ঢাকা, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৯ ব্যাংকের সম্পদ যাচাইয়ে আন্তর্জাতিক অডিট

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ০১ ১৩:৩০:০০
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৯ ব্যাংকের সম্পদ যাচাইয়ে আন্তর্জাতিক অডিট

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংকিং খাতে আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও ১১টি ব্যাংকের সম্পদ যাচাই (Asset Quality Review - AQR) কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। এদের মধ্যে ৯টি ব্যাংক শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে গঠিত ‘ব্যাংক রিসট্রাকচারিং অ্যান্ড রেজ্যুলেশন ইউনিট’ এই কার্যক্রম তদারকি করছে। সম্পদ যাচাইয়ের কাজে সহায়তা করছে বিশ্বব্যাংক, এবং এটি বাস্তবায়ন করবে আন্তর্জাতিক অডিট প্রতিষ্ঠান ইরনেস্ট অ্যান্ড ইয়াং (Ernst & Young) ও কেপিএমজি (KPMG)।

যেসব ব্যাংকের সম্পদ যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেগুলো হলো—ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি), আইএফআইসি ব্যাংক, এবি ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক এবং মেঘনা ব্যাংক। এর মধ্যে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ও মেঘনা ব্যাংক ছাড়া বাকি ৯টি ব্যাংকই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত।

গত ১৫ বছরে এসব ব্যাংকের বিরুদ্ধে পরিচালনাগত অনিয়ম ও দুর্বল আর্থিক ব্যবস্থাপনার একাধিক অভিযোগ উঠেছে। সম্পদ যাচাইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি পরিস্থিতি, আর্থিক স্বাস্থ্য ও অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার বর্তমান চিত্র মূল্যায়ন করতে চায়।

ইতোমধ্যে ইরনেস্ট অ্যান্ড ইয়াং এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামি ব্যাংকের সম্পদ যাচাই সম্পন্ন করেছে। অপরদিকে কেপিএমজি সম্পন্ন করেছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংকের পর্যালোচনা।

প্রতিটি ব্যাংকে একজন করে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা নিযুক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যাতে তথ্য সংগ্রহ ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নির্ভুল ও স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হয়। একইভাবে, অডিট প্রতিষ্ঠানগুলোও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মনোনয়ন দিয়েছে।

AQR কার্যক্রমের আওতায় থাকবে—ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান, ঋণ শ্রেণিকরণ ও পুনঃতফসিল, অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, একক ঋণগ্রহীতা সীমা, বৃহৎ ঋণ ঝুঁকি, খেলাপি ঋণের অবস্থান, তারল্য ব্যবস্থাপনা এবং বিনিয়োগ নীতিমালা। এ ছাড়া হিসাব নীতিমালা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কাঠামোও বিশ্লেষণের অংশ হিসেবে মূল্যায়ন করা হবে।

এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতা ও ঝুঁকির মাত্রা স্পষ্ট হবে, যা ভবিষ্যতে নীতিনির্ধারণ ও তদারকি প্রক্রিয়ায় সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আল-আমিন ইসলাম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

তিন কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

তিন কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত তিনটি কোম্পানি সম্প্রতি ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র গ্রামীণফোন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন ১১০ শতাংশ... বিস্তারিত