ঢাকা, রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২

বাংলাদেশে এতটা কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে ভাবতে পারিনি

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২২ ডিসেম্বর ২৮ ১০:৪৮:৩৪
বাংলাদেশে এতটা কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে ভাবতে পারিনি

বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে নানা নাটকীয়তা শেষে জয় তুলে নেয় সফরকারী ভারত। চতুর্থ দিনে দ্রুতেই তিন উইকেট তুলে নিলেও পরাজয় এড়াতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও শ্রেয়াস আইয়ারের প্রতিরোধে ৩ উইকেটের জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয় সফরকারীরা।

দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য মাত্র ১৪৫ রান দরকার ছিল ভারতের। সে লক্ষ্যে তৃতীয় দিনের শেষ দিকে ব্যাট করতে নেমে দলের প্রথমদিকের চার ব্যাটারকে হারায় তারা। মেহেদী হাসান মিরাজ আর সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে মাত্র ৪৫ রান তুলতেই আউট হয়ে ফেরেন শুবমান গিল, লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি আর চেতেশ্বর পূজারারা। শেষ হয় তৃতীয় দিনের খেলা।

তখনও ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল আরও ১০০ রান। চতুর্থ দিনে পিচে বোলাররা, বিশেষ করে মিরপুরে স্পিনার বেশিম সুবিধা পাবেন সেটা স্বাভাবিক। সেটা হয়েছিলও প্রথমদিকে।

চতুর্থ দিন ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই আউট হয়ে ফেরেন ভারতের আরও তিন ক্রিকেটার। ৭৪ রান করতেই ৭ উইকেট পড়ে যায় ভারতের। তখন ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো জয়ের আশা দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। তখন ভারতের ড্রেসিং রুমে নেমে আসে অন্ধকার।

কিন্তু অশ্বিন আর আইয়ার জুটি সেখান থেকে দলকে টেনে তুলে। আইয়ার ২৯ রানে আর অশ্বিন ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন। ২-০ তে সিরিজও নিজেদের করে নেয়। তাদের হার না মানা ৭১ রানের জুটির কাছে দেড় বছর পর টেস্টে মিরাজের ৫ উইকেট নেওয়াও বৃথা হয়ে যায়।

তখন ভারতের ড্রেসিংরুমে আবারও হাসি ফিরে আসে। কোচ রাহুল দ্রাবিড় বেরিয়ে এসে আইয়ার-অশ্বিন জুটিকে আলিঙ্গন করেন। তবে এক সময় ভারতীয় ড্রেসিংরুমে সবাই উদ্বিগ্ন দেখায়। বিশেষ করে কোচ দ্রাবিড়কে।

দ্রাবিড়ের ঢাকা টেস্টের সময় ভিন্ন ভিন্ন চেহারায় যে দেখা গেছে সেটার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিসিসিআইয়ের সাবেক নির্বাচক সাবা করিম। তার মতে, অক্ষর প্যাটেলকে ঋষভ পান্টের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠানো এবং জয়দেব উনাদকাটকে নাইটওয়াচম্যান হিসাবে নামনোর সিদ্ধান্তে সবাই একমত ছিল না।

আর যখন দল জয় পায়, তখন যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন দ্রাবিড়। কারণ সাবেক এই ভারতীয় ব্যাটার ভাবতেই পারেননি এত কম রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে এত বেগ পেতে হবে তার দলকে।

"এ জয় (ঢাকা টেস্ট) ড্রেসিংরুমে স্বস্তি এনে দেওয়ার মতো ছিল। রান তাড়া করার সময় সবাইকে আতঙ্কিত লাগছিল। তারা যেভাবে ব্যাটিং অর্ডারে খেলোয়াড়দের পরিবর্তন করেছে। সে (দ্রাবিড়) এবং সেখানে বাকি খেলোয়াড়রা বিশ্বাস করতে পারেনি যে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের অবস্থা এমন হবে... কারণ লক্ষ্য এতটা কঠিন ছিল না। ১৪৫ রানের টার্গেট খুব বেশি ছিল না। এবং চতুর্থ দিনে, এমনকি পঞ্চম দিনেও তাড়া কঠিন কিছু ছিল না, " সনি স্পোর্টস নেটওয়ার্কে এসব কথা বলেন সাবা।

উল্লেখ্য, টেস্টে সিরিজ শুরুর আগে ওয়ানডে সিরিজে ১-২ ব্যবধানে বাংলাদেশের বিপক্ষে হারে ভারত। তাতে ঢাকা টেস্টে পরাজয়ের স্বাদ পেলে ২০২২ সালের শেষটা হতাশাজনক হতো বিরাট কোহলিদের। তবে সেটা হতে দেননি আইয়ার ও অশ্বিন।

একদিকে আইয়ার স্পিনারদের বিপক্ষে সাবলীল ব্যাটিং করেন। অন্যদিকে খানিকটা মেরে খেলেন অশ্বিন। যদিও এমনভাবে জেতা ভারতের সাথে যায় না বলে মনে করেন সাবা। সাবেক এই উইকেটকিপার তবে ইতিবাচকও কিছু খুঁজে পেয়েছেন ঢাকা টেস্ট থেকে। তার মতে, টেস্ট ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে আইয়ার এবং অশ্বিনের ব্যাট করার সক্ষমতা থেকে ভারত ইতিবাচক কিছু পেতে পারে।

"চতুর্থ ইনিংসে রান করার গুরুত্ব বিশেষ কিছু। এবং যদি চতুর্থ ইনিংসে ক্রিকেটারদের গড় (রান গড়) ভালো হয়, আপনি জানেন কোন ক্রিকেটারদের দক্ষতা ও কৌশল আছে। আইয়ার এবং অশ্বিন ঠিক সেটাই দেখিয়েছে,” বলেন সাবা।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ