বাচ্চাদের হাতে মোবাইল: সাময়িক সমাধান, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি!
নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকাল অনেক অভিভাবক বাচ্চাদের হাতে মোবাইল বা টিভি দিয়ে সহজেই তাদের শান্ত রাখার চেষ্টা করেন, বিশেষ করে যখন বাচ্চারা খেতে চায় না বা অন্য কিছু করতে অস্বীকৃতি জানায়। কিন্তু, এই সহজ উপায়ের বিপরীতে যেসব পরিণতি রয়েছে তা হতে পারে ভয়ঙ্কর।
বিশেষ করে খাবারের সময়, যখন বাচ্চা খেতে চায় না, তখন টিভি বা স্মার্টফোন দিয়ে তাকে ব্যস্ত রাখতে দেখা যায় অনেক পরিবারে। যদিও এটি মনে হতে পারে এক ধরনের সহজ সমাধান, তবে দীর্ঘমেয়াদী চিন্তায় এটি তাদের শারীরিক ও মানসিক উন্নতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
বর্তমানে, সারা বিশ্বে স্ক্রিন টাইম বাড়ছে—এটি শুধু বড়দের ক্ষেত্রে নয়, শিশুদের ক্ষেত্রেও মারাত্মকভাবে বেড়ে চলেছে। রাস্তায়, বাসে, ট্রেনে, ফ্লাইটে—সব জায়গায় মানুষ মোবাইল বা টিভির স্ক্রীনে ডুবে থাকে। তবে, শিশুদের জন্য এটি আরও বিপদজনক হতে পারে, কারণ এটি তাদের শিখন প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
একটি গবেষণায় ১২ থেকে ৪৮ মাস বয়সী বাচ্চাদের ওপর গবেষণা করা হয়েছে এবং দেখা গেছে যে, বেশিরভাগ শিশুই প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা মোবাইল বা টিভি স্ক্রিনে সময় কাটাচ্ছে। এমনকি যদি বাচ্চা পুরোপুরি স্ক্রিনের দিকে মনোযোগ না দেয়, তবে ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ডও তার উন্নতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এর ফলস্বরূপ, শিশুদের ভাষাগত দক্ষতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কারণ তারা প্রাকৃতিক ভাষার প্রয়োগে অংশগ্রহণ করছে না। তারা নতুন শব্দ বা বাক্য শিখতে পারছে না, যা তাদের ভাষাগত বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে।
তবে, এই সমস্যার সমাধান রয়েছে। প্রথমে, অভিভাবকদের উচিত বুঝতে চেষ্টা করা যে, তাদের শিশু কীভাবে স্ক্রিন টাইমের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একটি ভালো বিকল্প হতে পারে, শিশুকে এমন শিক্ষণীয় ভিডিও দেখানো যা সে একজন বড় মানুষের সঙ্গে আলোচনা করে দেখতে পারে। এর মাধ্যমে শিশুর মধ্যে নতুন শব্দ শেখার আগ্রহ সৃষ্টি হবে এবং ভাষাগত দক্ষতা বাড়বে।
এছাড়া, স্ক্রিনের বাইরে গল্প করা, শিশুর প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া এবং সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে যুক্ত করা তার মধ্যে নতুন কিছু শেখার ইচ্ছা তৈরি করবে। শিশুর কৌতূহলকে উত্সাহিত করতে এবং ধৈর্যের সঙ্গে তার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলে, শিশু আরও ভালোভাবে শিখবে এবং তার সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রেও উন্নতি হবে।
শিশুদের স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি, এবং অভিভাবকদের দায়িত্ব হলো তাদের শারীরিক ও মানসিক উন্নতির জন্য একে সুস্থভাবে পরিচালিত করা। সৃজনশীলতা এবং প্রাকৃতিক ভাষার মধ্যে তাদের সংযোগ বৃদ্ধি করা তাদের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।
সোহেল/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড: জয় ও সাদমানের ফিফটি, দেখনু সরাসরি (Live)
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড: লিড নিল বাংলাদেশ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- বিএনপির ২৩ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন! আসছে নতুন ১১ প্রার্থী
- মেট্রো স্পিনিংয়ের ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- শেয়ারবাজারে বড় খবর: বিএসইসি’র ‘মার্জিন বিধিমালা ২০২৫’ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড প্রথম টেস্ট: প্রথম দিনের খেলা শেষ, জেনে নিন সংক্ষিপ্ত স্কোর
- ২৩ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন! ১১ আসনে নতুন প্রার্থীবিএনপির
- ওরিয়ন ফার্মার ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড: অল-আউটের পথে আয়ারল্যান্ড, দেখে নিন সর্বশেষ স্কোর
- আজ নতুন দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি কত
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় দিন শেষ: জয়ের ১৬৯, সাদমান ও মুমিনুলের ফিফটি
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড: মিরাজের ঘূর্ণিতে প্রথম ইনিংসে অল-আউট আয়ারল্যান্ড
- শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত ২৪ কোম্পানির ইপিএস প্রকাশ, জানুন এক নজরে
- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনেরনগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- সী পার্ল বিচের প্রথম প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ