ঢাকা, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

জেমস ক্যামেরন: অ্যাভাটার ৩ ‘ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ নিয়ে বিশ্বজুড়ে পানডোরা ঝড়

বিনোদন ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৩ ১৮:০০:৩৯
জেমস ক্যামেরন: অ্যাভাটার ৩ ‘ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ নিয়ে বিশ্বজুড়ে পানডোরা ঝড়

জেমস ক্যামেরন মানেই চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক কিংবদন্তী নাম, যার সৃষ্টি মানেই দর্শকের জন্য নয়ন জুড়ানো চমক, কর্ণগোচর হওয়া মহাকাব্যিক সুর এবং হৃদয়ে গেঁথে থাকা আবেগের প্রখরতা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে সেই স্রষ্টার হাতে নির্মিত অ্যাভাটার সিরিজের তৃতীয় পর্ব— ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’— আবারও বিশ্বের প্রেক্ষাগৃহে অবতরণ করতে চলেছে। তবে মূল মুক্তির আগেই সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র সমালোচকদের জন্য আয়োজিত বিশেষ প্রদর্শনীতে এই সিনেমা যেন এক ‘পানডোরা ঘূর্ণাবর্ত’ সৃষ্টি করেছে।

বড় পর্দার প্রয়োজনীয়তা স্মরণ করিয়ে দিল ‘অ্যাভাটার ৩’

প্রদর্শনী শেষে সমালোচক মহলের মতামত স্পষ্টতই জানিয়ে দেয়, ভিজ্যুয়াল কারিগরি দিয়ে ক্যামেরন আবারও দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে দিয়েছেন। সমালোচক কোর্টনি হাওয়ার্ডের সরাসরি মন্তব্যটি ছিল এমন— ‘অ্যাভাটার ৩ মনে করিয়ে দেয় কেন সিনেমা হলে সিনেমা দেখা জরুরি!’ এটি যেন দর্শকদের মধ্যে বড় পর্দা ও 3D প্রযুক্তির প্রতি নতুন করে ভালোবাসা জাগানোর মতো এক অভিজ্ঞতা।

কলাইডারের পেরি নেমিরফ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ছবিটি দেখে পানডোরা গ্রহে ফিরে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়েছে, যেন নীলিমায় ঢাকা পানডোরা আবার হাতছানি দিচ্ছে।

নতুন উত্তেজনা: ‘আগুন উপজাতি’ ও সুল্লি পরিবারের শোক

তৃতীয় কিস্তির মূল আখ্যানটি আবর্তিত হয়েছে সুল্লি পরিবারকে ঘিরে। পূর্ববর্তী পর্বে নেটেয়ামের মর্মান্তিক মৃত্যু তাদের জীবনে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে। সেই শোক সামলে ওঠার এবং জীবনযুদ্ধের মধ্যেই নতুন এক সঙ্কট ঘনিয়ে আসে।

এবারের গল্পে প্রথমবারের মতো দর্শক মুখোমুখি হবে ‘আগুন উপজাতি’র— যাদের আগমন সিনেমার কাহিনিতে নতুন এক মাত্রা যোগ করেছে। মাইকেল লি মন্তব্য করেছেন, ‘গল্পের আকর্ষণ খানিকটা কম হলেও এর ভিজ্যুয়াল-অ্যাকশন একেবারে ভিন্ন এক উচ্চতায় পৌঁছে যায়।’

স্যাম ওয়ার্থিংটন, জো স্যালদানা, সিগরনি উইভার, স্টিফেন ল্যাং এবং কেট উইন্সলেটের মতো শক্তিশালী অভিনেতারা এই ‘উচ্চতায়’ পৌঁছাতে পরিচালককে সাহায্য করেছেন।

ক্যামেরনের চ্যালেঞ্জ: বক্স অফিসে কি ফের বাজিমাত হবে?

যদিও প্রথম ‘অ্যাভাটার’ এখনও বিশ্বের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্রের রেকর্ড ধরে রেখেছে, দ্বিতীয় কিস্তি সেই মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেনি। এ কারণেই তৃতীয় পর্বের ব্যবসায়িক ফল নিয়ে চলছে জোর আলোচনা।

জেমস ক্যামেরন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই সিনেমাটি বক্স অফিসে কেমন সাড়া ফেলে, তার ওপরই নির্ভর করবে অ্যাভাটার সিরিজের ভবিষ্যৎ পথচলা। তাঁর কঠোর গবেষণা ও মাসব্যাপী ভিজ্যুয়াল পরীক্ষানিরীক্ষার ফলেই অ্যাভাটার সিরিজ দর্শককে অন্য একটি গ্রহে সবচেয়ে বেশি মগ্ন হওয়ার সুযোগ দিয়েছে।

তরুণ-বুড়ো সকল দর্শকের মনোযোগ এখন ১৯ ডিসেম্বরের দিকে। বিশ্বজুড়ে সিনেমাপ্রেমীরা আশা করছেন, ২০২৫ সালের শেষটা আবারও হয়ে উঠবে এক ‘বড় পর্দার উৎসবমুখর’।

সিনেমাটি দেখে যেন আবারও প্রমাণিত হয়— বড় পর্দা এখনও সজীব, এটি টিকে থাকবে, এবং ভবিষ্যতেও দর্শকদের তাক লাগিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। ১৯ ডিসেম্বর আসছে পানডোরার সেই আগুনঝরা মহাযুদ্ধ। প্রস্তুত হচ্ছে গোটা বিশ্ব।

আল-মামুন/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ