ঢাকা, শনিবার, ৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

Alamin Islam

Senior Reporter

everton vs ipswich town:

এভারটন বনাম ইপ্সউইচ: গুডিসন পার্কে গোলবন্যা, জয় পেল না কেউ

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মে ০৩ ২২:৩৭:৫২
এভারটন বনাম ইপ্সউইচ: গুডিসন পার্কে গোলবন্যা, জয় পেল না কেউ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ৩ মে শনিবার গুডিসন পার্কে অনুষ্ঠিত প্রিমিয়ার লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এভারটন ও ইপ্সউইচ টাউনের মধ্যকার লড়াই শেষ হয়েছে ২-২ গোলে। ম্যাচের শুরুতে এভারটন দারুণভাবে এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত হার এড়াতে পেরেছে ইপ্সউইচ। এই ড্র একটি পয়েন্ট এনে দিলেও, অবনমন অঞ্চলের নিচের দিক থেকে ওঠার লড়াইয়ে ইপ্সউইচের জন্য তা যথেষ্ট কিনা—তা নিয়ে রয়ে গেছে প্রশ্ন।

প্রথমার্ধে এভারটনের দাপট

ম্যাচের শুরু থেকেই বলের নিয়ন্ত্রণে ছিল এভারটন। ২৬তম মিনিটে ফরোয়ার্ড বেটোর গোলের মাধ্যমে এগিয়ে যায় স্বাগতিক দল। এরপর ৩৫তম মিনিটে মিডফিল্ডার ডোয়াইট ম্যাকনেইল আরও একটি গোল করে এভারটনকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। গুডিসন পার্কে তখন উল্লাসে ভাসছিল এভারটন সমর্থকরা।

কিন্তু প্রথমার্ধের শেষের দিকেই ম্যাচে ফেরে ইপ্সউইচ। ৪১তম মিনিটে গোল করেন জুলিও এনসিসো। ওই গোল ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দেয়।

দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে আসে ইপ্সউইচ

দ্বিতীয়ার্ধে এভারটন বলের দখল রাখলেও আক্রমণে ধার হারিয়ে ফেলে। ইপ্সউইচ তখন পাল্টা আক্রমণ চালাতে শুরু করে। ম্যাচের ৭৯তম মিনিটে গুরুত্বপূর্ণ গোল করে সমতা ফেরান জর্জ হর্স্ট। এর পর আর কোনো দল গোল করতে না পারায় ম্যাচ শেষ হয় ২-২ গোলে।

ম্যাচ পরিসংখ্যান

এভারটন ম্যাচে মোট ৮টি শট নেয়, যার মধ্যে ৩টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ইপ্সউইচ নেয় ১২টি শট, যার মধ্যে ৫টি ছিল অন টার্গেট। বল দখলে এভারটনের আধিপত্য ছিল—৫৮ শতাংশ, পাসিং অ্যাকুরেসিও ছিল ভালো (৮৮ শতাংশ)। কিন্তু গোলরক্ষকের সামনে তারা খুব বেশি কার্যকর হতে পারেনি। ইপ্সউইচের পাসিং সঠিকতা ছিল ৮৫ শতাংশ, তারা করেছিল ৩৫৯টি পাস।

ফাউল ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি—এভারটন ১২টি এবং ইপ্সউইচ ১৫টি। উভয় দলই চারটি করে হলুদ কার্ড দেখে।

প্রিমিয়ার লিগে অবস্থান

এই ড্রয়ের পর এভারটন ৩৫ ম্যাচে ৮ জয়, ১৫ ড্র এবং ১২ হারে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে ১৪তম অবস্থানে। তাদের গোল ব্যবধান -৭।

অন্যদিকে ইপ্সউইচ টাউনের অবস্থান আরও খারাপ। ৩৫ ম্যাচে মাত্র ৪টি জয়, ১০টি ড্র ও ২১টি হারে তাদের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ২২। তারা রয়েছে অবনমন তালিকার ১৮তম স্থানে। গোল ব্যবধান -৪১, যা তাদের রেলিগেশন থেকে রক্ষা পাওয়ার লড়াইকে আরও কঠিন করে তুলেছে।

শেষ পাঁচ ম্যাচে দুই দলের পারফরম্যান্স

এভারটনের শেষ পাঁচ ম্যাচের ফল: ড্র, জয়, হার, হার, ড্র

ইপ্সউইচের শেষ পাঁচ ম্যাচ: হার, ড্র, হার, হার, ড্র

সমর্থকদের প্রতিক্রিয়া

এভারটন সমর্থকদের অনেকে হতাশ তাদের দলের পারফরম্যান্সে। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে জয় না পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই কোচিং স্টাফ ও রক্ষণভাগের সমালোচনা করেছেন।

অন্যদিকে, ইপ্সউইচের ভক্তরা এই ড্রকেই সাফল্য হিসেবে দেখছেন। কারণ তারা ম্যাচে ফিরে এসেছে এবং অন্তত এক পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে, যা অবনমন থেকে বাঁচার লড়াইয়ে হয়তো কাজে লাগতে পারে।

সামনে কী অপেক্ষা করছে?

পরবর্তী ম্যাচে এভারটন মুখোমুখি হবে ব্রেন্টফোর্ডের, যারা মাঝমাঠের দিকেই অবস্থান করছে। অন্যদিকে, ইপ্সউইচের জন্য অপেক্ষা করছে আরও কঠিন পরীক্ষা—তাদের খেলতে হবে রেলিগেশন অঞ্চলের অপর দল লেস্টার সিটির বিপক্ষে। এই ম্যাচটিই হয়তো নির্ধারণ করবে কে থেকে যাবে আর কে বিদায় নেবে প্রিমিয়ার লিগ থেকে।

আল-আমিন ইসলাম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ