দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলা দেখে দর্শক ফাইনালের আমেজ পেয়েছে

গ্রানাডায় মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল । শুরু দিগে তারা তেমন ভালো করতে পারিনি। এভিন লুইস ও ক্রিস গেইল ব্যর্থ হলেও লেন্ডল সিমন্স ওয়েস্ট ইন্ডিজের রানের চাকা সচল রাখেন। লুইস ৫ বলে ৭ রান, গেইল ৮ বলে ৫ রান ও শিমরন হেটমায়ার ১২ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৩৪ বলে ৪৭ রান করে বিদায় নেন সিমন্সও।

সিমন্সের বিদায়ের পরে হাল ধরেন কাইরন পোলার্ড। হাঁকানো ঝড়ো ফিফটি। মাত্র ২৫ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। তার টর্নেডো ইনিংসটি সাজানো ছিল ২টি চার ও ৫টি ছক্কা। তবে ব্যর্থ হয়েছেন আন্দ্রে রাসেল। ৮ বলে করেন ৯ রান। ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ১৩ বলে ১৯ রান করে পোলার্ডের সাথে অপরাজিত থাকেন।

নির্ধারিত ২০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সংগ্রহ করে ৬ উইকেটে ১৬৭ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে জর্জ লিন্ডে ও তাবরেজ শামসি ২টি করে এবং কাগিসো রাবাদা ও অ্যানরিখ নর্টজে ১টি করে উইকেট নেন।

দক্ষিণ আফ্রিকাও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। কুইন্টন ডি কক ছাড়া প্রোটিয়াদের আর কেউই ব্যাট হাতে লড়াই করতে পারেননি। রাসেল-ব্রাভোদের বোলিংয়ের সামনে তারা আত্মসমর্পণ করেন।

৪৩ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলে ডি কক যখন মাঠ ছাড়েন তখন জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ১৭ বলে ৪১ রান। ওই ওভারেই দক্ষিণ আফ্রিকার ৩টি উইকেট শিকার করে সেই সম্ভাবনা ধুলিস্মাৎ করে দেন ব্রাভো। শেষ পর্যন্ত ৯টি উইকেট হারিয়ে প্রোটিয়ারা সংগ্রহ করতে পারে ১৪৬ রান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ব্রাভো ৪ ওভারে ১৯ খরচায় ৪টি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া রাসেল ২টি এবং গেইল, পোলার্ড ও ওবেদ ম্যাককয় ১টি করে উইকেট পান।

২১ রানের জয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ এখন ২-২ এ অমীমাংসিত। অর্থাৎ সিরিজের শেষ ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছে অলিখিত ফাইনাল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬৭/৬ (২০ ওভার)পোলার্ড ৫১*, সিমন্স ৪৭, অ্যালেন ১৯*, পুরান ১৬;শামসি ২/১৩, জর্জ ২/১৬।

দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪৬/৯ (২০ ওভার)ডি কক ৬০, মারক্রাম ২০, রাবাদা ১৬*;ব্রাভো ৪/১৯, রাসেল ২/৩০।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২১ রানে জয়ী।