ঢাকা, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

চমক দিয়ে নিজের পছন্দের সেরা পাঁচ ক্রিকেটার নাম জানালেন ম্যাক্সওয়েল

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২১ অক্টোবর ১৭ ১৮:১৪:৩২
চমক দিয়ে নিজের পছন্দের সেরা পাঁচ ক্রিকেটার নাম জানালেন ম্যাক্সওয়েল

নামগুলো জানানোর পর ম্যাক্সওয়েল ব্যাখ্যাও দেন কেন, কী কারণে তার সেরা পাঁচে উঠে এসেছেন এরা-

রশিদ খান

ব্যাটসম্যান হওয়ায় প্রতিপক্ষ বোলারদের নিয়ে বাড়তি কাজ সব সময়ই করতে হয় গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে। সেই সুবাদে নিজের পছন্দের একাদশের প্রথম সদস্য হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছেন আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার রশিদ খানকে।

মাত্র ২৩ বছর বয়সেই তিন ফরম্যাটে অনেক অনেক রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন রশিদ। তাই তো বিশ্বের জনপ্রিয় সব ফ্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার ডাক পড়ে তার। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ২৮১ টি-টোয়েন্টি খেলে তার শিকার ৩৮৮ উইকেট!

১৭.৫৪ গড় আর ১৬.৬০ স্ট্রাইকরেটও চোখ ধাঁধানো। গুগলি, ফ্লিপার, লেগ স্পিন, টপ স্পিন- সবকিছুতেই পারদর্শী রশিদ। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার তাই আরও সমৃদ্ধ এই আফগান তারকার। দেশের হয়ে ৫১ ম্যাচ খেলেই তার উইকেট সংখ্যা ৯৫! ১২.৬৩ গড় আর ১২.১০ স্ট্রাইক রেট তো চক্ষু ছানাবড়া করে দেয়ার মতো।

আন্দ্রে রাসেল

পছন্দের একাদশের সেরা পাঁচে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ম্যাক্সওয়েল ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলকে রেখেছেন। বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে যে ক’জন ক্যারিবিয়ান তারকা বাড়তি কদর পান, তাদেরই একজন রাসেল।

বিস্ফোরক ব্যাটিং, বিধ্বংসী বোলিং আর তড়িৎ গতির ফিল্ডিং- তিন বিভাগেই এই ফরম্যাটে বর্তমান সময়ের সেরা ক্রিকেটার রাসেল। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত, ৩৮২ ম্যাচ খেলে অবিশ্বাস্য (!) ১৬৯.৬৬ স্ট্রাইকরেটে ৬ হাজার ৪০৫ রানের মালিক তিনি।

বল হাতে আছে ৩৪০ উইকেটও। সময়ের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারকে নিজের পছন্দের একাদশে রাখা নিয়ে ম্যাক্সওয়েল বলছিলেন, সে এমন একজন যে কি-না আপনার দলের হয়ে কিছু না কিছু করবেই।

বেন স্টোকস

স্নায়ুচাপ নামক শব্দটার সঙ্গে যেন বড্ড আড়ি বেন স্টোকসের। নয়তো মারাত্মক চাপের মুহূর্তেও কিভাবে বুক চিতিয়ে লড়াই করে যান তিনি। মানসিক অবসাদে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলছেন না স্টোকস।

তবে এতদিনে তার কীর্তিগুলোর সাক্ষী হয়ে মুগ্ধ ম্যাক্সওয়েল। তাই নিজের পছন্দের একাদশের সেরা পাঁচে রাখতে দ্বিধায় ভুগলেন না মোটেও। ১৪৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা এই ইংলিশ অলরাউন্ডার ব্যাট হাতে ২৫ গড়ে ২ হাজার ৮৬৫ রান ছাড়াও বল হাতে নিয়েছেন ৮৬ উইকেট। গড় অতটা প্রশংসনীয় নয়, ৩১!

তবে এই পরিসংখ্যান দলে স্টোকসের অবদান সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা দিতে পারবে না। দলের বিপদের মুহূর্তে ব্যাটিং, বোলিংয়ে জ্বলে ওঠায় যেন কাজ তার। এ ছাড়া আউটফিল্ডেও দুর্দান্ত এই তারকা অলরাউন্ডার।

অ্যাডাম গিলক্রিস্ট

উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে বিল্পবই ঘটিয়ে দিয়েছিলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। শুধু কিপিং গ্লাভস কেন, কিপাররা ব্যাট হাতেও যে দলের প্রধান তারকা হয়ে উঠতে পারে সর্বপ্রথম গিলক্রিস্টই তা প্রমাণ করেছিলেন। যে কোনো যুক্তিতেই ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের অন্যতম সেরা গেম চেঞ্জার কিপার-ব্যাটসম্যানের গিলি।

ব্যাট হাতে যখন তিনি ছন্দে থাকতেন, তার খেলা দেখে মুগ্ধ হতেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। গিলক্রিস্টের ক্যারিয়ার যখন গোধূলি লগ্নে, তখনই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আবির্ভাব। সে জন্য খুব বেশি ম্যাচ খেলা হয়নি।

তবুও ম্যাক্সওয়েল তার স্বদেশী বিস্ফোরক এই ব্যাটারকে নিজের পছন্দের সেরা পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়ের তালিকা থেকে বাদ দিতে পারলেন না। গিলি তার টি-টোয়েন্টি ক্যারির‍্যারে ১০২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৪০ এর ওপর স্ট্রাইকরেটে ২ হাজার ৬২২ রান করেছেন। সেঞ্চুরি আছে তিনটি।

শন টেইট

ম্যাক্সওয়েলের সেরা একাদশের প্রথম পাঁচে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বিস্ময়কর পছন্দ শন টেইট। নিজের সেরা সময়ে এই ডানহাতি পেসারের হাত থেকে গোলার গতিতে একেকটি বল বেরুতো।

টানা ঘণ্টা প্রতি ১৫০ কি.মি. গতিতে বলে করে যেতে পারতেন তিনি। গোলার মতো ধেয়ে আসা সে বলগুলো প্রতিপক্ষ হিসেবে ঘরোয়া ক্রিকেটে সামনা করতে হয়েছে বলেই, সেরা পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় হিসেবে টেইটকে রাখলেন ম্যাক্সওয়েল।

সাবেক সতীর্থের ব্যাপারে বলতে গিয়ে ম্যাক্সওয়েল বলছিলেন, তার বিপক্ষে খেলার সুবাদে আমি জানি সে কত দ্রুতগতির বোলার ছিল। এমনকি ক্যারিয়ারের শেষদিকেও সে রকেট গতিতে বল ছুঁড়ত।

ইনজুরির কারণে ক্যারিয়াররা দীর্ঘায়িত হয়নি টেইটের, তবুই ১৭১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ২১৮ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। সেটাও আবার মনে রাখার মতো ২২ গড়ে!

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ