অস্ট্রেলিয়ার কড়াকড়ির নামে এই যেন বাড়াবাড়ি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে লাইনে না দাঁড়িয়ে অন্য কারো শারীরিক উপস্থিতি না ঘটিয়ে ইমিগ্রেশন পার হওয়া, টিম হোটেলে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ, ম্যাচ অফিসিয়ালস এবং সাপোর্টিং স্টাফ ছাড়া আর কারো অবস্থান করা যাবে না, খেলা চলাকালীন মাঠে কোন ফটো জার্নালিস্ট ও টিভি ক্রু’র প্রবেশ নিষেধ- নানা রকম কড়াকড়ি এঁটেই ঢাকায় এসেছে টিম অস্ট্রেলিয়া।

কিন্তু সিরিজ শুরুর আগে আজ রোববার বিকেলে প্রথম প্র্যাকটিস সেশনে অসিদের কড়াকড়ির মাত্রাটা একেবারে বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে গেল।

শেরে বাংলায় আগে কখনই যা ঘটেনি, এই মাঠে প্রথম ম্যাচ থেকে কভার করা কোন রিপোর্টারও কখনো যা দেখেননি- আজ অসিরা তাই ঘটিয়েছে।

যেহেতু অস্ট্রেলিয়ানদের নেট সেশন ছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের হোস্টেলগুলোর সাথে বিসিবি একাডেমি মাঠের পূর্ব দিক ঘেঁষে । কাজেই অস্ট্রেলিয়ার প্র্যাকটিস কভার করতে আসা সাংবাদিকদের বড় বহর আগে ভাগেই স্টেডিয়াম প্লাজার দোতলায় অবস্থান নেন।

এটা অবশ্য আজকের জন্য নয়। বিসিবি একাডেমি মাঠে কোন বিদেশী দলের অনুশীলন বিসিবি একাডেমি মাঠে ঢুকে কভার করা না গেলে ওই জায়গায় নেট প্র্যাকটিস হলে শেরে বাংলার এক নম্বর গেট দিয়ে ওপরে উঠে যে নর্থ প্লাজা আছে, সেখানে দাঁড়িয়েই সাধারণতঃ সাংবাদিকরা প্র্যাকটিস দেখেন।

ফটো জার্নালিস্টরা ছবি তোলেন। টিভি ক্রুরা ফুটেজ নেন; কিন্তু আজ রোববার বিকেলে সেই এক নম্বর গেটের উত্তর প্লাজার দোতলায়ও মিডিয়ার কর্মীদের দাঁড়াতে দেয়া হয়নি। তাদের পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে তিন তলায়।

উপস্থিত সাংবাদিকদের সবাই এতে করে বিস্মিত। কেন প্লাজা গেটের দোতলায় দাঁড়িয়েও অস্ট্রেলিয়ার অনুশীলন কভার করা যাবে না? সে প্রশ্নর সদুত্তরও মেলেনি।

বলা হচ্ছে করোনা প্রটোকল মানতেই অসিদের এমন কড়াকড়ি; কিন্তু নেটের ভেতর দিয়ে প্রায় ৫০-৬০ গজ দুরে দাঁড়িয়েও প্র্যাকটিস দেখা যাবে না! দেখতে হলে আরও ওপরে তিন তলায় উঠতে হবে? এসব প্রশ্নর সদুত্তর অবশ্য মেলেনি।