ঢাকা, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

সমালোচনার রান করেই দিতে চান মিঠুন

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২১ আগস্ট ২৩ ২১:৩৬:১৪
সমালোচনার রান করেই দিতে চান মিঠুন

এখন পর্যন্ত ১০টি টেস্ট ম্যাচের ১৮ ইনিংসে মিঠুনের সংগ্রহ ৩৩৩ রান। সর্বোচ্চ ইনিংস ৬৭। গড় ১৮.৫০। ৩৪ ওয়ানডের ৩০ ইনিংসে সংগ্রহ ৭১৪ রান। গড় ২৭.৪৬ ও স্ট্রাইকরেট ৭৭.৫২। এখানে সর্বোচ্চ ইনিংস ৭৩ রানের। ১৭ টি-টোয়েন্টির ১৩ ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংসের সুবাদে ১২৭ রান সংগ্রহ করেছেন। তবে স্ট্রাইকরেট মাত্র ৯৩.৩৮।

বর্তমান যুগের বিচারে মিঠুনের এই পরিসংখ্যানকে ভালো বলার কোনো যুক্তি নেই। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে দলের বিপদের সময়ে বেশ কয়েকবার বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ২০১৮ এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার ও পাকিস্তানের এবং নিউজিল্যান্ড সফরে তিন বার দলের বিপদের সময় দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দিতে সহায়তা করেছিলেন মিঠুন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেমন ভালো কিছু এনে দিয়েছে, তেমন মানুষের ব্যবহারকে হিংস্র ও নিম্নপর্যায়ে নিয়ে যেতেও এর জুড়ি মেলা ভার। তেমনই ‘অনলাইন অ্যাবিউজের’ শিকার হয়েছেন মিঠুন। এই বিষয়ে সম্প্রতি ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিঠুন বলেন,

‘মানুষ আপনাকে উপহাসের পাত্র বানালে সেটি অপমানজনক। প্রথমত, কারো সেই অধিকার নেই। একজন মানুষ হিসেবেও আপনার এমন ব্যবহার প্রাপ্য নয়, আমি কেবল একজন জাতীয় দলের ক্রিকেটারের কথায় বলছি না।

এটি সবার জন্যই প্রযোজ্য। আপনার জীবনের ওপর আপনার নিজের নিয়ন্ত্রণ আছে এবং আপনার পরিবারের মানুষ ছাড়া কেউই আপনাকে এভাবে বলতে পারে না। দ্বিতীয়ত, আসলে আমাদের অভ্যাসই এমন হয়ে গেছে এবং এগুলো পরিবর্তনও হচ্ছে না।’

আরও ভালো প্রস্তুতি নিয়ে দলে ফিরেই জবাব দিতে চান তিনি, ‘এখানেই আমার ক্যারিয়ারের শেষ নয়, এবং আমার অনেক বেশি বয়সও হয়নি। যখন একজন খেলোয়াড় ভালো করতে পারবে না সে দল থেকে বাদ পড়বে, এটি খুবই স্বাভাবিক। আমি আগেও দল থেকে বাদ পড়েছি। তাই আমাকে খুঁজতে হবে আরও ভালো একজন খেলোয়াড় হয়ে কীভাবে দলে ফেরা যায়।’

‘অধারাবাহিক হয়ে খেলার চেয়ে আমি একজন ভালো ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ফিরতে চাই যে দলকে ভালো কিছু দিতে পারবে। আমি সবসময়ই বাংলাদেশের পক্ষে ভালো খেলতে চাই কিন্তু সবসময় হয়তো সেটা বাস্তবায়ন হয় না। আপনি ভালো খেললেই মানুষ আপনার প্রশংসা করবে, খারাপ করলেই দল থেকে বাদ পড়বেন। খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সম্পর্কে মিঠুন বলেন, ‘অনলাইন অ্যাবিউজ নিয়ে সিনিয়র ক্রিকেটাররা আগেও কথা বলেছেন, কিন্তু কিছুই পরিবর্তন হয়নি। আমার মনে হয়, যারা আমাকে নিয়ে উপহাস করছে, তাদের ক্রিকেট সম্পর্কে ধারণায় নেই।

আমি নিজে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করি না। কিন্তু আপনি কী সবকিছুই এভাবে এড়িয়ে যেতে পারবেন? আপনার বন্ধুরা আপনাকে এসব দেখাবে।’

এইসময় তিনি কোহলির উদাহরণ দিয়ে বলেন কেন তিনি মন্তব্যকে আমলে নেন না, ‘ইংল্যান্ড সিরিজের আগে দীনেশ কার্তিকের সাথে বিরাট কোহলির সাক্ষাৎকার দেখছিলাম আমি।

আমি কোহলির সাথে একমত, সে বলছিল যারা তাকে গালিগালাজ করে তারা তো তার কাছে কিছুই না। সে এখন যে পর্যায়ে আছে, সেই কোহলিকে তারা বানায়নি তাই তাদের কথা নিয়ে কেন সে বিচলিত হবে।’

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ