ফিনিশিংয়ে হার্ডহিটারের প্রয়োজন মেটাতে পারে শামীম

২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। বিশ্বজয়ী সেই দলটিতে দারুণ প্রতিভাবান কিছু ক্রিকেটারও আছেন- এটা ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবাই-ই বিশ্বাস করেন। সেই দলেরই সদস্য শামীম হোসেন পাটোয়ারির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে সদ্য সমাপ্ত জিম্বাবুয়ের সাথে টি-টোয়েন্টি সিরিজে, একেবারে তাক লাগানো অভিষেকই হয়েছে শামীমের।

টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচের শেষ দুইটিতে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন শামীম। প্রথম ম্যাচে খেলার সু্যোগ না পেলেও দারুণ টা ক্যাচ ধরে সবার নজর কেড়েছেন। পরের দুই ম্যাচেই একাদশে ছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগও পেয়েছেন। তবে প্রচন্ড রকম চাপে থাকা দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। তারপরও ১৩ বলে ২৯ রানের ইনিংস অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।

পরের ম্যাচেও সু্যোগ পেয়ে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন শামীম। শেষদিকে শামীমের ১৫ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংসেই বড় লক্ষ্য তাড়া করতে সক্ষম হয়েছে টাইগাররা। দুই ম্যাচে ২০০ এর উপরের স্ট্রাইকরেটে এরকম ঝড়ো দুইটা ইনিংস দিয়েই শামীমের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু হল।

দলে যে কারণে শামীমকে নেওয়া হয়েছে সেটার ছাপ কিছুটা হলেও তিনি রাখতে পেরেছেন। ফিনিশিং রোলে এরকম দ্রুত রান তুলতে পারা একজনকেই তো খুঁজছিল বাংলাদেশ।

আরেকটি বিষয় আলাদা করে বলতেই হবে- শামীমের ব্যাট চালানোর স্পিড। একদম যেন চাবুকের মত ব্যাট চালান। দেশের ক্রিকেটে এতটা জোরে ব্যাট চালাতে নিকট অতীতে কাউকে দেখা গেছে বলে মনে হয় না।

শামীমের দারুণ, চটপটে ফিল্ডিংও বেশ নজর কেড়েছে। আর মারকুটে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি টুকটাক অফ স্পিনও করেন। কিন্তু এই সিরিজে বল হাতে খুব একটা সুযোগ পাননি। স্পিন বোলিংয়ের ঝলকও তাই দেখাতে পারেবনি। তবে আশা করা যায় ভবিষ্যৎে সেই সুযোগ শামীম পাবেন।

আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিবেচনায় শেষের দিকের ওভারগুলোতে দ্রুত রান তোলাটা খুব জরুরি। নিয়মিতই ২০০ ছাড়ানো রান করছে দলগুলো, অনেক দল আবার সেই রান তাড়া করে জিতেও যাচ্ছে। সেজন্য ফিনিশিংয়ে একজন হার্ডহিটার খুবই প্রয়োজন বাংলাদেশের।

হার্ডহিটিংয়ের এই জায়গাটাতে শামীম নিজের পারফরম্যান্স অব্যাহত রাখতে পারলে নিঃসন্দেহে আরও সুযোগ পাবেন সামনে। তরুণ শামীমের উপর আস্থা রাখা টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার প্রতিদান শামীম শুরুতেই যেভাবে দিয়েছেন ভবিষ্যৎেও এই ধারা বজায় থাকুক- এমনটাই প্রত্যাশা।