ব্রেকিং নিউজ: কোয়ার্টার ফাইনালে চিলির বিপক্ষে দলে ফিরছেন নেইমার ও সানচেজ

রিও ডি জেনেইরোর নিল্টন সান্তোষ স্টেডিয়ামের ওই ম্যাচে ব্রাজিল যেমন নেইমারকে ফিরিয়ে আনবে, তেমনি পেশির ইনজুরি কাটিয়ে চিলির স্কোয়াডে ফিরতে যাচ্ছেন অ্যালেক্সিস সানচেজ।

জয়ের ধারায় গ্রুপ পর্বে এগিয়ে চলা সেলাকাওদের গত রোববার ১-১ গোলে রুখে দিয়েছিল ইকুয়েডর। তবে ওই ম্যাচের একাদশে ছিলেননা প্লে মেকার নেইমার। ওই ম্যাচে নেইমারের পাশাপাশি বিশ্রামে পাঠানো হয়েছিল ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা ও স্ট্রাইকার গাব্রিয়েল জেসুসকেও। অপরদিকে বদলী হিসেবে মাঠে নামানো হয়েছিল কাসেমিরোকে।

টানা তিন জয়ে মিশন শুরু করা ব্রাজিল এবারও কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়ের অন্যতম দাবীদার। অপরদিকে গ্রুপে চিলি একমাত্র জয়টি লাভ করেছে বলিভিয়ার বিপক্ষে। তবে ২০১৫ ও ১৬ সালে পরপর শিরোপা জয়ী এই দলের মধ্যে পারফর্মেন্সের ঘাটতি স্পস্ট ছিল।

ব্রাজিল ও চিলির মধ্যে সর্বশেষ স্মরণীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের শেষ ষোলতে। দুই দলের হয়ে যথাক্রমে ডেভিড লুইজ ও সানচেজের গোলে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ের খেলায় গোল করে স্বাগতিক ব্রাজিলকে প্রায় হারাতেই বসেছিল চিলি। শেষ মিনিটে মরিসিও পিনিল্লার অসাধারন হেডের বলটি অবশ্য ফিরে আসে বারে লেগে।

অবশ্য টাইব্রেকারে চিলিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে জয়লাভ করেছিল স্বাগতিকরাই। ওই ম্যাচে স্পট কিকে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন পিনিল্লা।

শুক্রবারের কোয়ার্টার ফাইনালের একাদশে থিয়াগো সিলভা যুক্ত হবারও জোর সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও ওই টাইব্রেকারে মানষিক চাপে পড়ে অশ্রু ঝড়াতে দেখা গিয়েছিল তাকে।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে সিলভা বলেন, আবেগে আমি নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি। এমনটা ঘটতেই পারে। চিলির বিপক্ষে ম্যাচের ওই মুহুর্তগুলোকে আমি নেতিবাচক হিসেবে চিহ্নিত করেছিলাম। ওই ঘটনাটি আমার কাছে দীর্ঘদিন ধরে কস্ট দিয়েছে। তবে এটিও একটি শিক্ষামুলক অভিজ্ঞতা। সুতরাং ওই ঘটনার পর আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতামুলক ম্যাচের জন্য নিজেকে গড়ে নিয়েছি।

গ্রুপ পর্বে অবশ্য চিলির হয়ে খেলতে পারেননি সানচেজ। তার অনুপস্থিতির প্রভাব দলীয় পারফর্মেন্সেও প্রভাব ফেলেছিল। গ্রুপ পর্বে মাত্র তিনটি গোল করতে পেরেছে লা রোজারা। তন্মধ্যে এডুয়ার্ডো ভার্গাস দুটি এবং বেন ব্রেরেটন একটি।

এদিকে ব্রাজিলের বিপক্ষে ৩২ বছর বয়সি সানচেজকে মুল একাদশভুক্ত করবেন, নাকি বদলী হিসেবে বেঞ্চে রাখবেন, সে বিষয়ে মাঠের অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন চিলিয়ান কোচ মার্টিন লাসার্টে।

তিনি বলেন, স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সব সময় কঠিন। আর ব্রাজিল এমন একটা দল যেটি এই মুহুর্তে নিজেদের সেরা রয়েছে। আমাদেরকে যতটুকু সম্ভব সেরাটাই খেলতে হবে। যেটি সব সময় সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেয়। আমরা তাদের ভুল গুলো খুঁজে বের করে তা দিয়েই তাদেরকে ঘায়েল করার চেস্টা করব।