ঢাকা, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

ব্রেকিং নিউজ: বিপিএলে ম্যাচ পাতানোয় কঠিন শাস্তি পেল

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২১ আগস্ট ২৯ ১৭:২০:১৭
ব্রেকিং নিউজ: বিপিএলে ম্যাচ পাতানোয় কঠিন শাস্তি পেল

রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন(বাফুফে) জানায়, এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ম্যচা পাতানোর বিষয়টির অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছে।

বাফুফে অনেক তদন্ত করে শেষ পর্যন্ত আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চার ব্যক্তিকে (মিনহাজুল ইসলাম,গওহর জাহাঙ্গীর রুশো, মাইদুল ইসলাম শেখ (ভারতীয়), আরিফ হোসেন ) আজীবন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিসিপ্লিনারি কমিটি।

অবনমন ও নিষিদ্ধের পাশাপাশি ক্লাবকে পাঁচ লাখ টাকা আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে। সেই জরিমানার অর্থ আগামী এক মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।

আরামবাগ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ইতোমধ্যে রেলিগেশনে পড়েছে। রেলিগেটেড হয়ে প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় স্তর বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেলার কথা আরামবাগের। বেটিং শাস্তির জন্য তাদেরকে আরো এক ধাপ নিচে নামিয়েছে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি।

আরামবাগকে দুই বছর প্রথম বিভাগে খেলতে হবে। প্রথম বিভাগ লিগে আরামবাগ চ্যাম্পিয়ন হলেও তাদেরকে দুই বছর কাটাতে হবে প্রথম বিভাগে। শাস্তির প্রথম বছর প্রথম বিভাগ লিগ থেকে অবনমিত হলে অবশ্য দ্বিতীয় বিভাগে চলে যাবে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।

দশ বছর নিষিদ্ধ করা হয়েছে আরো দুই ভারতীয় কোচিং স্টাফকে। ফিজিও সঞ্জয় বোস এবং সহকারী আজিজুল শেখ দশ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সাবেক খেলোয়াড় আপেল মাহমুদ নিষিদ্ধ হয়েছেন পাঁচ বছরের জন্য।

তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন আরামবাগের সাবেক খেলোয়াড় আবুল কাশেম মিলন, আল আমিন, রকি, জাহিদ হোসেন, রাহাদ মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান সৈকত, শামীম রেজা, অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ডিফেন্ডার ক্রিশ্চিয়ান। দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন সাবেক নাইজেরিয়ান খেলোয়াড়, চিজোবা, ওমর ফারুক, রকিবুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ফাহাদ ও মেরাজ মোল্লাকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের ফুটবলে পাতানো ম্যাচের আগে শাস্তি হলেও বেটিং কিংবা ফিক্সিংয়ের জন্য এ রকম শাস্তি এবারই প্রথম। এএফসি’র তদারকির জন্য বাফুফে গুরুত্ব সহকারেই এই তদন্ত করেছে।

বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটির চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন এই শাস্তি প্রসঙ্গে বলেন, পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি অনেকগুলো সভা করে। আমাদের কাছে তারা একটি রিপোর্ট দেয়। সেই রিপোর্ট এবং আমাদের ডিসিপ্লিনারি কোডের ভিত্তিতে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বাফুফে আরামবাগের চারটি ম্যাচ ও ব্রাদার্সের কয়েকটি ম্যাচে স্পট ফিক্সিংয়ের সন্দেহ করেছিল। পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি অবশ্য ব্রাদার্সের ম্যাচগুলোতে সেভাবে সম্পৃক্ততা পায়নি। আরামবাগের ম্যাচগুলো নিয়ে তদন্ত শেষে রিপোর্টের ভিত্তিতে শাস্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিসিপ্লিনারি কমিটি।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ