ঢাকা, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

Fake Medicine: ওষুধ কিনতে সাবধান! ১৮৮টি নামী ব্র্যান্ডও গুণমানহীন

স্বাস্থ্য ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুন ২২ ১১:১০:০০
Fake Medicine: ওষুধ কিনতে সাবধান! ১৮৮টি নামী ব্র্যান্ডও গুণমানহীন

নিজস্ব প্রতিবেদক: আমরা বিশ্বাস করে ওষুধ কিনি। ট্যাবলেট, ইনজেকশন কিংবা সিরাপ—চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে সেবন করি সুস্থতার আশায়। কিন্তু যদি সেই ওষুধই হয়ে ওঠে মৃত্যুঝুঁকির কারণ? যদি নামী ব্র্যান্ডের মোড়কে ঢেকে থাকে ভেজাল ও বিপজ্জনক রাসায়নিক? এমনই এক ভয়ঙ্কর চিত্র উঠে এসেছে ভারতের কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের (CDSCO) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে।

গুণমান পরীক্ষায় ধরা পড়েছে ১৮৮টি ওষুধ

CDSCO-এর গুণমান পরীক্ষায় ফেল করেছে ১৮৮টি ওষুধ। এসব ওষুধের মধ্যে রয়েছে ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, ইনজেকশন ও সিরাপসহ বিভিন্ন ধরনের জীবনরক্ষাকারী ওষুধ।

সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, এর বেশ কয়েকটি নামী ওষুধ কোম্পানির নাম ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে—অর্থাৎ সেগুলো ছিল জাল ওষুধ।

ইনজেকশনে মিলেছে ব্যাকটেরিয়া, পানিতে গলেছে গুণমান

রিপোর্ট অনুযায়ী, কিছু ইনজেকশনের ভায়ালে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যা শরীরে প্রবেশ করলে মারাত্মক ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ে।

অনেক ওষুধ তৈরি হয়েছে পরিশোধিত জল ছাড়া, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি বহুগুণে বাড়ায়। আবার কিছু ওষুধের ক্ষেত্রে নকল ব্যাচ নম্বর ও ভুয়া ব্র্যান্ড নেম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করা হয়েছে।

কোন কোন রাজ্য থেকে এসেছে এসব ওষুধ?

এই গুণমানহীন ওষুধগুলোর উৎপত্তিস্থল ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। সবচেয়ে বেশি সংস্থার নাম এসেছে হিমাচল প্রদেশ থেকে।

হিমাচল প্রদেশ: ৪৪টি সংস্থা

উত্তরাখণ্ড: ২৩টি সংস্থা

গুজরাত: ২৩টি সংস্থা

মহারাষ্ট্র: ১৬টি সংস্থা

মধ্যপ্রদেশ: ১৩টি সংস্থা

পাঞ্জাব: ১২টি সংস্থা

প্রতিটি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত ও বাজার থেকে পণ্য প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

কী করণীয় সাধারণ মানুষের?

১. ওষুধ কেনার আগে অবশ্যই মেয়াদ, ব্যাচ নম্বর ও কোম্পানির নাম দেখে নিন

২. সন্দেহজনক কিছু দেখলে দ্রুত স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানান

৩. অপরিচিত কোম্পানির ওষুধ এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে ছাড়ে বিক্রি হলে

৪. চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ সেবন করবেন না

জনস্বার্থে সতর্কতা

ওষুধ শুধুই পণ্য নয়—এটা বিশ্বাস, এটা জীবন। সেই জীবন যদি লাভের আশায় তৈরি হওয়া নকল ওষুধের হাতে তুলে দেওয়া হয়, তবে তা সমাজ ও রাষ্ট্র উভয়ের জন্যই ভয়ানক বিপদ।

সরকারি সংস্থার নজরদারি ও কঠোর ব্যবস্থা জরুরি হলেও, সচেতনতা হতে হবে প্রথম প্রতিরক্ষা।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ