ঢাকা, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

নটিংহ্যাম ফরেস্ট বনাম চেলসি: দ্বিতীয়ার্ধে নাটকীয় ৩ গোলে শেষ ম্যাচ, জানুন ফলাফল

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৮ ১৯:৩৮:১৫
নটিংহ্যাম ফরেস্ট বনাম চেলসি: দ্বিতীয়ার্ধে নাটকীয় ৩ গোলে শেষ ম্যাচ, জানুন ফলাফল

ফলাফল: নটিংহ্যাম ফরেস্ট ০ - ৩ চেলসি; লাল কার্ড দেখলেন মালো গুস্তো

আজকের প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে চেলসি এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে নটিংহ্যাম ফরেস্টকে তাদেরই মাঠে ০-৩ ব্যবধানে পরাজিত করে পূর্ণ তিন পয়েন্ট অর্জন করেছে। আক্রমণাত্মক ফুটবল ও দক্ষ ফিনিশিংয়ের জেরে চেলসি এই জয় তুলে নেয়।

দ্বিতীয়ার্ধে চেলসির গোলের ঝড়

প্রথমার্ধে কোনো দলই গোলের মুখ দেখতে না পেলেও, দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই চেলসি ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়। মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানে তারা দুটি গোল করে ফরেস্টকে দিশেহারা করে দেয়।

ম্যাচের প্রথম গোলটি আসে ৪৯তম মিনিটে, যখন তরুণ খেলোয়াড় জোশ আচেয়াম্পং (Josh Acheampong) জালে বল জড়ান।

এরপর ৫২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পেদ্রো নেটো (Pedro Neto)।ম্যাচের শেষদিকে, ৮৪তম মিনিটে ডিফেন্ডার রিস জেমস (Reece James) তৃতীয় গোলটি করে চেলসির বিশাল জয়কে নিশ্চিত করেন।

কার্ড এবং শৃঙ্খলা

বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে থাকার পরও চেলসির জন্য একটি অস্বস্তিকর মুহূর্ত আসে যখন ৮৭তম মিনিটে ডিফেন্ডার মালো গুস্তো (Malo Gusto) সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। এই ঘটনার জেরে ম্যাচের শেষ সময়টুকু চেলসিকে দশজন নিয়ে খেলতে হয়। যদিও উভয় দলই দুটি করে হলুদ কার্ড দেখে, কিন্তু নটিংহ্যাম ফরেস্টের কোনো খেলোয়াড় লাল কার্ড দেখেননি।

পরিসংখ্যানে চেলসির দাপট

ম্যাচের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, চেলসি গোলের সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে ফরেস্টের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল। যদিও বলের দখল প্রায় সমান সমান ছিল (চেলসি ৫১%, ফরেস্ট ৪৯%), তবে আক্রমণে চেলসির ধার ছিল অনেক বেশি।

চেলসি পুরো ম্যাচে মোট ১৭টি শট নেয়, যার মধ্যে ৬টি ছিল গোলের লক্ষ্যে (Shots on target)। বিপরীতে, নটিংহ্যাম ফরেস্ট ১২টি শট নিলেও, মাত্র ২টি শট লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয়, যা তাদের আক্রমণভাগের দুর্বলতা তুলে ধরে। পাসিংয়ের দিক দিয়েও চেলসি এগিয়ে ছিল, তারা ৪৫৩টি পাস করে ৮৫% পাস নির্ভুলতা দেখায়, যেখানে ফরেস্টের ৪২৮টি পাসে নির্ভুলতা ছিল ৮১%।

ফাউলের দিক থেকে চেলসি (১৬টি ফাউল) এবং ফরেস্ট (১৩টি ফাউল) উভয় দলই বেশ আগ্রাসী ছিল। সেট-পিসের ক্ষেত্রে ফরেস্ট ৫টি কর্নার পেলেও চেলসি পায় মাত্র ২টি। তবে ফরেস্টের ৫টি কর্নারই গোলের সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়। অফসাইডের সংখ্যা চেলসির ২ এবং ফরেস্টের ১ ছিল। সামগ্রিকভাবে, আক্রমণের সংখ্যা এবং গোলের নির্ভুলতায় চেলসি নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে এই গুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ে ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয়।

তানভির ইসলাম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ