ঢাকা, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

নামমাত্র আইপিএল খেলেছেন বাংলাদেশের চার সুপারস্টার

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২১ আগস্ট ১৬ ১৪:২২:১৫
নামমাত্র আইপিএল খেলেছেন বাংলাদেশের চার সুপারস্টার

বাকি যে তিনজন- তাদের আইপিএল অধ্যায় মাত্র এক ম্যাচের! টুর্নামেন্টে নিজেদের অভিষেক ম্যাচে নিষ্প্রভ থাকায় দ্বিতীয়বার আর একাদশে আসতে পারেননি তারা। ওই চারজন ক্রিকেটারের জন্য আইপিএল শুধু নামমাত্র। একনজরে দেখে নেওয়া যাক দুর্ভাগা সেই চতুষ্টয়কে:

তামিম ইকবাল: ২০১২ ও ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের হয়ে নাম লিখিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু ফ্যাঞ্চাইজিটির হয়ে একটি ম্যাচও খেলতে পারেননি তিনি। দুটি আসর পুনে শেষ করেছিল টেবিলের অষ্টম ও নবম স্থানে থেকে। ২০১৩ সালের পর আইপিএল থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেয় পুনে। তামিমও টুর্নামেন্টে আর কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে নাম লেখাতে পারেননি।

আব্দুর রাজ্জাক: বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা স্পিনার বলা হয় আব্দুর রাজ্জাককে। প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে দুশো উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। ২০০৮ সালে বোলিং অ্যাকশনের কারণে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন রাজ্জাক।

ওই বছরই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ৫০ হাজার ডলারে কিনে নেয় তাকে। কিন্তু রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে তার অভিষেকটা সুখের হয়নি। দুই ওভারে ২৯ রান খরচায় রাজ্জাক ছিলেন উইকেটশূন্য। ওই ম্যাচটাই ছিল আইপিএলে রাজ্জাকের একমাত্র ম্যাচ।

মোহাম্মদ আশরাফুল: বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম সুপারস্টার মোহাম্মদ আশরাফুল। টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান তিনিই। আশরাফুল বিশ্বনায়ক হয়ে উঠলেন কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ হারিয়েছিল অজিদের। যা একদিনের ক্রিকেটে অন্যতম সেরা অঘটনগুলোর একটি।

২০০৯ সালে আশরাফুলকে দলে টানে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। কিন্তু দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচটা দুঃস্বপ্নের কেটেছে তার। ১০ বলে মাত্র দুই রান করে আউট হয়ে যান বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। আইপিএলে ওটাই ছিল আশরাফুলের প্রথম ও শেষ ম্যাচ। পরে ২০১৩ সালে বিপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন আশরাফুল।

মাশরাফি বিন মর্তুজা: বাংলাদেশ ক্রিকেটের বদলে নেওয়ার নায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তার নেতৃত্বে ওয়ানডে ক্রিকেট র‌্যাঙ্কিংয়ের সাত নম্বরে উঠে আসে টাইগাররা। এর সুবাদে সরাসরি আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মূলপর্বের টিকিট কাটে বাংলাদেশ।

মাশরাফির নেতৃত্বে আইসিসির ওই টুর্নামেন্টেও চমকে দেয় টাইগাররা। শুধু অধিনায়ক হিসেবেই নয়, পেসার হিসেবে তিনিই বাংলাদেশের সেরা বোলার। ২০০৯ সালে ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’কে ছয় লাখ ডলারে কিনেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স।

কিন্তু চড়া দাম দিয়ে কিনলেও মাশরাফির নিজেকে প্রমাণের খুব বেশি সুযোগ পাননি। অভিষেক ম্যাচে চার ওভারে ৫৮ রান দিয়ে তিনি থাকলেন উইকেটশূন্য। শেষ ওভারে ব্যাটসম্যান মাশরাফির সামনে ছিল ২১ রানের কঠিন সমীকরণ। স্বাভাবিকভাবেই তা মেলাতে পারেননি তিনি।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ