দুই কোম্পানির শেয়ারদরে বড় পতন, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাম্প্রতিক বাজারচিত্র বলছে, সামগ্রিক সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও কিছু কোম্পানির শেয়ারে ধারাবাহিক দরপতন বিনিয়োগকারীদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ফারইস্ট ফাইন্যান্স এবং ফার্স্ট ফাইন্যান্স লিমিটেডের শেয়ারে গত এক মাসে উল্লেখযোগ্য দরপতন ঘটেছে। দুটি প্রতিষ্ঠানই আর্থিক খাতভুক্ত এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত, যার ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ডিএসইর তথ্যমতে, যেখানে গত এক মাসে প্রধান সূচক ১০০ পয়েন্টের বেশি বেড়েছে, সেখানে ফারইস্ট ফাইন্যান্সের শেয়ারদর কমেছে ১৫.৯১ শতাংশ। এক মাস আগে যেখানে কোম্পানিটির শেয়ারের দর ছিল ৪ টাকা ৪০ পয়সা, তা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৭০ পয়সায়। সর্বনিম্ন দর ছিল ৩ টাকা ৪০ পয়সা।
২০১৩ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১৬৪ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বর্তমানে ফারইস্ট ফাইন্যান্সের পুঞ্জীভূত লোকসান ৯৯২ কোটি ১৯ লাখ টাকা, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য উচ্চ ঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।
কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে ৩৯.৭৪ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে, ১২.৫৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এবং বাকি ৪৭.৬৯ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দখলে।
অন্যদিকে, ফার্স্ট ফাইন্যান্স লিমিটেডের শেয়ারদর এক মাসে ১৪.২০ শতাংশ কমে ৩ টাকায় নেমে এসেছে। এ সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ দর ছিল ৩ টাকা ৭০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন ২ টাকা ৮০ পয়সা। কোম্পানিটি ২০০৩ সালে তালিকাভুক্ত হয় এবং বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত।
প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তাদের পুঞ্জীভূত লোকসান ৪৯৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। সর্বশেষ ২০১৯ সালে মাত্র ২ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দেয় কোম্পানিটি।
ফার্স্ট ফাইন্যান্সের মোট শেয়ারের মধ্যে ৪১.৩১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে, ২০.৩৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে এবং বাকি ৩৮.৩৬ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, লোকসানী ও দীর্ঘদিন ডিভিডেন্ড না দেওয়া কোম্পানিতে বিনিয়োগের আগে আর্থিক বিবরণ, রিজার্ভ এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ আয়ক্ষমতা বিশ্লেষণ করা অত্যন্ত জরুরি। অনেক সময় বাজারে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি থাকলেও দুর্বল আর্থিক ভিত্তির কোম্পানিগুলো সেই ধারা অনুসরণ করতে ব্যর্থ হয়। এতে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাজারের সামগ্রিক প্রবণতার পাশাপাশি কোম্পানিভিত্তিক মৌলিক বিশ্লেষণ গুরুত্বপূর্ণ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোর চলমান পারফরম্যান্স তুলে ধরছে—সব ধরনের শেয়ারে একরকম ঝুঁকি থাকে না। তাই ভবিষ্যতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণে কোম্পানির আর্থিক অবস্থান, পরিচালনা দক্ষতা ও ডিভিডেন্ড ইতিহাস গভীরভাবে মূল্যায়ন করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
আল-আমিন ইসলাম/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ভারতের সাবেক স্পিনার দিলীপ দোশী মারা গেলেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে
- চুপ্পুকে সরিয়ে জাতীয় নির্বাচনে আগে নতুন রাষ্ট্রপতি চান পিনাকি
- PSG বনাম ইন্টার মায়ামি: কখন, কোথায় ও কীভাবে দেখবেন লাইভ ম্যাচ
- পিএসজি বনাম ইন্টার মায়ামি: ম্যাচ প্রিভিউ, একাদশ ও ম্যাচ শুরুর সময়
- ৮ গোল: শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম বাহারাইনের মধ্যকার ম্যাচের ৯০ মিনিটের খেলা
- মাহিয়া মাহির মৃত্যু গুজব: সত্য ও মিথ্যার বিশ্লেষণ
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কবার্তা দিল ডিএসই
- শান্তর পদত্যাগ, নতুন টেস্ট অধিনায়কত্বে এগিয়ে যিনি
- পিএসজি বনাম ইন্টার মায়ামি: ৪-০ গোলে শেষ হলো ম্যাচ
- কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন ফখরুল, চোখের জলে ভেসে গেল শেষ বিদায়
- শ্রীলঙ্কা বনাম বাংলাদেশ: বৃষ্টির কারণে বন্ধ দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নজরে পাঁচ কোম্পানি
- ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ : দ্বিতীয় পর্ব নিশ্চিত ১৬ দলের, সময় সূচি প্রকাশ
- বাজারে সামগ্রিক মন্দার মাঝেও বস্ত্র খাতের ৫ কোম্পানির চমক
- বিনিয়োগকারীদের জন্য তিন কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা