সাকিব, মুশফিককে নিয়ে দোলাচল বিসিবির

করোনার কারণে গত বছর অল্প কিছু ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তবে সেই ক্ষতি পোষাতে যেন ম্যাচের বহর নিয়ে এসেছে ২০২১। টানা ক্রিকেটের ধকল সামলাতে অনেক ক্রিকেটারই ছুটির পক্ষে।

গুঞ্জন রয়েছে, আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজে সাকিব আল হাসান অংশ নিলেও একমাত্র টেস্টে তিনি খেলবেন না। আরেক সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম নাকি খেলবেন না টি-টোয়েন্টিতে।

তাদের ছুটির বিষয়ে এখনও কিছু না জানলেও মুশফিকের ছুটির ব্যাপারে ইতিবাচকই শোনাল আকরামের কণ্ঠে। তবে কথা বলতে চাননি সাকিবের ছুটির বিষয়ে।

সাকিব ছুটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তার পরিবারের কাছে যেতে চান, সেখান থেকেই নাকি উড়াল দেবেন জিম্বাবুয়েতে। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে আকরাম বলেন, ‘আমি কোনো কিছু শুনিনি। কোনো চিঠি বা কোনো কিছু আসেনি। এটা আমার মনে হয় সাকিবকে জিজ্ঞেস করলেই ভালো।’

তবে সাকিবের মত মুশফিকের ছুটির কথাও গণমাধ্যমের কাছ থেকেই জেনেছেন বোর্ড কর্তারা। মুশফিকের ছুটির ব্যাপারে অবশ্য ইতিবাচক অবস্থান বোর্ডের।

আকরাম বলেন, ‘ওর সাথে আলাপ আলোচনা আছে। এখনও চিঠি আসেনি। আলোচনা বলতে এটা (ছুটির প্রসঙ্গ) সত্যি কি না, যদি খেলতে না চায় কী কারণ এসব আলাপ আলোচনা করে ব্যাপারটা দেখব।

আগেও বলেছি এখনও বলছি- এখন যে পরিস্থিতিতে আমাদের খেলোয়াড়রা খেলছে এটা আসলে শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে অনেক ধকলের। সবকিছু বিবেচনা করে আমরা দেখব, জোর করে খেলানো ঠিক হবে না। আবেদন করলে অবশ্যই ইতিবাচকভাবে নিব।’

বিসিবি সভাপতি আগেই জানিয়েছিলেন, ক্রিকেটারদের জোর করে খেলাবে না বোর্ড। এজন্য অনেকে রোটেশন পলিসি চালুর তাগিদ দিয়েছেন। তবে বোর্ড এখনও রোটেশন পলিসির কথা ভাবেনি বলে জানালেন আকরাম।

‘আমরা তো সেই সিদ্ধান্তে এখনও যাইনি। অনেক ঠাসা সূচি। শারীরিকভাবে ফিট থাকলেও মানসিকভাবে ফিট থাকা কঠিন। এটা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছি। আমরা সবাইকেই সব ফরম্যাটে চাই। সামনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেলা আছে। সব মিলিয়ে (বিশ্রামের) সিদ্ধান্তটা কঠিন।’– বলেন আকরাম।