ঢাকা, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

আলোচিত ১০ সিনেমা যেখানে নায়ক-নায়িকা সত্যি মিলিত হয়েছেন

বিনোদন ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুন ২১ ১৮:৩৩:২৪
আলোচিত ১০ সিনেমা যেখানে নায়ক-নায়িকা সত্যি মিলিত হয়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিনেমা, এক অনন্য আঙ্গিকের কল্পনার জগৎ। তবু কখনো কখনো সেই কল্পনাকে ছাপিয়ে যায় বাস্তবের গা ছমছমে স্পর্শ। নানা সময় নির্মাতারা গল্পের গায়ে জড়িয়ে ধরেন এমন এক সত্য, যা দেখতে হয় শুধু সত্যিকারই—সত্যিকারই দৃশ্যে বাস্তব যৌনতা। আজ আমরা এমনই দশটি সিনেমার কথা বলব, যেগুলোতে নায়ক-নায়িকারা পর্দার পেছনে নয়, সরাসরি ক্যামেরার সামনে মিলিত হয়েছেন বাস্তবেই।

ক্যালিগুলা: এক ভাঙা বাঁধের গল্প (১৯৭০)

অন্য যেকোনো সিনেমার থেকে ভিন্ন এক অধ্যায় ‘ক্যালিগুলা’। নির্মাতারা সাহস করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, এ সিনেমায় কোনো বডি ডাবল নয়, সবই ‘বাস্তব’। নগ্নতা, অন্তরঙ্গতা, এমনকি সঙ্গমের দৃশ্যেও ছিলো সরাসরি উপস্থিতি। এ দৃশ্যগুলো দর্শককে হতবাক করে দিয়েছিলো, কিন্তু এটাই ছিল এক সাহসী কলার বহিঃপ্রকাশ।

অল অ্যাবাউট আনা: প্রেমের সীমানায় ছাপিয়ে যাওয়া

ডেনমার্কের এই সিনেমাটি যেন এক গভীর যৌনতার পরীক্ষা। এখানে মাস্টারবেশন ও সঙ্গমের সময় চরিত্ররা বাস্তবে সঙ্গম করছিলেন—এক অভিনব সিদ্ধান্ত, যা গল্পের অস্তিত্বে প্রাণ এনে দিয়েছিলো।

দ্য ব্রাউন বানি: সত্যিকার অন্তরঙ্গতার ছোঁয়া

ক্লোয়ি সেভিঙ্গির স্বচ্ছন্দ অভিনয়ের জন্য ‘দ্য ব্রাউন বানি’ আজও স্মরণীয়। ক্যামেরার সামনে তিনি সঙ্গমের দৃশ্য বাস্তবের মতো উপস্থাপন করেছিলেন, যা মুক্তির পর দর্শক-সমালোচকদের মধ্যে বিস্ময় ও বিতর্কের ঝড় তুলেছিলো।

নিম্ফোম্যানিয়াক: লার্স ভন ত্রিয়েরের যৌন কাব্য

বিশ্বের সিনেমাপ্রেমীদের মাঝে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলো ‘নিম্ফোম্যানিয়াক’। এখানে শুধু অভিনেতারাই নয়, পর্ন তারকারাও যৌন দৃশ্যে অংশ নিয়েছিলেন, গল্পের গভীরতা ও বাস্তবতার জন্য।

লাই উইথ মি: প্রেমের সরলতা ও জটিলতা

লরেন লি স্মিথ ও এরিক ব্যালফোর একাধিকবার ক্যামেরার সামনে মিলিত হন, যেখানে তাদের প্রেম ও যৌনতা মিশে যায় প্রকৃতির মতো সরল ও আবেগঘন এক মিলনে।

সুইট সুইটব্যাকস ব্যাডঅ্যাস সং: মুক্তির পথে প্রতিবাদ

১৯৭১ সালের এই সিনেমার যৌন দৃশ্যের পেছনে ছিলো এক বাস্তব বেদনাও। শুটিং শেষে মেলভিন ফান পেবলস যৌন রোগে আক্রান্ত হলেও সিনেমাটি ‘বিপ্লবী’ হিসেবে চিহ্নিত হয়।

গান্ডু: কলকাতার র‍্যাপার ও তার বাস্তব জীবন

‘গান্ডু’ একটি অসম্ভব সাহসী সিনেমা, যেখানে নগ্নতা, গালিগালাজ আর ড্রাগের পাশাপাশি সত্যিকার যৌন মিলন দৃশ্যও ছিলো। ভারতে নিষিদ্ধ হলেও নিউ ইয়র্কে আলোচিত হয়েছিলো।

বেইস মোয়া: পর্নোগ্রাফির সীমারেখায়

‘আমার সঙ্গে সঙ্গম করো’—টাইটেল থেকেই বোঝা যায়, সিনেমায় যৌনতার বিস্তৃত দৃশ্য রয়েছে। ফরাসি সিনেমা হিসেবে এটি একমাত্র প্রযোজনা যাকে ‘পর্নোগ্রাফি’র সঙ্গেই তুলনা করা হয়।

নাইন সংস: আর্ট ও বাস্তবতার মেলবন্ধন

ব্রিটিশ এই আর্ট রোম্যান্সে ৮টি ব্যান্ডের গান যেমন ছিলো, তেমনি ক্যামেরার সামনে সত্যিকারের যৌন মিলন দৃশ্য ছিলো। এক অনন্য সিনেমা যেটা বাস্তব ও কল্পনার সেতুবন্ধন ঘটিয়েছে।

লাভ: ভালোবাসার অন্তরঙ্গ ভাষা

ফরাসি পরিচালক গ্যাসপার নুইয়ের ‘লাভ’ সিনেমায় প্রকৃত সঙ্গমের দৃশ্য এভাবেই জীবনের প্রেমকে শিল্পের ভাষায় তুলে ধরেছে, যা কান ফেস্টিভ্যালেও প্রশংসিত হয়েছে।

এই সিনেমাগুলো আমাদের শিখিয়েছে যে, কেবল অভিনয় নয়, সত্যিকার উপস্থিতি, বাস্তব অনুভূতি যখন সিনেমার স্রোতে মিশে যায়, তখন গল্প হয়ে ওঠে আরও প্রাণবন্ত, আরও গভীর। তাদের সাহসিকতা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে রেখে গেছে এক অনন্য ছাপ, যা বিতর্কের মধ্যেও শিল্পের এক নতুন মাত্রা উন্মোচন করেছে।

তানিয়া বৃষ্টি/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

দাবি না মানলে রবিবার ‘ঢাকা ব্লকেড’

দাবি না মানলে রবিবার ‘ঢাকা ব্লকেড’

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্দোলন এখন আর শুধু ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীদের একক প্রতিবাদ নয়। এটি পরিণত হয়েছে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর... বিস্তারিত