ঢাকা, বুধবার, ৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২

ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ: হামলার পর দুই দেশের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ মে ০৭ ২১:২৯:২৮
ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ: হামলার পর দুই দেশের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আবারও তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন ভারতীয় পর্যটক নিহত হয়। এ ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত মধ্যরাতে চালায় পাল্টা অভিযান—যার নাম দেয় ‘অপারেশন সিন্দুর’। এ অভিযানে পাকিস্তানের ভেতরে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারতীয় বিমানবাহিনী।

পাকিস্তানে ভারতের হামলায় কী ক্ষতি হয়েছে?

পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (ISPR)-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, ভারতীয় হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২৬ জন পাকিস্তানি নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছেন। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদ ও কোটলি এলাকা, পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, শিয়ালকোট এবং শাকরগড়।

বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক ক্ষয়ক্ষতি:

মুজাফফরাবাদ: মসজিদে বিলালে হামলায় ৩ জন নিহত, ২ কিশোর-কিশোরী আহত।

কোটলি: মসজিদে আব্বাসে ১৬ বছর বয়সি এক কিশোরী ও ১৮ বছর বয়সি এক কিশোর নিহত, এক মা ও তার শিশু আহত।

মুরিদকে: মসজিদে উম্মুল কুরায় হামলায় ৩ জন নিহত, ১ জন আহত।

শিয়ালকোট: হামলা হলেও কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।

শাকরগড়: একটি ডিসপেনসারি/ফার্মেসি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী, এসব হামলায় বেশ কিছু বেসামরিক অবকাঠামো—including বাড়িঘর ও ধর্মীয় স্থাপনা—ধ্বংস বা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ভারতের ক্ষয়ক্ষতি কী?

ভারতের পক্ষ থেকে এখনও কোনো বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে বিবিসির বরাতে জানা গেছে, সীমান্তে পাকিস্তানি পাল্টা গোলাগুলিতে ভারতের ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান (এর মধ্যে তিনটি উন্নততর রাফায়েল জেট), একটি হেলিকপ্টার এবং চারটি নজরদারি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। পাকিস্তানি সূত্র আরও জানায়, কয়েকজন ভারতীয় সেনাও নিহত হয়েছেন। যদিও ভারত সরকার এই দাবিগুলো অস্বীকার করেছে।

এছাড়া ভারত-শাসিত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কিছু সামরিক স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে, তবে এর সুনির্দিষ্ট বিবরণ এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে আন্তর্জাতিক মহল দু’পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানাচ্ছে। তবে সীমান্তে এখনও থেমে নেই গোলাগুলি, যার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

মোঃ রাজিব/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ