শান্ত, সাইফদের ব্যাটিং করা শিখাচ্ছেন তাসকিন, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর

১৩২ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সপ্তম উইকেটে লিটনের সাথে যোগ দেন রিয়াদ। দ্বিতীয় সেশনের শেষ ভাগে তারা ৩৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি নিয়ে চা বিরতিতে গিয়েছিলেন। চা বিরতির পরে ফিরে আরও দৃঢ়তার সাথে খেলেন তারা। সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছিলেন লিটন। কিন্তু ৫ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ডোনাল্ড তিরিপানোর শিকার হন ৯৫ রানে। লিটনের ১৪৭ বলের ইনিংসে হাঁকান ১৩টি চার।

ফেরার আগে রিয়াদের সাথে রেকর্ড জুটি গড়েন লিটন। দলীয় ২৭০ রানের মাথায় ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে লিটন আউট হলে ১৩৮ রানের এ জুটি ভাঙে। টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সপ্তম উইকেটে এটি সর্বোচ্চ রানের জুটি। লিটনকে শিকার করার পরেই বলেই মেহেদী হাসান মিরাজকে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিরিপানো

তাসকিনকে সাথে নিয়ে অর্ধশতক পূর্ণ করেন রিয়াদ। তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের পরে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে নিজের ৫০তম টেস্ট ম্যাচে অর্ধশতক হাঁকালেন তিনি। এটি রিয়াদের টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৭তম অর্ধশতক।

আলোক স্বল্পতার কারনে নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়েছে দিনের খেলা। ৮৩ ওভারে ৯টি উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছে ২৯৪ রান। রিয়াদ অপরাজিত আছেন ১৪১ বলে ৫৪ রান নিয়ে। তার সাথে ১৫ বলে ১৩ রান করে ক্রিজে আছেন তাসকিন। তাদের জুটি ২৪ রানে অবিচ্ছিন্ন।

তার আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। দিনের শুরুতেই সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত উইকেট উপহার দেন জিম্বাবুয়েকে। সাইফ বোল্ড হন ও শান্ত স্লিপে ক্যাচ দেন। ৮ রানেই ২টি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শুরুর এই ধাক্কা সামাল দেন মুমিনুল ও সাদমান ইসলাম। তারা ৬০ রানের জুটি গড়েন। ৬৪ বলে ২৩ রান করে উইকেট উপহার দেন সাদমানও।

মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান ব্যর্থ হন। মুশফিক ৩০ বলে ১১ রান ও সাকিব ৫ বলে ৩ রান করে বিদায় নেন। অধিনায়ক মুমিনুল এশিয়ার বাইরে প্রথম অর্ধশতক হাঁকান। তিনি করেন ৯২ বলে ৭০ রান।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে ৩টি উইকেট শিকার করেন মুজারাবানি। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তিরিপানো ও নাইউচি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

টস : বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ২৯৪/৮ (১ম ইনিংস- ৮৩ ওভার)লিটন ৯৫, মুমিনুল ৭০, রিয়াদ ৫৪*, সাদমান ২৩, তাসকিন ১১*, মুশফিক ১১, সাকিব ৩, শান্ত ২, সাইফ ০;মুজারাবানি ৩/৪৮, তিরিপানো ২/৩৬।