
MD. RAZIB ALI
Senior Reporter
এশিয়ার মূল খেলোয়াড় এখন বাংলাদেশ, ভারত চাপে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক কখনও একেবারে মধুর তো কখনও আবার উত্তেজনাপূর্ণ, বিশেষত সীমান্তের বিরোধ এবং রাজনৈতিক কূটনীতির কারণে। তবে সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে দুই দেশের যৌথ নৌমহরা পরিচালনার খবর একটি নতুন মোড় নিয়েছে। অনেকেই এটি চমক হিসেবে দেখছেন, তবে কি এটি সম্পর্কের উন্নতির প্রমাণ? নাকি ভারত ও বাংলাদেশ নিজেদের কৌশলগত অবস্থান শক্তিশালী করার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করছে? বিশ্লেষকরা এর উত্তর সহজভাবে দিতে পারছেন না, তবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কারণে এই সম্পর্ক কখনও বিচ্ছিন্ন হওয়া সম্ভব নয়।
ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্কের পিছনে ইতিহাসের গভীরতা রয়েছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাপতি টিক্কা খান বলেছিলেন, "আমার মাটি দরকার, পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ নয়।" ভারতীয় সম্রাট আকবর এবং জাহাঙ্গীরও বাংলাকে ছেড়ে দিতে পারেননি। বাংলাদেশের ভূখণ্ড এবং তার স্থানীয় ভূমিকা বিশ্ব ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে, বাংলাদেশ শুধু দক্ষিণ এশিয়ার কেন্দ্র নয়, বরং আন্তর্জাতিক কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের জন্য বাংলাদেশ ছাড়া কোনোভাবে চলা সম্ভব নয়। ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত উপাদান হিসেবে কাজ করে। চীন যখন সেভেন সিস্টার্স অঞ্চলের মধ্যে প্রবেশ করতে চাইছে, তখন বাংলাদেশের ভূখণ্ড ও বঙ্গোপসাগর ভারতকে সেই প্রবেশ ঠেকাতে সহায়তা করে। এছাড়া, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা, যেটি দুই দেশের মধ্যে সহজ হয়ে ওঠে যখন সম্পর্ক ভালো থাকে।
ভারত কখনও বাংলাদেশকে পরিত্যাগ করতে পারবে না, কারণ ১৯৭৫ সালে ভারতের শাসনপ্রতিষ্ঠা পরবর্তীকালে তারা নতুন সরকারকে দ্রুত স্বীকৃতি দিয়েছিল। বর্তমানে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশও দিল্লি থেকে ট্রান্জিট চেয়েছে, কারণ ভারত জানে যে বাংলাদেশ তাদের কৌশলগত শত্রু চীনকে প্রতিহত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্ব শক্তির শঙ্কার কেন্দ্রবিন্দুতে চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত তাদের স্থান নির্ধারণ করতে Bangladesh-এর ভূখণ্ড ও সাগরকে নিজেদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে। কোয়াড বা ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্রাটেজি যেমন চীনের মোকাবিলায় কাজ করছে, বাংলাদেশকে সেখানে যোগ দিতে বারবার আহ্বান জানানো হচ্ছে। বাংলাদেশও এই দুই মহাশক্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে নিজের স্বার্থ রক্ষা করতে চাইছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি, নদীপথ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্ব পাচ্ছে। একইভাবে, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার হিসেবে বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে এক শক্তিশালী খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে। এই অবস্থান থেকেই বাংলাদেশ চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এছাড়া, বাংলাদেশ এখন সেন্ট মার্টিনের মতো জায়গায় স্পষ্টভাবে অবস্থান করছে, যা এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ খুঁটিনাটি বিশ্লেষণে সহায়ক। বাংলাদেশের গুরুত্ব এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, এবং বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি বাংলাদেশ সাবধানে তার কৌশল গ্রহণ করে, তাহলে ভবিষ্যতে এটি বিশ্বমঞ্চেও একটি বড় ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশ, ভারত ও অন্যান্য শক্তির মধ্যে সম্পর্কের এই জটিলতা এবং কৌশলগত উপাদানসমূহ নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করে তুলছে।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শোক সংবাদ: মারা গেলেন মুফতি আহমদুল্লাহ
- আজকের খেলার সময়সূচি: শ্রীলঙ্কা বনাম হংকং
- ৫ কোম্পানির শেয়ার কারসাজি: ৩ ব্যক্তিকে দেড় কোটি টাকা জরিমানা বিএসইসির
- শেয়ারবাজারে চমক: দুই ফার্মায় ছুটছে বিনিয়োগ!
- বেতন বাড়লো! সরকারি কর্মীদের জন্য নতুন পে-স্কেল
- বিনিয়োগকারী সতর্ক! ৮ কোম্পানির প্রভাবে শেয়ারবাজারে ধস
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিএইসর গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা
- নতুন পে-স্কেল: বড় সুখবর-সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়লো!
- এক শেয়ারেই বাজিমাত: ডিএসইর ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প
- ৩ পরিবর্তন নিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের একাদশ ঘোষণা
- এক নজরে শেয়ারবাজারের আলোচিত ১২ খবর
- আপনার বিনিয়োগ সুরক্ষিত? সিএমএসএফ কার্যকারিতায় বিএসইসি'র চমক!
- ভারত-পাক ম্যাচ বয়কট? ড্রেসিংরুমে চাপ!
- শেয়ারবাজারের আতঙ্কে ৪ ব্যাংক-ফাইন্যান্স! পুঁজি গলার কাঁটা?
- পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে বড় রদবদল-পূর্ণাঙ্গ তালিকা এখানে