ছয় শীর্ষ কোম্পানির জাগরণে ঘুরে দাঁড়াল শেয়ারবাজার

বৃহস্পতিবারের সূচকে ঘুরে দাঁড়ানোর নেপথ্যে মৌলভিত্তির শীর্ষ কোম্পানিগুলোর জাগরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা ছয় কার্যদিবস ধরে যেন গভীর অন্ধকারে হেঁটেছে দেশের শেয়ারবাজার। বিনিয়োগকারীদের চোখে ছিল অনিশ্চয়তার ছাপ, সূচকের প্রতিটি পতনে ঘরে ফিরেছে হতাশা। তবে অবশেষে আশার আলো দেখাল বৃহস্পতিবার (২৯ মে)। পতনের দীর্ঘসুর কাটিয়ে সূচক ঘুরে দাঁড়িয়েছে, আর এই উত্তরণের রূপকার—মৌলভিত্তির শীর্ষ ছয় ‘দৈত্য’ কোম্পানি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক দিনশেষে বেড়েছে ২২ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট। কিন্তু বিস্ময়করভাবে এই বাড়তির নেপথ্যে ছয়টি কোম্পানি একাই অবদান রেখেছে ২৪ পয়েন্টেরও বেশি—যা সূচক পুনরুদ্ধারে তাদের প্রভাব কতটা গভীর ছিল, তা স্পষ্ট করে।
সূচকে প্রাণ ফেরানো ছয় রক্ষাকবচ
সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটি)—যাদের একক অবদান ৮ দশমিক ২০ পয়েন্ট। এর পাশাপাশি ছিল আরও পাঁচটি মৌলভিত্তির দাপুটে কোম্পানি, যারা সূচকে যোগ করেছে নিজ নিজ শক্তি:
গ্রামীণফোন: ৫.৫০ পয়েন্ট
ওয়ালটন হাইটেক: ৩.১৪ পয়েন্ট
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস: ২.৭৮ পয়েন্ট
রেনেটা: ১.৬০ পয়েন্ট
রবি আজিয়াটা: ১.৩৬ পয়েন্ট
শুধু সংখ্যায় নয়, মনস্তাত্ত্বিকভাবেও এসব কোম্পানির সক্রিয়তা নতুন করে আস্থার বীজ বপন করেছে বিনিয়োগকারীদের মনে।
হতাশা থেকে হঠাৎ আশার উত্থান
দিনের শুরুটা ছিল যেন আরও এক দুঃসংবাদ। লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় সূচক পড়ে যায় ২৭ পয়েন্ট। অনেকে ভেবেছিলেন, হয়তো আরও একটি রক্তাক্ত দিন অপেক্ষা করছে। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে, পাল্টেছে দৃশ্যপট। দুপুর ১২টার আগে বড় মূলধনী শেয়ারগুলোতে হঠাৎ করেই দেখা যায় চাঙ্গাভাব।
এই জাগরণে মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে সূচক বেড়ে যায় ৪৭ পয়েন্ট, যা দিনটিকে রূপ দেয় ঘুরে দাঁড়ানোর এক নাটকীয় গল্পে। যদিও শেষ ঘণ্টায় কিছু বিনিয়োগকারী মুনাফা তুলে নিতে শুরু করায় সূচকের গতি খানিকটা ধীর হয়, তবে শেষ পর্যন্ত বাজার থামে সবুজেই—একটি প্রতীকী জয় নিয়ে।
আস্থার পর্দা উন্মোচনে নতুন অধ্যায়
বিশ্লেষকরা বলছেন, বড় মূলধনী কোম্পানিগুলোর এই সম্মিলিত উদ্যোগ বাজারকে শুধু রক্ষা করেনি, দিয়েছে নতুন আত্মবিশ্বাস। তাদের মতে, এরকম মৌলভিত্তির প্রতিষ্ঠানের সক্রিয়তা যদি নিয়মিত দেখা যায়, তবে বাজারে পুনরুদ্ধার হবে কেবল সময়ের ব্যাপার।
আর বিনিয়োগকারীরা? তারা আজ একটু নিশ্চিন্ত। কারণ জানেন, বাজারে এখনো আছে এমন কিছু রক্ষাকবচ, যারা দরকারে ঘুরে দাঁড়াতে জানে। যাদের শেকড় মজবুত, আর সেই শেকড়ই হয়তো আগামীর স্থিতিশীল বাজার গড়ার ভিত্তি হবে।
শেয়ারবাজার আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই ঘুরে দাঁড়ানো কি এক দিনের? নাকি এটা শুধুই শুরু?
সেই প্রশ্নের উত্তর দেবে আগামী দিনগুলো। তবে আজকের গল্পটা—আস্থার, দৃঢ়তার আর ঘুরে দাঁড়ানোর।
মো: রাজিব আলী/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: প্রথম টেস্ট প্রথম দিনেই বাংলাদেশ ৪ রেকর্ড
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: বৃষ্টির কারণে বন্ধ ম্যাচ
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ নিরাপদ ব্যাংকের তালিকা প্রকাশ
- মারা গেলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মোস্তফা মোহসীন মন্টু
- শেখ হাসিনা যাকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন, জানালেন অলি
- মারা গেলেন ভারতের উদিয়মান তারকা ক্রিকেটার
- বিসিবিতে প্রধান কোচ হয়ে ফিরলেন হান্নান সরকার
- আজ ৮ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা, থাকুন সতর্ক
- আ. লীগের কার্যক্রম স্থগিত, নিষিদ্ধ করা হয়নি: ড. ইউনূস
- ৬০ কোম্পানির কাছে মূলধন রোডম্যাপ চাইল বিএসইসি
- সাকিবসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা: নাম প্রকাশ
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (১৪ জুন ২০২৫)
- করোনা সংক্রমণ: স্কুল বন্ধ নাকি চলবে, সিদ্ধান্ত জানালো মাউশি
- সোনার দামে বড় পতনের শঙ্কা, আসছে বড় পরিবর্তন
- ত্রয়োদশ নির্বাচনে বিএনপি ১০০ আসনও পাবে না