ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২

মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের অমানুষিক নির্যাতন, সারা বিশ্বে সমালোচনার ঝড়

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২২ ফেব্রুয়ারি ০৮ ২২:৫৭:০৬
মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের অমানুষিক নির্যাতন, সারা বিশ্বে সমালোচনার ঝড়

সম্প্রতি, মালয়েশিয়ার বুকিত আমান অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও পাবলিক অর্ডার ডিরেক্টর হাজানি গাজালি বলেছেন, অভিবাসীরা বারবার আমাদের সীমান্ত অতিক্রম করছে। তাদের ঠেকাতে বেত্রাঘাতের প্রস্তাব করেন তিনি।

এদিকে সরকারের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, বিদেশিরা মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশ করতে হাজার হাজার রিঙ্গিত খরচ করেন। তারা গরিব নয়।

মালয়েশিয়ার সাবেক মন্ত্রী পি ওয়েথা মুরথি পুলিশ কর্মকর্তার এ প্রস্তাবের সমালোচনা করে বলেন, ‘দরিদ্র শ্রমিক যারা নিছক সৎ জীবনযাপনের চেষ্টা করছেন’ তাদের চাবুক মারা যাবে না।

বেত্রাঘাতের মতো শারীরিক শাস্তি প্রাচীন যুগের। শ্রমিক শ্রেণিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির প্রথম প্রবর্তন করা হয়েছিল।

ব্রিটিশরা নিজের দেশে এমন মানহানিকর কাজ কখনই করেনি। অভিবাসীদের ওপর আর্থিক বোঝা চাপানো এবং তাদের দুর্বলতাকে কাজে লাগানোর বিষয়গুলো পুলিশের তদন্ত করা উচিত বলে মনে করেন, মালয়েশিয়ার অ্যাডভান্সমেন্ট পার্টির প্রধান ওয়েথা।

মালয়েশিয়ার সেপুতেহ এমপি তেরেসা কক বলেছেন, পুলিশের উচিত দুটি বিষয়ের সমাধান করা। কীভাবে অভিবাসীরা আমাদের সীমান্তে অবৈধভাবে প্রবেশ করছে এবং কীভাবে রিক্রুটিং এজেন্ট তাদের শোষণ করছে।

তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা আমাদের নিজেদের দুর্বলতার আসল ইস্যু থেকে মনোযোগ না সরিয়ে আমাদের সীমানা পুরোপুরি সুরক্ষিত করা নিশ্চিত করি।

তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে অভিবাসীরা মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে অবদান রাখেন। কারণ আমাদের নাগরিকরা ‘বিপজ্জনক, নোংরা-অবমাননাকর’ হিসেবে বিবেচিত। কাজ করতে চায় না। অনথিভুক্ত অভিবাসীদের চাবুক মারা একটি বর্বর কাজ যা মানুষের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ