ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১

চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ঘোষণা, অনির্দিষ্টকালের হুঁশিয়ারি

স্বাস্থ্য ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মার্চ ০৭ ২১:১১:৩৩
চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ঘোষণা, অনির্দিষ্টকালের হুঁশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় এক নতুন মোড়—পদোন্নতির দাবিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা নামছেন আন্দোলনে। বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফোরাম ঘোষণা দিয়েছে, শনিবার থেকে শুরু হবে তাদের তিন দিনের কর্মবিরতি। আর যদি দাবি পূরণ না হয়, তবে মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকদের ক্ষোভ ও পদক্ষেপ

পদোন্নতি সংক্রান্ত বৈষম্য ও দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে ক্ষোভ জমে ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাদের দাবি উত্থাপন করেন।

সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২ মার্চ শনিবার সকাল ১০টা থেকে টানা তিন দিন সরকারি হাসপাতালগুলোতে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হবে। তবে রোগীদের জরুরি সেবা অব্যাহত থাকবে।

দাবির মূল কথা

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দাবি স্পষ্ট—

চিকিৎসকদের অন্তঃ ও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর করতে হবে।

তৃতীয় গ্রেড পাওয়া সব যোগ্য চিকিৎসককে নির্দিষ্ট সময় পর দ্বিতীয় ও প্রথম গ্রেডে পদোন্নতি দিতে হবে।

ফোরামের নেতারা জানান, "আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। তাই সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।"

একসঙ্গে মাঠে নামছে চিকিৎসক সংগঠনগুলো

এই আন্দোলনে একা নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফোরাম। আরও কয়েকটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সংগঠন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, যারা একই দাবিতে কর্মবিরতিতে অংশ নেবে। এর মধ্যে রয়েছে:

বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন

সোসাইটি অব সার্জনস অব বাংলাদেশ

সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশ

সোসাইটি অব প্লাস্টিক সার্জনস অব বাংলাদেশ

অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অব লিভার ডিজিজেস বাংলাদেশ

দ্য চেস্ট অ্যান্ড হার্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ

বাংলাদেশ সোসাইটি অব কোলন অ্যান্ড রেক্টাল সার্জনস

সতর্কবার্তা: হতে পারে অনির্দিষ্টকালের আন্দোলন

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফোরাম স্পষ্ট করে বলেছে, "আমরা চাই সরকার দ্রুত কার্যকর সিদ্ধান্ত নিক। যদি আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো বাস্তবায়নের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তাহলে ৫ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি শুরু হবে।"

তিন দিনের এই কর্মসূচির ফলে সরকারি হাসপাতালের সেবায় কিছুটা প্রভাব পড়বে, তবে চিকিৎসকরা আশ্বস্ত করেছেন যে জরুরি চিকিৎসা সেবা স্বাভাবিক থাকবে। এখন দেখার বিষয়, সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়—আলোচনার মাধ্যমে সমাধান, নাকি চিকিৎসা সেবার নতুন এক সংকট?

জামাল/

স্বাস্থ্য - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ