ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শেয়ার ধারণে ৩০% বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন, নড়েচড়ে বসেছে বিএসইসি!

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ মে ২৮ ১৯:৩০:৫৫
শেয়ার ধারণে ৩০% বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন, নড়েচড়ে বসেছে বিএসইসি!

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানির স্পনসর ও ডিরেক্টররা সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার রাখার বাধ্যবাধকতা পালন করেননি—এমন তথ্য হাতে পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে কারণ দর্শানোর চিঠি।

সম্প্রতি বিএসইসি এক চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছে, কোম্পানিটির স্পনসর ও পরিচালকদের হাতে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশের কম শেয়ার রয়েছে। যা স্পষ্টভাবে ২০১৯ সালের ২১ মে জারিকৃত নির্দেশনার পরিপন্থী। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত প্রতিটি কোম্পানির স্পনসর-ডিরেক্টরদের সম্মিলিতভাবে কমপক্ষে ৩০% শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক। চিঠির রেফারেন্স নম্বর: BSEC/CMRRCD/2009-193/217/Admin/90।

চিঠিতে বিএসইসি সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে উল্লেখিত সীমার নিচে শেয়ার ধারণের বিষয়টি ব্যাখ্যা করে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলেছে। একইসঙ্গে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসির একটি অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, নিয়ম ভাঙার পেছনে কী ধরনের কারণ রয়েছে, তা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না পাওয়া গেলে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছে কমিশন।

উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষায় বিএসইসি দীর্ঘদিন ধরেই কোম্পানির স্পনসর ও পরিচালকদের ওপর ৩০ শতাংশ শেয়ার রাখার বাধ্যবাধকতা কার্যকর করছে। এর ব্যত্যয় হলে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

FAQ (প্রশ্নোত্তর):

প্রশ্ন ১: তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে কেন চিঠি দিয়েছে বিএসইসি?

উত্তর: কোম্পানিটির স্পনসর ও ডিরেক্টররা সম্মিলিতভাবে ৩০% শেয়ার ধারণ না করায় বিএসইসি কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে।

প্রশ্ন ২: বিএসইসির কোন নির্দেশনা অনুসারে ৩০% শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক?

উত্তর: বিএসইসির ২০১৯ সালের ২১ মে তারিখের নির্দেশনা অনুযায়ী এই বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে (রেফারেন্স নম্বর: BSEC/CMRRCD/2009-193/217/Admin/90)।

প্রশ্ন ৩: যদি কোম্পানিটি সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না দেয়, তাহলে কী হবে?

উত্তর: সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না পেলে কমিশন কোম্পানিটির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে।

প্রশ্ন ৪: এই নিয়ম ভঙ্গের প্রভাব কী হতে পারে?

উত্তর: বিনিয়োগকারীদের আস্থা হ্রাস পেতে পারে এবং বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ