চারটি ভুল করলেই যাবে চাকরি! সরকারি কর্মীদের জন্য নতুন আইন

অননুগত্য, গাফিলতি, উসকানি বা বাধা—এই চার অপরাধেই শাস্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক: সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই সরকার জারি করেছে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫। নতুন এই আইনে চারটি অপরাধের জন্য সরকারি কর্মচারীদের চাকরি হারানোর মতো শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে, যা কর্মীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও ক্ষোভ তৈরি করেছে।
নতুন আইন অনুযায়ী, সরকারি চাকরিজীবীরা যদি—
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করেন (অননুগত্য বা শৃঙ্খলা ভঙ্গ),
কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন বা দায়িত্বে গাফিলতি করেন,
অন্য কর্মচারীদের উসকানিতে মেতে ওঠেন, অথবা
অন্যদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেন—
তবে তার বিরুদ্ধে নিম্নপদে অবনমিতকরণ, চাকরি থেকে অপসারণ কিংবা বরখাস্তের মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
কর্মচারীদের বিক্ষোভ: ‘কালো আইন’ প্রত্যাহারের দাবি
এই অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে রোববার সচিবালয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকাল সাড়ে ৯টা থেকেই সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে জড়ো হয়ে তারা সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে কয়েক শ কর্মকর্তা সচিবালয়ের অভ্যন্তরে মিছিল করেন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এই আইনটি কঠোর, অন্যায় ও চাকরিজীবীদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনকারী। তারা বলছেন, “এই আইন একপেশে ও দমনমূলক। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকবেন, যা সরকারি সেবায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন
গত ২২ মে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের ২৯তম বৈঠকে অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর ২৫ মে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে জারি করা হয়।
মাঠ না ছাড়ার ঘোষণা
‘বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ’ নতুন আইনটিকে ‘কালো আইন’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। সংগঠনের নেতারা বলছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে, তারা মাঠ ছাড়বেন না।
সরকারি চাকরির শৃঙ্খলা রক্ষায় নতুন আইনটি হয়তো নীতিগতভাবে যৌক্তিক, তবে মাঠপর্যায়ে এর বাস্তবায়ন নিয়ে তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক। কর্মচারীদের উদ্বেগ ও কর্মবিরতির মতো পরিস্থিতি সামলাতে সরকার কতটা দ্রুত সংলাপে যাবে, এখন সেটিই দেখার বিষয়।
FAQ (Frequently Asked Questions):
প্রশ্ন ১: সরকারি চাকরি সংশোধন আইন ২০২৫–এ কী কী অপরাধে শাস্তি হবে?
উত্তর: অননুগত্য, দায়িত্বে গাফিলতি, অন্যদের উসকানি দেওয়া এবং কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়া—এই চার অপরাধে চাকরি হারানোর শাস্তি হতে পারে।
প্রশ্ন ২: এই আইনটি কখন জারি করা হয়েছে?
উত্তর: ২৫ মে ২০২৫ তারিখে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে এটি জারি করা হয়।
প্রশ্ন ৩: কর্মচারীরা কেন বিক্ষোভ করছেন?
উত্তর: তারা এই আইনকে ‘কালো আইন’ আখ্যা দিয়ে বলছেন, এটি অন্যায়ভাবে দমনমূলক এবং মৌলিক অধিকার হরণ করে।
প্রশ্ন ৪: এই আইন কার্যকর হলে কী প্রভাব পড়তে পারে?
উত্তর: সরকারি কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়বে এবং দাপ্তরিক পরিবেশে শঙ্কা ও অসন্তোষ তৈরি হতে পারে।
মো: রাজিব আলী/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- মাত্র ২০০ টাকায় স্টারলিংক! কীভাবে সম্ভব হলো জানলে চমকে যাবেন
- আজ এক ভরি ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ১,১১,৮১৬ টাকা!
- শেয়ারবাজারে চাঙ্গাভাব ফেরাতে বড় উদ্যোগ অর্থ মন্ত্রণালয়ের
- ভিন্সের উইকেট নেওয়ার পরও সাকিবকে বোলিংয়ে না আনায় ক্ষোভে সমর্থকরা
- পুঁজিবাজারে বড় সাত সিদ্ধান্ত: ডেরিভেটিভ লেনদেনের যুগে প্রবেশ, কমল বিও হিসাব ফি
- ছক্কার বদলে এক রান, আম্পায়ারকে একহাত নিলেন প্রীতি
- আইপিএল শেষে দুঃসংবাদ দিলেন মুস্তাফিজ
- রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন ড. ইউনূস
- আইপিএলে সাকিবকে ছাড়িয়ে শীর্ষে মুস্তাফিজ, স্টার্কও পিছনে
- মহার্ঘ ভাতার পাশাপাশি চাকরিজীবীদের দু:সংবাদ দিল অর্থ উপদেষ্টা
- শাহীনের আগুনে ভস্ম ইসলামাবাদ, ফাইনালে লাহোর
- ম্যাচ হেরে আইপিএল থেকে বিদায়, ফাফ ডু প্লেসিসের কড়া মন্তব্য
- ঈদের আগে শিক্ষকদের মুখে হাসি, সুখবর দিল অর্থ মন্ত্রণালয়
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ১৪টি কোম্পানি লাইসেন্স বাতিলেরউদ্যোগ
- সৌদি আরব ও বাংলাদেশে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা