ঢাকা, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

সাব্বিরের ব্যাটিং ঝড়, ২৬ বলে করলেন যত রান, দেখেনিন

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২১ জুন ১৬ ২৩:০৩:৫৫
সাব্বিরের ব্যাটিং ঝড়, ২৬ বলে করলেন যত রান, দেখেনিন

এই তিনজনের সাঁড়াশি বোলিং আক্রমণে মাত্র ১০৭ রানেই থেমে যায় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের ইনিংস। তখন কে জানতো, ওই ছোট্ট পুঁজি নিয়েই শেষ হাসি হাসবে তৌহিদ হৃদয়ের দল!

লক্ষ্য মাত্র ১০৮ রানের। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকার, মুমিনুল হকের মতো জাতীয় দলের বড় তারকারা মিলেও দলকে এই লক্ষ্য টপকে দিতে পারলেন না। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স অলআউট হলো একশর আগেই (৯৯ রানে)।

১০ ম্যাচে তারুণ্যনির্ভর শাইনপুকুরের এটি চতুর্থ জয়। তাদের পয়েন্ট ৮। অন্যদিকে সমান ১০ ম্যাচে চতুর্থ পরাজয়ে গাজী গ্রুপের পয়েন্ট ১২‘ই থাকলো।

আগামীকাল ১৭ জুন মোহামেডানের সাথে শেষ ম্যাচ না জিতলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল ৬ নম্বরে থেকেই সুপার লিগ শুরু করবে। মোহামেডান জিতলে বরং আরও ওপরে চলে যাবে। তখন সাদা-কালোদের পয়েন্ট দাঁড়াবে ১৫।

অথচ শাইনপুকুর এই ম্যাচটি জিততে পারে কেউ ধারণাও করেননি। ওপেনার সাব্বির হোসেন (২৬ বলে ৪১) আর মিডল অর্ডার সাজ্জাদুল হক (১৫ বলে ২৫) ছাড়া দলটির একজন ব্যাটসম্যানও ভালো খেলতে পারেননি। আর কেউ দুই অংকে পৌঁছাতে পারেননি।

তরুণ ওপেনার সাব্বির যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন, চেষ্টা করেছেন রান গতি বাড়াতে। পাশাপাশি দলকে একটা লড়াকু পুঁজি গড়ে দেয়ার চেষ্টা ছিল তার। কিন্তু সাব্বিরকে চল্লিশের ঘরে থামিয়ে দেন গাজী গ্রুপ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

মাহমুদউল্লাহর অফস্পিনে লেগবিফোর উইকেটের ফাঁদে জড়ান সাব্বির। সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলে (৬.৪) সাব্বির যখন ফিরে আসেন, শাইনপুকুরের রান তখন ৪৭। দলের ৪৭‘এ সাব্বিরের ৪১ রানই বলে দেয় তার ব্যাটের ধার কত বেশি ছিল।

কিন্তু মারকুটে এই ব্যাটসম্যান ফেরার পরপরই শুরু হয় বিপর্যয়। এরপর আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি শাইনপুকুর। ১৯.৪ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করলেও ১০৭ রানের বেশি করতে পারেনি তৌহিদ হৃদয়ের দল।

জিততে তারকাসর্বস্ব গাজী গ্রুপের দরকার ছিল ১০৮ রানের। মনে হচ্ছিল সৌম্য সরকার, মাহেদি হাসানরা খুব সহজে হেসেখেলেই ওই রান টপকে যাবেন।

কিন্তু তা হয়নি বাস্তবে। ১৭ রানে (৪.২ ওভারে) দুই ওপেনার মাহেদি (১২ বলে ৮) ও সৌম্য সরকার (৮ বলে ২) ফিরে গেলে কেমন যেন খেই হারিয়ে ফেলে গাজী গ্রুপ।

মুমিনুল হক আর আকবর আলী অনেক বেশি সতর্ক ও সাবধানতার সঙ্গে খেলার চেষ্টা করেন। তবে টি-টোয়েন্টিতে এমন ব্যাটিং করে বেশিদূর যেতে পারেননি মুমিনুল।

স্পিনার ইফতেখার সাজ্জাদের বলে অফস্ট্যাস্পের ঠিক বাইরে পরাস্ত হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে উইকেটকিপার অংকনের হাতে বেঁচে গেলেও পরের ওভারে সেই ১৭ রানেই (২৪ বলে) আরেক স্পিনার হাসান মুরাদের বলে স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হন মুমিনুল (২৪ বলে ১৭)।

যুব বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবর আলির অবস্থা আরও খারাপ। দ্বিগুণ ২৪ বলে ১২ রান করে এ উইকেটকিপার কাম মিডল অর্ডার বোল্ড হন শাইনপুকুর পেসার সুমন খানের বলে ক্রস ব্যাটে খেলতে গিয়ে।

এরপর ব্যর্থতার মিছিলে অংশ নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১০ বলে ৪), ইয়াসির আলী রাব্বি (৪ বলে ২) আর আরিফুল হকও (৬ বলে ৯)।

শেষদিকে লোয়ার অর্ডারের নাসুম আহমেদ ম্যাচ কিছুটা জমিয়ে তুলেছিলেন। কিন্তু ১২ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ১৭ রান করা এই ব্যাটসম্যান ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতে মোহর শেখের শিকার হন। গাজী গ্রুপের তখন দরকার ছিল ৯ রান।

শাইনপুকুরের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল মোহর শেখ। ২২ রান খরচ করে একাই ৪ উইকেট নেন এই পেসার। সুমন খান ৩টি আর হাসান মুরাদের শিকার ২ উইকেট।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

দাবি না মানলে রবিবার ‘ঢাকা ব্লকেড’

দাবি না মানলে রবিবার ‘ঢাকা ব্লকেড’

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্দোলন এখন আর শুধু ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীদের একক প্রতিবাদ নয়। এটি পরিণত হয়েছে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর... বিস্তারিত