কালো হয়ে যায় এবং এর প্রাকৃতিক স্বাদও নষ্ট হয়ে যায়। কলা স্বাভাবিক ঘরের তাপমাত্রায় রাখাই এর স্বাদ ও গুণাগুণ ধরে রাখার জন্য সর্বোত্তম।

সুতরাং, সব খাবার ফ্রিজে রাখার উপযোগী নয়। উপরে উল্লিখিত খাবারগুলো ২৪ ঘণ্টার বেশি ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। খাবার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে সচেতন থাকা অত্যাবশ্যক।

আল-মামুন/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ