রক্তচাপ বাড়ায় যেসব নিত্যদিনের খাবার, ডাক্তাররা যা বলছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বর্তমানে বিশ্বব্যাপী একটি বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি। অনেকেই খাবারে লবণ কমানোর পাশাপাশি ওষুধ গ্রহণ করে থাকেন, কিন্তু তবুও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে না। এ কারণেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু লবণ নয়, প্রতিদিন যেসব খাবার আমরা খাই সেগুলো নিয়েও সচেতন হতে হবে। আজ জানুন, রক্তচাপ বাড়ায় এমন কোন নিত্যদিনের খাবারগুলো আপনার প্লেটে আসছে এবং কী উপায়ে তা এড়িয়ে চলা যায়।
১. প্রক্রিয়াজাত মাংস: রক্তচাপের অদৃশ্য শত্রু
সসেজ, নাগেট, হ্যাম ও সালামির মতো প্রক্রিয়াজাত মাংসে থাকে প্রচুর পরিমাণ সোডিয়াম, যা রক্তচাপ দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে। বাংলাদেশী রান্নায় প্রক্রিয়াজাত মাংসের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে, যা ডাক্তারের সতর্কতার বিষয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনিক সোডিয়াম গ্রহণ ২৩০০ মিলিগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়, কিন্তু মাত্র ৮৫ গ্রাম প্রক্রিয়াজাত মাংসে প্রায় ৭৫০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বাধা দেয়।
২. সস ও প্যাকেটজাত মসলাযুক্ত খাবার
সয়া সস, কেচাপ, বারবিকিউ সসসহ বিভিন্ন প্যাকেটজাত মসলাযুক্ত খাবারও লবণের বড় উৎস। নিয়মিত এই ধরনের খাবার খাওয়া রক্তচাপের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, খাদ্যে স্বাদ বাড়াতে অতিরিক্ত সস ব্যবহারে শরীরে সোডিয়াম জমে রক্তনালীগুলোতে চাপ বাড়ে।
৩. চিজ ও দুধজাত খাবার
চিজের মধ্যে থাকে উচ্চ মাত্রার সোডিয়াম এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। বিশেষ করে পিৎজা, স্যান্ডউইচ ও পাস্তা খাওয়ার সময় অতিরিক্ত চিজ খাওয়া এড়ানো জরুরি।
৪. চিনিযুক্ত ও ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়
সোডা, কোল্ড ড্রিংকস, প্যাকেটজাত ফলের রস, চা-কফি ও এনার্জি ড্রিঙ্কস শরীরে অতিরিক্ত চিনির পরিমাণ বৃদ্ধি করে, যা রক্তচাপ বাড়ায়। ডাক্তারের মতে, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের এসব পানীয় পরিমিতভাবে বা কম খাওয়া উচিত।
৫. অতিরিক্ত তেল ও ভাজাপোড়া খাবার
ভাজাপোড়া ও তেল বেশি ব্যবহার করা খাবার রক্তের ঘনত্ব বাড়ায়, ধমনীর পাথর সৃষ্টি করে এবং রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ হয়। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, কম তেলে রান্না করুন এবং ফ্রেশ সবজি ও ফলমূলের প্রতি গুরুত্ব দিন।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কী খাবেন?
কলা
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলা সোডিয়ামের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১-২টি কলা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বিট ও বিটের রস
বিটে থাকা নাইট্রেট সিস্টোলিক রক্তচাপ কমাতে সহায়ক। সালাদ বা তরকারিতে বিট অন্তর্ভুক্ত করুন।
তরমুজ
তরমুজে থাকা সাইট্রুলিন অ্যামিনো অ্যাসিড রক্তনালীগুলোকে প্রশস্ত করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ফার্মেন্টেড খাবার
দই, কিমচি, অ্যাপল সিডার ভিনেগার অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে হৃদরোগ ঝুঁকি কমায়।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
ডা. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, বলেন, “উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য কেবল ওষুধ নয়, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনাটাও খুব জরুরি। লবণ ছাড়াও প্রক্রিয়াজাত খাবার, বেশি সস ও চিনি জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকুন। খাবারে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ফলমূল ও শাকসবজি রাখুন।”
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সচেতন খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়াম অপরিহার্য। আপনার প্রতিদিনের খাবারে লবণ ছাড়াও অন্য কী কী উপাদান রয়েছে, সেগুলো খেয়াল করুন। সঠিক তথ্য আর সাবধানতা মিলে আপনাকে সুস্থ রাখবে।
আল-আমিন ইসলাম/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশ বনাম তুর্কমেনিস্তান: আজ নতুন সময়ে শুরু হবে ম্যাচ, জেনে নিন সূচি
- বাংলাদেশ বনাম তুর্কমেনিস্তান: গোল বন্যা, ৯০ মিনিটের খেলা শেষ
- চুপ্পুকে সরিয়ে জাতীয় নির্বাচনে আগে নতুন রাষ্ট্রপতি চান পিনাকি
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: প্রথম ওয়ানডেতে লড়াকু টার্গেট দিল শ্রীলঙ্কা
- নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব পয়েন্ট টেবিল: গ্রুপ সি-তে উড়ছে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ বনাম তুর্কমেনিস্তান: ৭ গোলে শেষ হলো প্রথমার্ধ
- ৮ গোল: শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম বাহারাইনের মধ্যকার ম্যাচের ৯০ মিনিটের খেলা
- মাহিয়া মাহির মৃত্যু গুজব: সত্য ও মিথ্যার বিশ্লেষণ
- আল-হিলাল বনাম ফ্লুমিনেন্স: নাটকীয়ভাবে শেষ হলো কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা
- বাংলাদেশ বনাম তুর্কমেনিস্তান: ম্যাচ প্রিভিউ, পরিসংখ্যান ও ম্যাচ শুরুর সময়
- চেলসি বনাম পালমেইরাস কোয়ার্টার-ফাইনাল: ১-০ গোলে প্রথমার্ধ শেষ
- চেলসি বনাম পালমেইরাস কোয়ার্টার ফাইনাল: শেষ হলো ৯০ মিনিটের খেলা
- জেতা ম্যাচ হেরে যা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মিরাজ
- ফাফ ডু প্লেসির ডাবল সেঞ্চুরি রেকর্ডে কাঁপছে ক্রিকেট বিশ্ব