অবিশ্বাস্য ওয়ানডেতে ৬৬৩ রানের ম্যাচে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিলো ইংল্যান্ড

এজবাস্টনে টস জিতে পাকিস্তানকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইংল্যান্ড। সাকিব মাহমুদ শুরুতেই ফখর জামানের উইকেট নিলেও ইমাম-উল-হক ও বাবর আজমের জুটিতে পাকিস্তান বড় রানের পথে এগোয়। তাদের ৯২ রানের জুটি ভাঙে ইমাম আউট হলে। তিনি করেন ৭৩ বলে ৫৬ রান।

তৃতীয় উইকেটে ১৭৯ রানের জুটি গড়েন বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৫৮ বলে ৭৪ রানের এক ঝলমলে ইনিংস খেলে রিজওয়ান মাঠ ছাড়েন। তারপর শোয়েব মাকসুদ (৮), হাসান আলি (৪), ফাহিম আশরাফ (১০), শাদাব খান (০) কেউই সুবিধা করতে পারেননি।

অধিনায়ক বাবর খেলেন ১৫৮ রানের রেকর্ডগড়া ইনিংস। তার ব্যাট থেকে আসে ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কা। ওয়ানডেতে কোনো পাকিস্তানি অধিনায়কের সর্বোচ্চ ইনিংস এখন এটিই। ওয়ানডেতে দ্রুততম ১৪টি সেঞ্চুরি হাঁকানোর রেকর্ডও এখন বাবরের। ইংল্যান্ডের মাটিতে এটি তার তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি, যা পাকিস্তানিদের ভেতর সর্বোচ্চ।

নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৩৩১ রান। ইংল্যান্ডের পক্ষে ব্রাইডব চার্স ৫টি ও সাকিব ৩টি উইকেট শিকার করেন।

জবাবে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন ডেভিড মালান। ফিলিপ সল্ট ২২ বলে ৩৭ রান ও জ্যাক ক্রোলি ৩৪ বলে ৩৯ রান করে হারিস রউফের শিকার হন। শাদাব খানের শিকার হয়ে বেন স্টোকস ফেরেন ২৮ বলে ৩২ রান করে। ১৬৫ রান পর্যন্ত নিয়মিত বিরতিতে ৫টি উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড।

ষষ্ঠ উইকেটে ১২৯ রানের জুটি গড়েন ভিন্স ও লুইস গ্রেগরি। দলকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে গিয়ে তারা দুইজনই রউফের শিকার হন। সাজঘরে ফেরার আগে ভিন্স করেন ৯৫ বলে ১০২ রান। তার ব্যাট থেকে আসে ১১টি চার। গ্রেগরি করেন ৬৯ বলে ৭৭ রান। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি চার ও ৩ ছক্কায়।

ক্রেইগ ওভারটন ১৫ বলে ১৮ রান ও ব্রাইডন ১১ বলে ১২ রান করে ইংল্যান্ডের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন। ৩ উইকেট ও ১২ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় ইংল্যান্ড। এই জয়ে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করল ইংলিশরা। ম্যাচসেরা হয়েছেন ভিন্স।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

পাকিস্তান ৩৩১/৯ (৫০ ওভার)বাবর ১৫৮, রিজওয়ান ৭৪, ইমাম ৫৬;ব্রাইডন ৫/৬১, সাকিব ৩/৬০।

ইংল্যান্ড ৩৩২/৭ (৪৮ ওভার)ভিন্স ১০২, গ্রেগরি ৭৭, ক্রোলি ৩৯, ফিলিপ ৩৭, স্টোকস ৩২;রউফ ৪/৬৫, শাদাব ২/৬১।

ইংল্যান্ড ৩ উইকেটে জয়ী।