শেয়ারবাজারে আস্থা কমেছে, নিয়ন্ত্রকের পদক্ষেপে প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাজারে পতনের ধারা অব্যাহত, বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ তীব্র
দেশের শেয়ারবাজারে আস্থা কমে যাওয়া নিয়ে বাজার সংশ্লিষ্টরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। ২০২৫ সালের প্রথম পাঁচ মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ২৫% পতন নিয়ে এসেছে, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সূচক নেমে দাঁড়িয়েছে ৪,৭৮১ পয়েন্টে—২০১৯ সালের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতার অন্যতম কারণ হলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পদক্ষেপের অপ্রতুলতা এবং নেতৃত্বে অভাব। বিশেষ করে ‘মাকসুদ কমিশন’ নামে পরিচিত পাওয়া(বিএসইসি) নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের বাজার পরিচালনার নীতিগুলো বাজারের বাস্তব চাহিদার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করা হচ্ছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম পঞ্চমাংশে বাজারে নতুন বিনিয়োগের প্রবাহ ২৫% কমেছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণও ১৫% হ্রাস পেয়েছে, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। আইসিবির আর্থিক সংকট বাজারে পুঁজি প্রবাহকে ২০% পর্যন্ত সংকুচিত করেছে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের গড় আর্থিক ক্ষতি প্রায় ৪০%, ফলে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বাজার থেকে সরে আসার পথ খুঁজছেন।
তথ্য প্রকাশ এবং বাজার স্বচ্ছতার অভাবে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ৫০%-এর নিচে নেমে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিএসইসির নেতৃত্বে দক্ষ ও অভিজ্ঞ নেতাদের নিয়োগ না হলে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে বাজারে পতন আরো ১০-১৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
বাজারের এই অবনতি শুধু আর্থিক সংকট নয়, বরং সামাজিক প্রভাবও বিস্তৃত হচ্ছে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রায় ৬০% আর্থিক নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়েছেন, যা দেশের সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য উদ্বেগের বিষয়।
বিশেষজ্ঞরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছেন দ্রুত কার্যকর ও স্বচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য, যাতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসে এবং বাজারে নতুন পুঁজি প্রবাহ নিশ্চিত হয়। বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শক্তিশালী নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।
FAQ (প্রশ্নোত্তর):
১. শেয়ারবাজারে আস্থা কমার মূল কারণ কী?
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির দুর্বল নেতৃত্ব এবং ‘মাকসুদ কমিশন’ নামে পরিচিত কর্তৃপক্ষের বাস্তব চাহিদার বিপরীতে সিদ্ধান্ত নেয়া।
২. শেয়ারবাজারের বর্তমান অবস্থা কেমন?
ডিএসই সূচক ৫ বছরের সর্বনিম্ন স্তরে নেমেছে, বিনিয়োগ ২৫% কমেছে এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন।
৩. শেয়ারবাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনতে কি করা উচিত?
দক্ষ ও অভিজ্ঞ নেতৃত্ব নিয়োগ, স্বচ্ছতা বাড়ানো, নতুন বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে প্রণোদনা নীতি গ্রহণ এবং কঠোর নিয়ন্ত্রণ।
৪. ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য এই পরিস্থিতির প্রভাব কী?
তাদের গড় আর্থিক ক্ষতি প্রায় ৪০%, যা তাদের আর্থিক নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।
মো: রাজিব আলী/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- চুপ্পুকে সরিয়ে জাতীয় নির্বাচনে আগে নতুন রাষ্ট্রপতি চান পিনাকি
- PSG বনাম ইন্টার মায়ামি: কখন, কোথায় ও কীভাবে দেখবেন লাইভ ম্যাচ
- পিএসজি বনাম ইন্টার মায়ামি: ম্যাচ প্রিভিউ, একাদশ ও ম্যাচ শুরুর সময়
- ৮ গোল: শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম বাহারাইনের মধ্যকার ম্যাচের ৯০ মিনিটের খেলা
- মাহিয়া মাহির মৃত্যু গুজব: সত্য ও মিথ্যার বিশ্লেষণ
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কবার্তা দিল ডিএসই
- শান্তর পদত্যাগ, নতুন টেস্ট অধিনায়কত্বে এগিয়ে যিনি
- পিএসজি বনাম ইন্টার মায়ামি: ৪-০ গোলে শেষ হলো ম্যাচ
- কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন ফখরুল, চোখের জলে ভেসে গেল শেষ বিদায়
- শ্রীলঙ্কা বনাম বাংলাদেশ: বৃষ্টির কারণে বন্ধ দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ
- ফাফ ডু প্লেসির ডাবল সেঞ্চুরি রেকর্ডে কাঁপছে ক্রিকেট বিশ্ব
- ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ : দ্বিতীয় পর্ব নিশ্চিত ১৬ দলের, সময় সূচি প্রকাশ
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নজরে পাঁচ কোম্পানি
- বাজারে সামগ্রিক মন্দার মাঝেও বস্ত্র খাতের ৫ কোম্পানির চমক
- বিনিয়োগকারীদের জন্য তিন কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা