ড. ইউনূস পদত্যাগের গুঞ্জনে রাজনীতি অস্থির: জাতির জন্য বড় সংকেত?

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ড. ইউনূসের পদত্যাগ হলে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় বিরাট ধাক্কা আসতে পারে।
বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জন নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। দেশের রাজনীতিতে স্থিতিশীলতার এক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত ড. ইউনূস, যিনি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তাঁর সম্ভাব্য পদত্যাগ নিয়ে বিশিষ্টজনেরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ড. ইউনূস শুধু প্রধান উপদেষ্টা নন, বরং দেশের রাজনৈতিক ভারসাম্যের প্রতীক। তার আন্তর্জাতিক সুনাম ও নিরপেক্ষ অবস্থানের কারণে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশের রাজনীতি কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। এখন তিনি যদি পদত্যাগ করেন, তাহলে তা দেশের জন্য এক ভয়াবহ সংকেত হিসেবে ধরা হবে।
এক বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ বলেন,
“এই মুহূর্তে ড. ইউনূস ছাড়া নির্বাচন পরিচালনা করা অত্যন্ত কঠিন। তাঁর অভাব দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিপর্যস্ত করতে পারে এবং এর ফলে রাজনৈতিক অশান্তি সৃষ্টি হবে।”
অন্যদিকে, বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত এবং চরমোনাই পীরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এই সংকটে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলছেন,“ড. ইউনূসের পাশে দাঁড়িয়ে তাকে সাহস জোগানোই এখন দেশের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। তার অভাব সামগ্রিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় বড় ধাক্কা দিতে পারে।”
দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরও জানান,
“বর্তমান রাজনৈতিক বিভাজন ও কলহের মধ্যে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই। আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে বিবাদ ভুলে গিয়ে দেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করলে তবেই পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা সম্ভব।”
ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত গুণাবলীর কথাও বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়। তাঁর নম্রতা, ধৈর্য ও যুক্তিসংগত মনোভাব দেশের রাজনীতিতে অনেক সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রেখেছে। এক মহলে মনে করা হয়, তিনি যদি এই উত্তেজনাপূর্ণ সময় থেকে সরে যান, তাহলে দেশের রাজনীতিতে অস্থিতিশীলতার মাত্রা অনেক বেড়ে যাবে।
বিশেষজ্ঞরা শেষবার্তা দিয়ে বলেন,
“সাবধান হওয়া সময়ের দাবি। ক্ষমতার লড়াই জনগণের ওপর ছেড়ে দিন। যদি আমরা এখন ঐক্যবদ্ধ না হই, তাহলে ইতিহাস আমাদের কখনও ক্ষমা করবে না।”
FAQ (প্রশ্নোত্তর):
প্রশ্ন ১: ড. ইউনূস কি সত্যিই পদত্যাগ করছেন?
উত্তর: এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, তিনি পদত্যাগের কথা চিন্তা করছেন।
প্রশ্ন ২: কেন ড. ইউনূসের পদত্যাগ রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে পারে?
উত্তর: তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ভারসাম্যের প্রতীক হিসেবে কাজ করে এসেছেন। তার অভাব নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে।
প্রশ্ন ৩: ড. ইউনূসের পদত্যাগ হলে কে তার জায়গা নিতে পারেন?
উত্তর: এখন পর্যন্ত তার বিকল্প হিসেবে কাউকে সামনে আনা হয়নি। অনেকেই মনে করেন, এই মুহূর্তে তার সমতুল্য কাউকে পাওয়া কঠিন।
প্রশ্ন ৪: রাজনীতিবিদরা কী বলছেন এই বিষয়ে?
উত্তর: বিভিন্ন দলের নেতারা তার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছেন এবং জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড চূড়ান্ত
- শেষ হলো মেলবোর্ন স্টার্স বনাম বাংলাদেশের মধ্যকার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ
- ডিএসইর সতর্কবার্তা: দুই কোম্পানির শেয়ারদর অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড জায়গা পেলেন যারা
- বাংলাদেশ বনাম ভুটান: ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জানুন সর্বশেষ ফলাফল
- ডিএসইর সতর্কবার্তা: বিনিয়োগকারীরা সাবধান
- বস্ত্র খাতের ৫ কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে
- ৭ কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের ভরসা
- শেয়ার কারসাজি করতে অতিরঞ্জিত ইপিএস দেখিয়েছে লাভেলো
- শুরু বাংলাদেশ বনাম ভুটান ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে
- বাংলাদেশ বনাম ভুটান: ৩৫ মিনিটের খেলা শেষ
- বাংলাদেশ বনাম ভুটান: অবশেষে গোল, প্রথমার্ধের খেলা শেষ
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বড় চমক, বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড চূড়ান্ত
- আজকের খেলার সময়সূচি:বাংলাদেশ-মেলবোর্ন ওসিপিএল
- দালালদের দিন শেষ! এখন শূন্য খরচে মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ