আজ ইউরো কাপে ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে মাঠে নামছে ডেনমার্ক ও ইংল্যান্ড, দেখেনিন সময়

অন্যদিকে চলছে ইংল্যান্ডের সোনালি প্রজন্মের রাজত্ব। দ্বিতীয় রাউন্ডে জার্মানি, কোয়ার্টার ফাইনালে ইউক্রেনকে হারিয়ে যেন আকাশে উড়ছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল। এরইমধ্যে সেমিতে ওঠার কারণে যেন ইংলিশদের মধ্যে চরম জাত্যাভিমান জেগে উঠেছে। ১৯৬৬ সালের পর বড় কোনো শিরোপা জয়ের জন্য প্রস্তুত হ্যারি কেইন অ্যান্ড কোং।

১৯৬৬ সালে আলফ রামসির অধীনে টানা দুটি বড় টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলেছিল ইংল্যান্ড। এরপর এবার গ্যারেথ সাউথগেটের অধীনে টানা দুটি বড় টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলছে ইংল্যান্ড। ২০১৮ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছিল ইংলিশরা। আর এবার খেলছে ইউরোর সেমিতে।

যদিও ডেনমার্ক সামনে, ইংল্যান্ড যে কারণে ফাইনালের স্বপ্ন এখন থেকেই দেখতে পারে। তবে, হ্যারি কেইনের দলকে কিন্তু মাঠে খেলেই তবে ফাইনালের টিকিট কাটতে হবে, ইতালির মুখোমুখি হওয়ার জন্য।

ডেনমার্ক ১৯৯২ সালের স্মৃতিই ফিরিয়ে আনছে এবার। সেবারও কেউ তাদেরকে ফেবারিটের খাতায় রাখতে চায়নি। কিন্তু হেনরিক লারসনরা সবাইকে বিস্মিত করে দিয়ে ঠিকই ইতিহাস লিখে নিয়েছিল। এবারও ডেনমার্ককে কেউ গোনায় ধরেনি। কিন্তু এখন তারা সেমিফাইনালে।

১৯৯২ সালের ইউরো জয়ের পর এবারের আগ পর্যন্ত আর কোনো টুর্নামেন্টেরই সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি ডেনমার্ক। এবারও সম্ভাবনা ছিল কম।

গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচের মধ্যে তারা হেরেছে দুই ম্যাচে। রাশিয়ার বিপক্ষে ৪-১ গোলের ব্যবধানে একটি ম্যাচ জেতার কারণে সেরা তৃতীয় দল হওয়ার সুবিধা নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যায় ডেনিসরা।

দ্বিতীয় রাউন্ডে ওয়েলসকে একহালি দিয়ে কোয়ার্টারে ওঠে ডেনমার্ক। যে চেক রিপাবলিককে মনে করা হচ্ছিল এবারের আসরের ডার্ক হর্স। তাদেরকেই এবার বিদায় করে দিলো ডেনিসরা।

ইউক্রেনের জালে একহালি গোল দিয়ে আসলেও হ্যারি কেইনরা কিন্তু ভেতর ভেতরে কিছুটা আতঙ্কিতও। লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে রাত ১টার (বাংলাদেশ সময়) ম্যাচে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে একে অপরের মুখোমুখি হবে ডেনমার্ক এবং ইংল্যান্ড। ম্যাচ শেষে টিকে থাকবে ডেনিস রূপকথা নাকি ইংলিশ জাত্যাভিমান- সেটাই দেখার।