চার দিনের ধাক্কায় উধাও শেয়ারবাজারের ৬৮৮১ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চার দিনে উধাও ৬৮৮১ কোটি টাকা, টালমাটাল শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্ক
মাত্র চার কার্যদিবসেই ৬ হাজার ৮৮১ কোটি টাকার পুঁজি গলেছে শেয়ারবাজার থেকে। বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল) বিনিয়োগকারীদের জন্য সময়টা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। সূচকের পতন, লেনদেনের নিম্নগতি আর আস্থার সংকটে দিশেহারা হয়েছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
সাপ্তাহিক হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আর সপ্তাহ শেষে তা কমে দাঁড়ায় ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকায়। ফলে বাজার মূলধন এক সপ্তাহেই কমেছে ৬ হাজার ৮৮০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, যা শতকরা হিসাবে ১ দশমিক ০৪ শতাংশ।
সূচকেও ধস, পতন সর্বত্র
ডিএসইর তিনটি সূচকেই বড় ধরনের পতন হয়েছে।
ডিএসইএক্স কমেছে ৫৪ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১০ শতাংশ
ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ২২ দশমিক ১২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২০ শতাংশ
ডিএসইএস সূচক কমেছে ১০ দশমিক ৫২ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৯৫ শতাংশ
বাজার পতনের এই চিত্র স্পষ্ট করে বলছে—বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে এসে ঠেকেছে।
লেনদেনেও মন্দাভাব, তবে গড়ে খানিকটা বৃদ্ধি
টাকার অঙ্কে লেনদেন কমে গেছে আগের তুলনায়। পুরো সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪১০ কোটি ১৫ লাখ টাকা, যেখানে আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ১ হাজার ৭১৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ফলে এক সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৩০৮ কোটি ০৩ লাখ টাকা।
তবে গড় লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। চলতি সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৫২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের ৩৪৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার তুলনায় ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি।
কোম্পানি বিনিয়োগের চিত্র
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে
১৫৮টির শেয়ারের দাম বেড়েছে
১৯৯টির দাম কমেছে
৩৭টির কোনো পরিবর্তন হয়নি
সংকটের পেছনে কারণ কী?
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, একদিকে মুদ্রানীতিগত অনিশ্চয়তা, অন্যদিকে নগদ সংকট, রাজনৈতিক চাপ ও বিদেশি বিনিয়োগ কমে আসা—সব মিলিয়ে বাজারে আস্থার বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিষ্ক্রিয়তাও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়িয়ে তুলছে।
সামনের পথে কী?
বিনিয়োগকারীরা এখন চেয়ে আছেন সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান নীতিগত স্থিতিশীলতা ও শক্তিশালী সহায়তার দিকে। নইলে এই আস্থাহীনতা আগামী সপ্তাহগুলোতেও বাজারে চাপ তৈরি করতে পারে।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- শেষ হলো মেলবোর্ন স্টার্স বনাম বাংলাদেশের মধ্যকার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড জায়গা পেলেন যারা
- ৮ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণা, ছয় কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা খেলো ধাক্কা
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় আইসিবির বিশেষ তহবিল থাকবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বাঁচা মরার ম্যাচ
- ‘ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’—ড. ইউনূস
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি