সকালে খালি পেটে আদাজল খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম

নিজস্ব প্রতিবেদক: সকালে খালি পেটে আদাজল খাওয়ার অভ্যাস অনেকের কাছেই পরিচিত নয়, তবে এর রয়েছে অসাধারণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা। প্রতিদিনের দিনযাপন শুরু করার আগে শরীরকে সতেজ ও সুস্থ রাখার জন্য কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। আর সেই অভ্যাসের একটি হতে পারে আদাজল পান করা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আদাজল হজম ক্ষমতা বাড়ায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং শরীরকে সতেজ রাখে। রাজধানীর গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্সের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শম্পা শারমিন খান জানিয়েছেন, খালি পেটে আদাজল খাওয়া শরীরের জন্য বেশ উপকারী।
খালি পেটে আদাজল খাওয়ার উপকারিতা
১. হজম শক্তি উন্নত করে
সকালে আদাজল পান করলে হজমক্রিয়া ভালো হয়। বদহজম বা গ্যাসের সমস্যা থাকলে তা উপশম হয়।
পানিশূন্যতার ঝুঁকি কমায়
শরীরের পানির ঘাটতি দূর করতে সাহায্য করে আদাজল। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমাতে সহায়ক।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে
নিয়মিত আদাজল খাওয়ার ফলে ত্বক আর্দ্র ও সতেজ থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আদার প্রাকৃতিক উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, যা বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়।
প্রদাহ ও ব্যথা কমায়
শরীরের কোনো অংশে ব্যথা বা প্রদাহ থাকলে আদাজল তা কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে রাতে হলুদ-দুধ পান করলে এ উপকারিতা আরও বেড়ে যায়।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
নিয়মিত আদাজল খাওয়ার ফলে বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধি পায়, যা ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে।
সকালে আদাজল খাওয়ার সঠিক নিয়ম
শম্পা শারমিন খান জানিয়েছেন, আদাজল তৈরির সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে এর উপকারিতা আরও ভালোভাবে পাওয়া যাবে।
সকালে উঠে প্রথমে এক গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করুন।
এরপর আদাজল প্রস্তুত করুন—
এক গ্লাস পানি একটি পাত্রে নিয়ে চুলায় দিন।
এক ইঞ্চি আদার খোসা ছাড়িয়ে কুচি করুন বা থেঁতলে নিন।
পানি ফুটতে শুরু করলে তাতে আদা দিন।
চুলা বন্ধ করে ৫-৭ মিনিট ঢেকে রাখুন।
হালকা গরম অবস্থায় পান করুন।
আধাঘণ্টা পর সকালের নাশতা খেতে হবে।
ব্যথা বা প্রদাহ থাকলে করণীয়
পরিপাকতন্ত্র বিশেষজ্ঞ ডা. মো. মুসআব খলিল জানিয়েছেন, খালি পেটে আদাজল খাওয়ার কোনো ক্ষতিকর দিক নেই। তবে শরীরের ব্যথা বা প্রদাহ থাকলে বাড়তি যত্ন হিসেবে রাতে এক গ্লাস (২০০ মিলিলিটার) গরম দুধে আধা চা-চামচ কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
প্রতিদিন সকালে আদাজল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, হজমশক্তি ভালো হয় এবং সার্বিকভাবে সুস্থ থাকা যায়। নিয়মিত এই অভ্যাস অনুসরণ করলে দীর্ঘমেয়াদে উপকার পাওয়া সম্ভব।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- ৮ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণা, ছয় কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা খেলো ধাক্কা
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় আইসিবির বিশেষ তহবিল থাকবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বাঁচা মরার ম্যাচ
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- বীমা খাতে সুবাতাস, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৯ কোম্পানির মুনাফায় উল্লম্ফন
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি
- এশিয়া কাপ 2025 : বাংলাদেশের চুড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করলো বিসিবি