ব্রেকিং নিউজ: বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্মেলনে জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ জানালেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, "যদি জনগণ দ্রুত সংস্কার চায়, তাহলে আমরা এ বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্য নিয়েছি। তবে যদি তারা দীর্ঘ মেয়াদী সংস্কারের পক্ষে মত দেন, তাহলে আরও ছয় মাস সময় প্রয়োজন হবে।" তিনি এ মন্তব্য করেছেন সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (WEF) বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে।
ড. ইউনূস বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "বাংলাদেশের জনগণ যেন কোনো প্রকার বাধা বা হুমকি ছাড়াই অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে, এমন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা তৈরি করাই এখন সরকারের অগ্রাধিকার।"
বৈঠকের সময় ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, ২০২২ সালের জুলাইয়ে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থান দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ছিল। তিনি বলেন, "তরুণ প্রজন্মের দাবির মুখে আমাদের বুঝতে হয়েছে, জনগণ আর বৈষম্যের শিকার হতে চায় না। তারা পরিবর্তন চায়, নতুন বাংলাদেশ চায়।"
তিনি আরও বলেন, গত ১৬ বছরে যারা নতুন ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন, তাদের অনেকেই এখনও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তাই এ সমস্যার সমাধান করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি সুনির্দিষ্ট সংস্কার কর্মসূচি প্রণয়ন করছে।
ড. ইউনূসের মতে, তরুণ প্রজন্মই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। তিনি বলেন, "তরুণ প্রজন্ম এখন শুধুমাত্র বাংলাদেশের নাগরিক নয়, বরং তারা বিশ্ব তরুণদের অংশ হয়ে উঠেছে। তাদের হাতেই নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।"
তরুণদের আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদার ভিত্তিতে সরকার একটি "ঐকমত্য কমিশন" গঠন করার পরিকল্পনা করেছে। এই কমিশন সকল রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি "জুলাই সনদ" প্রস্তুত করবে।
তিনি আরও জানান, "বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও ব্যাংকিং খাতেও ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।"
ক্লাউস শোয়াব ড. ইউনূসের বক্তব্যে মুগ্ধ হয়ে আধাঘণ্টার আলাপচারিতায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার পরিকল্পনার প্রতি তার সমর্থন জানান।
ড. ইউনূস বলেন, "বর্তমান প্রজন্ম মানব ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজন্ম। প্রযুক্তির কারণে তারা আর পুরনো বাংলাদেশে ফিরে যেতে চায় না। তাদের ভবিষ্যৎ কল্পনায় একটি নতুন ও উন্নত বাংলাদেশ রয়েছে।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, "আমাদের কাজ হলো তাদের চাহিদা ও স্বপ্নের সঙ্গে মিল রেখে একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশ নিশ্চিত করা।"
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের কাছে নতুন আস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- ৮ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণা, ছয় কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা খেলো ধাক্কা
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় আইসিবির বিশেষ তহবিল থাকবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বাঁচা মরার ম্যাচ
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- ‘ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’—ড. ইউনূস
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি
- বীমা খাতে সুবাতাস, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৯ কোম্পানির মুনাফায় উল্লম্ফন