ঢাকা, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

তামিমকে ফিরিয়ে শুরু হোক চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি, দল হিসেবে খেলতে হবে বাংলাদেশকে

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৪ জুলাই ১২ ২১:৫৭:২৫
তামিমকে ফিরিয়ে শুরু হোক চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি, দল হিসেবে খেলতে হবে বাংলাদেশকে

ক্রিকেট প্রেমী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য এখন থেকেই ট্রফি জয়ের নকশা তৈরি করতে হবে। নকশাটা সাজানো উচিত আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কে কেন্দ্র করে। আর যদি তাই হয় তাহলে ঘুরেফিরে অবশ্যই আসবে তামিম ইকবালের নাম। কারণ দিন শেষে দেখা গেছে এমন একটা দলি ট্রফি যেতে। যারা একটা দল হয়ে খেলে। একটা দেশ হয়ে খেলে। ছন্নছাড়া বাংলাদেশকে একত্রিত করতে ইতিমধ্যে অনেক এক্সপেরিমেন্ট করেছে বিসিবি।

সেগুলো যদি সফল হতো তাহলে আর ভক্তরা তামিমকে হয়তো চাইতেন না। তবে দেখা গেছে ভেঙে তৈরি করা নতুন দলটা আর নেই আগের রিদমে। তাই রিদম ফেরাতে দরকার ইউনিটি। সেই ইউনিটি ফিরিয়ে আনার জন্য তামিমের দরকার আছে। কেনো সে বিষয়টা খুলে বলা যাক। আমরা জানি কোনো দলের গুরুত্ব একজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। তবে ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে যদি দল বড় হতে না পারে সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠতে পারে ব্যক্তির অভাবের। ঠিক যে অভাবটা বারবার ফিরিয়ে আনছে তামিম ইকবালের নাম।

একটু ফ্ল্যাশব্যাকে যাওয়া যাক। ওয়ানডে দলের দায়িত্ব নেবার পর বাংলাদেশকে অনেকটাই বদলে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। ওয়ানডে সুপার লিগে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল তিন নম্বরে। ২৪ ম্যাচ খেলে ১৫ টায় জিতেছিল টাইগাররা। ১৫৫ পয়েন্ট নিয়ে সেবার ইংল্যান্ডকে ছুঁয়েছিল তামিমের দলটা। রানরেটে এগিয়ে থাকার কারণে ইংল্যান্ড দ্বিতীয় আর বাংলাদেশে হয় তৃতীয়।

ভারত অস্ট্রেলিয়া দল ও সেবার ছিল বাংলাদেশের পেছনে। আর এইসব অর্জনে তামিমের অবদান অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। সেবার তামিম করেছিলেন ৭৮৩ রান। সেসময় তামিম ছিলেন সেরা রান সংগ্রাহক দের লিষ্টের সেরা সাতে। এমনকি সে সময় মুশফিক ছিলেন বেশ ভালো টাচে। তামিমের পর সর্বোচ্চ ৭৫৫ রান করেছিলেন মুশফিক। এছাড়া ব্যাট হাতে ৬১৯ রান ও ৩১ উইকেট নিয়ে সাকিব আল হাসানও ছিলেন সেরা ছন্দে। ৩০ উইকেট নিয়ে পারফরমারদের লিস্টেও ছিলেন মিরাজ।

এবার আসা যাক শুরুর কথাতে। কেন ফ্ল্যাশব্যাকে আসতে বলা হলো। ভালো করে খেয়াল করলে দেখবেন সে বারবার সুপার লিগের পারফরম্যান্স দেখে ভক্তরা বড় স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল। সেই স্বপ্ন নিয়ে গিয়েছিল বিশ্বকাপ ট্রফি জেতার কাছে। তামিমের সেই দলে পারফরমেন্সে আশার আলো পায় দেশের ভক্তরা। এক্সপেক্টেশন এর কারণে তৈরি হয় ট্রফি জয়ের ক্ষুধা।

তবে সেই ক্ষুধার জন্য যা করা দরকার ছিল তা হয়নি। বরং সবকিছু ওলট-পালট করে দিয়েছিল মাঠের বাইরেও নানা বিতর্ক। যার মধ্যে অন্যতম সাকিব-তামিম দ্বৈরথ। অসাধারণ ছন্দে থাকা দলটা হঠাৎ করে দেখলো অধঃপতন। যার ফলাফল আমরা পেয়েছি এশিয়া কাপ ও গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপে। তাই আবারো রিদম ফিরাতে দরকার একটা সুষ্ঠু পরিবেশ।

যেখানে সবাই খেলবে একটা দল হয়ে। আর সেই দলে কেন তামিমকে দরকার বাড়তি করে বলার কিছু নেই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যদি হয় সাকিব-তামিমের শেষ তাহলে এখন থেকে সাজানো হোক সেই নকশা। আর সেই নকশায় থাকুক সাকিব-তামিম রিয়াদ কিংবা মুশি। এইটাই চাওয়া ভক্তদের।

কেননা একটা দল হয়ে খেললে বাংলাদেশ কি করতে পারে তা আমাদের সবার জানা। ভারতের রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কেউ যদি সাকিব-তামিমের দ্বন্দ্বের সমাধান করতে পারেন। আর মাঠে এক হয়ে খেলেন এই দুই বন্ধু। তাহলে অসাধ্য সাধন করার স্বপ্ন দেখতেই পারে দেশের মানুষ। আর সেটা করতে বড্ড দরকার তামিম ইকবালকে। দরকার তার বন্ধু সাকিবের।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ