ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসকে পাল্টে দিয়ে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়লো হায়দরাবাদ

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ এপ্রিল ১৫ ২১:৫৬:১৪
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসকে পাল্টে দিয়ে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়লো হায়দরাবাদ

ট্রাভিস হেড, অভিষেক শর্মা ও হেনরিখ ক্লাসেনদের ছক্কা বৃষ্টিতে আইপিএলের শুরুর দিকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ২৭৭ রান তুলেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মাঠে ঝড় তুললেন তারা তিনজনই। নিজেদের রেকর্ড ২৭৭ রানের পুঁজি ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল এদিন। তবে ক্লাসেনের বিদায়ে কমতে থাকে সফরকারীদের রান তোলার গতি।

নিজেদের রেকর্ড ভাঙতে শেষ তিন ওভারে ৪৭ রান করতে হতো হায়দরাবাদকে। এইডেন মার্করাম ও আব্দুল সামাদও ছুঁটলেন সেই পথেই। শেষ ওভারে ১২ রান নিতে পারলেই নিজেদের গড়া আইপিএলের দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ভাঙতে পারবেন তারা। সেটা করতে মার্করাম সময় নিলেন মাত্র ৩ বল। সামাদের ১০ বলে ৩৭ ও মার্করামের ১৭ বলে ৩২ রানের ইনিংসে হায়দরাবাদ থেমেছে ২৮৭ রানে।

টসের সময় প্যাট কামিন্স বলেছিলেন আপনি হয়ত ভাবতেও পারবেন না এখানে কখনও কখনও ২৪০ রান অনায়াসে হতে পারে। অধিনায়কের এমন কথা যেন খানিকটা সিরিয়াসলিই নিয়ে ফেলেছিলেন হায়দরাবাদের ব্যাটাররা।

অভিষেক শর্মা এবং ট্রাভিস হেড শুরুটা করলেন একেবারে স্বপ্নের মতো। বেঙ্গালুরু এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম এমনিতেই ব্যাটারদের জন্য স্বর্গ। এদিনও বল ব্যাটে এলেন একেবারে ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই। দুই ওপেনার অভিষেক ও হেডও রান তুললেন তাই অনায়াসে। জ্যাকস নিজের প্রথম দুই ওভারে মাত্র ১১ রান দিলেও রিস টপলি প্রথম ওভারে দিয়ে গেলেন ২০ রান।

ইয়াশ দয়াল প্রথম ওভারটা ভালো করলেও পরের ওভারে দিয়েছেন ২০ রান। পঞ্চম ওভারে ফার্গুসন খরচ করেছেন ১৮ রান। তাতে কোন উইকেট না হারিয়ে হায়দরাবাদের দুই ওপেনার পাওয়ার প্লেতে ৭৬ রান তুললেন। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরও চার-ছক্কা আটকানো যায়নি সফরকারী ব্যাটারদের।

২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা হেড বেঙ্গালুরুর বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালাতে থাকলেন। অস্ট্রেলিয়ার এই ওপেনারকে দেখে অভিষেকও হাঁটলেন একই পথে। তবে তাকে ইনিংস বড় করতে দেননি টপলি।

বাঁহাতি এই পেসারের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ফার্গুসনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ২২ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলা অভিষেক। তরুণ এই ওপেনার ফিরলেও থামেননি হেড। অজি এই ওপেনার তাণ্ডব চালিয়ে ৩৯ বলে করেছেন সেঞ্চুরি। যদিও একশ ছোঁয়ার পর তাকে ফিরিয়েছেন ফার্গুসন। ডানহাতি এই পেসারের উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে থাকা ডু প্লেসির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১০২ রানের ইনিংস খেলা হেড।

এরপর বেঙ্গালুরুর বোলারদের তুলোধুনো করতে থাকেন ক্লাসেন। ২৩ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন সাউথ আফ্রিকার এই উইকেটকিপার ব্যাটার। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেয়ার পাশাপাশি দ্রুত রান তুলেছেন এইডেন মার্করাম। তবে তাদের দুজনের ৬৭ রানের জুটি ভাঙেন ফার্গুসন।

নিউজিল্যান্ডের এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের স্লোয়ার ফুলটসে পয়েন্ট ক্যাচ দিয়েছেন ৩১ বলে ৬৭ রান করা ক্লাসেন। পরের ওভারে ফিরতে পারতেন মার্করামও। দয়ালের বলে ক্যাচ নিলেও নো বলের কারণে বেঁচে যান প্রোটিয়া এই ব্যাটার। শেষ দিকে ঝড় তোলেন সামাদ। তরুণ এই ব্যাটার খেলেছেন ১০ বলে ৩৭ রান করেছেন। মার্করাম অপরাজিত ছিলেন ৩২ রানে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে