ঢাকা, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২

রোগ প্রতিরোধে প্রতিদিন এক গ্লাস খেজুর দুধ, জেনে নিন উপকার

লাইফ স্টাইল ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ২৯ ১৭:৫৬:৫৪
রোগ প্রতিরোধে প্রতিদিন এক গ্লাস খেজুর দুধ, জেনে নিন উপকার

ঠান্ডা-কাশি, দুর্বলতা ও সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে খেজুর দুধ হতে পারে একটি প্রাকৃতিক সমাধান।

নিজস্ব প্রতিবেদক: আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। এই সময়ে ঠান্ডা, জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা বা দুর্বলতা আমাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়। এসব সমস্যা এড়াতে ও শরীরকে ভেতর থেকে সুরক্ষা দিতে পারে এমন একটি খাবার হলো—খেজুর ও দুধের মিশ্রণে তৈরি খেজুর দুধ।

এই ঘরোয়া এবং পুষ্টিকর পানীয়টি শুধুই যে সুস্বাদু, তা নয়—বরং এতে রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা। প্রতিদিন এক গ্লাস খেজুর দুধ খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে বলে মত পুষ্টিবিদদের।

কেন খাবেন খেজুর দুধ?

বিশেষজ্ঞদের মতে, খেজুরে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি, যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা শক্তিশালী করতে সহায়তা করে এবং সিজনাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা দেয়।

খেজুরে আরও থাকে B1, B2, B3, B5, A1 ভিটামিন এবং প্রাকৃতিক চিনি, যা শক্তি জোগায় এবং শরীরকে দুর্বলতা থেকে রক্ষা করে।

অন্যদিকে দুধ হলো ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং খনিজ উপাদানে ভরপুর। যখন খেজুর ও দুধ একত্রে খাওয়া হয়, তখন তা হয়ে ওঠে একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ, রোগ প্রতিরোধক এবং শক্তিদায়ক পানীয়।

খেজুর দুধ যেসব সমস্যায় উপকারী:

সিজনাল ঠান্ডা-কাশি

গলা ব্যথা ও ফ্লু

শরীরের দুর্বলতা ও ক্লান্তি

হজমজনিত সমস্যা

হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো

শরীর গরম রাখতে সহায়তা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে (চিনি ছাড়া খেলে)

খেজুর দুধ তৈরির সহজ রেসিপি

প্রয়োজনীয় উপকরণ:

দুধ – ২ কাপ

খেজুর – ½ কাপ (বীজ ছাড়ানো ও কুচি করা)

বাদাম – ১.৫ টেবিল চামচ

দারুচিনি গুঁড়া – ½ চা চামচ

চিনি বা মধু – পরিমাণমতো

যেভাবে তৈরি করবেন:

১. প্রথমে খেজুর কুচি করে আধা কাপ দুধে ৩০-৪০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।

২. এরপর খেজুর ও বাদাম একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন।

৩. আলাদা একটি প্যানে বাকি দুধ ফুটিয়ে ব্লেন্ড করা মিশ্রণ দিন।

৪. এরপর দারুচিনি গুঁড়া ও চিনি বা মধু মেশান।

৫. ৫ মিনিট সেদ্ধ করে গরম গরম পরিবেশন করুন।

প্রতিদিন কখন খাবেন?

সকালে খালি পেটে বা রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস খেজুর দুধ খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। এতে হজম ভালো হয়, ঘুম গভীর হয় এবং সারা দিনের শক্তি পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।

বিশেষ সতর্কতা:

ডায়াবেটিক রোগীদের চিনি না দিয়ে খেতে হবে।

অতিরিক্ত খাওয়া এড়ানো ভালো; প্রতিদিন ১ গ্লাস যথেষ্ট।

যাদের দুধ হজমে সমস্যা হয়, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দুধের বিকল্প নিতে পারেন।

শরীরকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করে তুলতে এবং সাধারণ অসুস্থতার ঝুঁকি কমাতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এক গ্লাস খেজুর দুধ যোগ করুন। এটি একটি প্রাকৃতিক, সহজলভ্য এবং কার্যকর পন্থা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য।

মো: রাজিব আলী/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ